ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কারো ছবি নয় : হাইকোর্ট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সরকারিভাবে নির্মিত ম্যুরালের মূল নকশা পরিবর্তন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির নিচে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং তার ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এটা তো গুরুতর অসদাচরণ।

তাই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে সেখান থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার ভাইয়ের ছবি সাত দিনের মধ্যে অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৮ জানুয়ারি) এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ছবির ভিত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ এর ম্যুরাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এডিপির অর্থায়নে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ম্যুরালের মূল নকশা পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সঙ্গে স্থানীয় এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি জুড়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে দুটি গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

পরে ওই ঘটনায় দুটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ম্যুরালের নকশায় একপাশে বঙ্গবন্ধু ও আরেক পাশে কেবল শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। কিন্তু সেখানে অনুমতি ছাড়াই এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করা হয়েছে। কোন উদ্দেশ্যে এই ছবি যুক্ত করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা চেয়ে ম্যুরাল নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. ইজাজুর রহমান রানাকে চিঠি দেন সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান।

এরপর এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মধ্যনগরের অধিবাসী রাসেল আহম্মেদের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী সাজেদা আহম্মেদ। ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি ম্যুরাল থেকে দ্রুত অপসারণ করতে ইউএনও-কে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কারো ছবি নয় : হাইকোর্ট

আপডেট সময় : ১০:৩০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সরকারিভাবে নির্মিত ম্যুরালের মূল নকশা পরিবর্তন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির নিচে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং তার ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এটা তো গুরুতর অসদাচরণ।

তাই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে সেখান থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার ভাইয়ের ছবি সাত দিনের মধ্যে অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৮ জানুয়ারি) এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ছবির ভিত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ এর ম্যুরাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এডিপির অর্থায়নে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ম্যুরালের মূল নকশা পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সঙ্গে স্থানীয় এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি জুড়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে দুটি গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

পরে ওই ঘটনায় দুটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ম্যুরালের নকশায় একপাশে বঙ্গবন্ধু ও আরেক পাশে কেবল শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। কিন্তু সেখানে অনুমতি ছাড়াই এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করা হয়েছে। কোন উদ্দেশ্যে এই ছবি যুক্ত করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা চেয়ে ম্যুরাল নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. ইজাজুর রহমান রানাকে চিঠি দেন সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান।

এরপর এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মধ্যনগরের অধিবাসী রাসেল আহম্মেদের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী সাজেদা আহম্মেদ। ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি ম্যুরাল থেকে দ্রুত অপসারণ করতে ইউএনও-কে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট।