ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ থাকায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানিতে অনিশ্চয়তা

মোঃ খাদেমুল ইসলাম, দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
  • / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দীর্ঘ ৫ মাস পর ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কিন্তু রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ থাকায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এদিকে, গেলো দুদিনে হিলি স্থলবন্দরের ২০ জন আমদানিকারক নতুন করে ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। গতকাল পেয়াজ আমদানির কথা থাকলেও শুল্ক জটিলতায় ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি করেনি হিলিস্থল বন্দরের আমদাকিারকরা।

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, ‘ মূলত ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিল। গেল শনিবার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। গেল সোমবার পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরের ২০ জন আমদানিকারক ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। সেই সঙ্গে আগেই যাদের আইপি নেওয়া রয়েছে সেটার মেয়াদ থাকলে ওই আইপি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। যারা আইপি পেয়েছেন তারা এলসি খুলে আমদানি করতে পারবেন।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি ও পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, ‘ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আমদানিকারকরা আমদানির প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু এখন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে আগে যে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছিল সেটি এখনও প্রত্যাহার করেনি। এ কারণে এখন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।’

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি। এরপর থেকেই হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। গত ২৩ মার্চ সেই মেয়াদের সময়সীমা বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ থাকায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানিতে অনিশ্চয়তা

আপডেট সময় : ১২:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

দীর্ঘ ৫ মাস পর ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কিন্তু রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ থাকায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এদিকে, গেলো দুদিনে হিলি স্থলবন্দরের ২০ জন আমদানিকারক নতুন করে ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। গতকাল পেয়াজ আমদানির কথা থাকলেও শুল্ক জটিলতায় ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি করেনি হিলিস্থল বন্দরের আমদাকিারকরা।

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, ‘ মূলত ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিল। গেল শনিবার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। গেল সোমবার পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরের ২০ জন আমদানিকারক ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। সেই সঙ্গে আগেই যাদের আইপি নেওয়া রয়েছে সেটার মেয়াদ থাকলে ওই আইপি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। যারা আইপি পেয়েছেন তারা এলসি খুলে আমদানি করতে পারবেন।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি ও পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, ‘ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আমদানিকারকরা আমদানির প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু এখন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে আগে যে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছিল সেটি এখনও প্রত্যাহার করেনি। এ কারণে এখন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।’

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি। এরপর থেকেই হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। গত ২৩ মার্চ সেই মেয়াদের সময়সীমা বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার।

 

বাখ//আর