ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকার যতবেশি অত্যাচার করবে ততবেশি মানুষ ফুঁসে উঠবে : ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাসীনরা গ্রেফতার করে ভোটের অধিকারের আন্দোলন বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এতে আন্দোলন আরও বেগবান হয়েছে। সারাদেশ আন্দোলনে প্রকম্পিত হচ্ছে। সরকার যতবেশি অত্যাচার করবে ততবেশি মানুষ ফুঁসে উঠবে। পিছু হটবার পথ নেই।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কথা বলেন তিনি।

কারাগারের ভেতর বিএনপি নেতাকর্মীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজকে শুধুমাত্র দু’জন বেরিয়েছি। এখনও আমাদের হাজারও নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। তারা অমানবিক কষ্ট শিকার করছেন। তারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। একটা সেলের ভেতর ৬-৭ জনকে রাখা হচ্ছে। তাদেরকে বের হতে দেওয়া হয় না। আজকে সারাদেশকে এরা একটা কারাগারে পরিণত করেছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবো। তাই আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে। এর মাধ্যমে দেশকে মুক্ত করতে হবে। আসুন এ শপথ নিয়ে নতুন অঙ্গীকার করি। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের পরাজিত করবে। আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে, তার মাধ্যমে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।

এসময় ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ও গণমিছিল সফল করার জন্য নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সমাবেশের জায়গা নিয়ে অস্থির অবস্থা মধ্যে গ্রেফতার করা হয়। আমার অপরাধ ছিল আমি সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছি।

কারাগারে থাকা অবস্থায় পরিবারের খোঁজ নেওয়ায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যেমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি তরান্বিত করা হবে।

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারা ভেবেছিল গ্রেফতার করে, কারাগারে আটকে রেখে, বিএনপির অফিস ভেঙে-হামলা করে, অত্যাচার করে, গুম করে ও গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের আন্দোলনকে বন্ধ করে দেবে। এর আগে আমাদের প্রায় ১২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলন কি বন্ধ হয়েছে? বরং আরও শক্তিশালী হয়েছে, বেগবান হয়েছে।

পুরো বাংলাদেশ আজকে প্রতিবাদে প্রকম্পিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তার করে, আটক করে, কষ্ট দিয়ে ও হত্যা করে আমাদের দমন করতে পারবে না। এই দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। মানুষ অধিকার আদায়ের জন্য নেমে পড়েছে।

বিএনপির পিছু হটবার আর কোনও পথ খোলা নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের শুধু সামনে এগিয়ে চলতে হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।

খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন সময়ের ব্যাপার উল্লেখ করে সদ্য কারামুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আপনাদের চাপের মুখে সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবেন।

এসময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রকিবুল আলম মঞ্জু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপির ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আগের দিন ৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে নিজ-নিজ বাসা থেকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে গ্রেপ্তারের এক মাস পর আজ জামিনে মুক্তি পান এই দুই নেতা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকার যতবেশি অত্যাচার করবে ততবেশি মানুষ ফুঁসে উঠবে : ফখরুল

আপডেট সময় : ০৮:১০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাসীনরা গ্রেফতার করে ভোটের অধিকারের আন্দোলন বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এতে আন্দোলন আরও বেগবান হয়েছে। সারাদেশ আন্দোলনে প্রকম্পিত হচ্ছে। সরকার যতবেশি অত্যাচার করবে ততবেশি মানুষ ফুঁসে উঠবে। পিছু হটবার পথ নেই।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কথা বলেন তিনি।

কারাগারের ভেতর বিএনপি নেতাকর্মীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজকে শুধুমাত্র দু’জন বেরিয়েছি। এখনও আমাদের হাজারও নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। তারা অমানবিক কষ্ট শিকার করছেন। তারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। একটা সেলের ভেতর ৬-৭ জনকে রাখা হচ্ছে। তাদেরকে বের হতে দেওয়া হয় না। আজকে সারাদেশকে এরা একটা কারাগারে পরিণত করেছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবো। তাই আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে। এর মাধ্যমে দেশকে মুক্ত করতে হবে। আসুন এ শপথ নিয়ে নতুন অঙ্গীকার করি। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের পরাজিত করবে। আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে, তার মাধ্যমে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।

এসময় ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ও গণমিছিল সফল করার জন্য নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সমাবেশের জায়গা নিয়ে অস্থির অবস্থা মধ্যে গ্রেফতার করা হয়। আমার অপরাধ ছিল আমি সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছি।

কারাগারে থাকা অবস্থায় পরিবারের খোঁজ নেওয়ায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যেমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি তরান্বিত করা হবে।

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারা ভেবেছিল গ্রেফতার করে, কারাগারে আটকে রেখে, বিএনপির অফিস ভেঙে-হামলা করে, অত্যাচার করে, গুম করে ও গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের আন্দোলনকে বন্ধ করে দেবে। এর আগে আমাদের প্রায় ১২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলন কি বন্ধ হয়েছে? বরং আরও শক্তিশালী হয়েছে, বেগবান হয়েছে।

পুরো বাংলাদেশ আজকে প্রতিবাদে প্রকম্পিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তার করে, আটক করে, কষ্ট দিয়ে ও হত্যা করে আমাদের দমন করতে পারবে না। এই দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। মানুষ অধিকার আদায়ের জন্য নেমে পড়েছে।

বিএনপির পিছু হটবার আর কোনও পথ খোলা নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের শুধু সামনে এগিয়ে চলতে হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।

খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন সময়ের ব্যাপার উল্লেখ করে সদ্য কারামুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আপনাদের চাপের মুখে সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবেন।

এসময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রকিবুল আলম মঞ্জু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপির ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আগের দিন ৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে নিজ-নিজ বাসা থেকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে গ্রেপ্তারের এক মাস পর আজ জামিনে মুক্তি পান এই দুই নেতা।