ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সংস্কৃতির সব ক্ষেত্রে শিশুদের বিচরণের সুযোগ দিন : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংস্কৃতির সব ক্ষেত্রে শিশুদেরকে বিচরণের সুযোগ তৈরি করে দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে নেপাল-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নেপাল অ্যাম্বাসি, বাংলাদেশ বুক ক্লাব, নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির আয়োজনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে এখানে অংশগ্রহণ করার জন্য তাদের উৎসাহিত করেছেন। আমি চাইব শুধু চিত্রাঙ্কন নয়, সংস্কৃতির সব ক্ষেত্রেই তারা তাদের সন্তানদের যেন বিচরণ করার ক্ষেত্র তৈরি করে দেন।

কে এম খালিদ বলেন, হিমালয়কন্যা নেপালে নানা ধর্ম, নানা বর্ণের মানুষ বসবাস করে। আমাদের বাংলাদেশেও নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ বসবাস করে। দুই দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিতে অনেক মিল আছে।

ভারত, নেপাল ও ভুটান একইসূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিকভাবে এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। ভারত ও ভুটান যেভাবে স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে, একইভাবে নেপালও সপ্তম দেশ হিসেবে ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, নেপাল-বাংলাদেশ ৫০ বছর ধরে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পার করেছে। ১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এরপর থেকেই অর্থনীতি, যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রেই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমপ্রসারমান। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে শিল্প, সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভাস ও জীবনধারায় সাদৃশ্য রয়েছে। এ প্রতিযোগিতা আয়োজন বাংলাদেশ ও নেপালের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক বহন করে। সব দিক থেকেই আমাদের সম্পর্ক সহযোগিতার ভিত্তিতে বেড়ে উঠছে।

প্রতিযোগীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আজকে এখানে যারা অংশগ্রহণ করেছে তারা সবাই বিজয়ী। আমরা হয়তো অল্প কয়েকজনকে বিজয়ী করে পুরস্কার প্রদান করব। কিন্তু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বাংলাদেশ-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে যৌথ উদ্যোগে এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস, বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ও বাংলাদেশ বুক ক্লাব।

চারটি বিভাগে এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১৭ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ‘ক’ বিভাগ থেকে বিজয়ীরা হলেন- আরধ্য পরাল, জানান আল নাহিব, ইবনে বুহান, ফারহিমা মোস্তাক, ঋষিত শীল দৃতি। ‘খ’ বিভাগ থেকে রূপাইজাতুল চাওধা, শাফিন উদ্দিন আহমেদ, পারিজাত চন্দ, মিথিলা ভৌমিক, মো. সাইফুল্লাহ সিয়াম এবং ‘গ’ বিভাগ থেকে অর্ণিলা ভৌমিক, আনিকা আজহার, সানজিদা তাবাসসুম, অনির্বাণ রায়, রণবিজয় ধর পুরস্কার পায়।

এ ছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বিভাগে শারমিন আক্তার ও সানজিদা ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের সনদ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বুক ক্লাবের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এবং বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি লায়ন মশিউর আহমেদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

সংস্কৃতির সব ক্ষেত্রে শিশুদের বিচরণের সুযোগ দিন : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৪২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংস্কৃতির সব ক্ষেত্রে শিশুদেরকে বিচরণের সুযোগ তৈরি করে দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে নেপাল-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নেপাল অ্যাম্বাসি, বাংলাদেশ বুক ক্লাব, নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির আয়োজনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে এখানে অংশগ্রহণ করার জন্য তাদের উৎসাহিত করেছেন। আমি চাইব শুধু চিত্রাঙ্কন নয়, সংস্কৃতির সব ক্ষেত্রেই তারা তাদের সন্তানদের যেন বিচরণ করার ক্ষেত্র তৈরি করে দেন।

কে এম খালিদ বলেন, হিমালয়কন্যা নেপালে নানা ধর্ম, নানা বর্ণের মানুষ বসবাস করে। আমাদের বাংলাদেশেও নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ বসবাস করে। দুই দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিতে অনেক মিল আছে।

ভারত, নেপাল ও ভুটান একইসূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিকভাবে এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। ভারত ও ভুটান যেভাবে স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে, একইভাবে নেপালও সপ্তম দেশ হিসেবে ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, নেপাল-বাংলাদেশ ৫০ বছর ধরে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পার করেছে। ১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এরপর থেকেই অর্থনীতি, যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রেই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমপ্রসারমান। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে শিল্প, সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভাস ও জীবনধারায় সাদৃশ্য রয়েছে। এ প্রতিযোগিতা আয়োজন বাংলাদেশ ও নেপালের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক বহন করে। সব দিক থেকেই আমাদের সম্পর্ক সহযোগিতার ভিত্তিতে বেড়ে উঠছে।

প্রতিযোগীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আজকে এখানে যারা অংশগ্রহণ করেছে তারা সবাই বিজয়ী। আমরা হয়তো অল্প কয়েকজনকে বিজয়ী করে পুরস্কার প্রদান করব। কিন্তু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বাংলাদেশ-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে যৌথ উদ্যোগে এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস, বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ও বাংলাদেশ বুক ক্লাব।

চারটি বিভাগে এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১৭ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ‘ক’ বিভাগ থেকে বিজয়ীরা হলেন- আরধ্য পরাল, জানান আল নাহিব, ইবনে বুহান, ফারহিমা মোস্তাক, ঋষিত শীল দৃতি। ‘খ’ বিভাগ থেকে রূপাইজাতুল চাওধা, শাফিন উদ্দিন আহমেদ, পারিজাত চন্দ, মিথিলা ভৌমিক, মো. সাইফুল্লাহ সিয়াম এবং ‘গ’ বিভাগ থেকে অর্ণিলা ভৌমিক, আনিকা আজহার, সানজিদা তাবাসসুম, অনির্বাণ রায়, রণবিজয় ধর পুরস্কার পায়।

এ ছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বিভাগে শারমিন আক্তার ও সানজিদা ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের সনদ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বুক ক্লাবের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এবং বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি লায়ন মশিউর আহমেদ।