ঢাকা ১১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত

রাজেশ দত্ত ও ভরত সাহা
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ ৭ই মার্চ শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করেছে। এই উপলক্ষ্যে সকাল ১০.৩০ মিনিটে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।

এ সময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। প্রফেসর শাহ্ আজম আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্বালাময়ী ভাষণটিকে আমরা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে চিন্তা করতাম, আজ তা বিশ্বস্বীকৃত।

জাতির জনকের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ একারণেই যে, একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে তিনি সশস্ত্র বাঙালি জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। এটি ১৯৭১ সালে প্রতিটি বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছে, এবং আজও তা বিশ্বের সকল নিপিড়ীত, নির্যাতিত এবং শৃঙ্খলিত মানুষের মুক্তির প্রেরণা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রফেসর শাহ্ আজম বলেন, এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯ মিনিটের ভাষণে সেদিন কেবল বাঙালি জাতিকেই উজ্জীবিত করে নাই, পাল্টে দিয়েছিল বিশ্ব মানচিত্র। এই ভাষণে ছিল বাঙালির মুক্তির মন্ত্র, সে মন্ত্রকে বুকে নিয়ে বাঙালি মরণপণ লড়াই করে অর্জন করে স্বাধীনতা, বাংলাদেশ।

উপাচার্য বলেন, আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে, এটির একটি গুরুত্ব রয়েছে। আমরা যারা শিক্ষা পরিবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি তাদের মধ্যে একটি ঐক্য, সম্প্রীতি রচনা করে আমরা শিক্ষা আন্দোলনে যুক্ত হতে চাই। সেইসাথে বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অগ্রগামী করার ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যে দায়িত্ব রয়েছে সেই দায়িত্ব রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পালন করতে চায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তিনি যেভাবে মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে অসীম সাহস নিয়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে তৈরি করার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, সেই সংগ্রামে যুক্ত হওয়ার জন্য উপাচার্য মহোদয় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সক্ষমতা অনুযায়ী অবদান রাখার আহাবান জানান।

উল্লেখ্য, এর আগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে সকাল ১০ টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর শহরের সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত এই প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম. মোস্তাফা কামাল খান এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

আজ ৭ই মার্চ শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করেছে। এই উপলক্ষ্যে সকাল ১০.৩০ মিনিটে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।

এ সময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। প্রফেসর শাহ্ আজম আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্বালাময়ী ভাষণটিকে আমরা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে চিন্তা করতাম, আজ তা বিশ্বস্বীকৃত।

জাতির জনকের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ একারণেই যে, একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে তিনি সশস্ত্র বাঙালি জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। এটি ১৯৭১ সালে প্রতিটি বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছে, এবং আজও তা বিশ্বের সকল নিপিড়ীত, নির্যাতিত এবং শৃঙ্খলিত মানুষের মুক্তির প্রেরণা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রফেসর শাহ্ আজম বলেন, এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯ মিনিটের ভাষণে সেদিন কেবল বাঙালি জাতিকেই উজ্জীবিত করে নাই, পাল্টে দিয়েছিল বিশ্ব মানচিত্র। এই ভাষণে ছিল বাঙালির মুক্তির মন্ত্র, সে মন্ত্রকে বুকে নিয়ে বাঙালি মরণপণ লড়াই করে অর্জন করে স্বাধীনতা, বাংলাদেশ।

উপাচার্য বলেন, আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে, এটির একটি গুরুত্ব রয়েছে। আমরা যারা শিক্ষা পরিবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি তাদের মধ্যে একটি ঐক্য, সম্প্রীতি রচনা করে আমরা শিক্ষা আন্দোলনে যুক্ত হতে চাই। সেইসাথে বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অগ্রগামী করার ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যে দায়িত্ব রয়েছে সেই দায়িত্ব রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পালন করতে চায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তিনি যেভাবে মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে অসীম সাহস নিয়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে তৈরি করার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, সেই সংগ্রামে যুক্ত হওয়ার জন্য উপাচার্য মহোদয় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সক্ষমতা অনুযায়ী অবদান রাখার আহাবান জানান।

উল্লেখ্য, এর আগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে সকাল ১০ টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর শহরের সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত এই প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম. মোস্তাফা কামাল খান এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ।

 

বাখ//আর