ঢাকা ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মুক্তার মোল্লার অবৈধ ইট ভাটার কালো ধোয়ায় নরকে পরিণত একটি গ্রাম!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
আল এহসান হক মাসুক, পাবনা প্রতিনিধি :
কোনো রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই  পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে বসতি এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। এ ইটভাটার কারনে পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়েছে। একই সাথে চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা ভাটার কালো ধোয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে এজমা ও নিউমোনিয়ার মত যন্ত্রণাদায়ক রোগে। এরপর রয়েছে এই ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে এলাকার ছোট ছোট শিশুদের দিয়ে ভাটায় কাজ করানোর অভিযোগ। দেশের আইনে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ হলেও মুনাফা লোভী ভাটা মালিক সমস্ত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্দ্বিধায় চালিয়ে যাচ্ছে এইসব অবৈধ কর্মকাণ্ড ।
ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দারা  অভিযোগ করে বলেন, আমাদের গ্রামে শতাধিক পরিবার রয়েছে। ইটভাটার ভয়াবহ কালো ধোয়ায় নানা রোগের শিকার হতে হচ্ছে। সেইসাথে পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ছে। অতি মুনাফার লোভে এখানে কোমলমতি শিশুদের কৌশলে বাগিয়ে নিয়ে তাদের দিয়ে ইটভাটার কাজ করায়।
ঐ এলাকার মাহবুব নামের এক ব্যাক্তি জানায়, ইটভাটা হওয়ার পর থেকে এই রাস্তায় কুত্তা গাড়ি, পাওয়ার টিলার,  ড্রামট্রাক, ট্রাক্টর ইত্যাদি চলাচলের কারনে আমাদের বাচ্চারা রাস্তায় উঠতে পারেনা। রাস্তায় গেলেও অনেক ঝুকিতে থাকে শিশুরা আর সবসময় উৎকণ্ঠায় থাকতে হয় বাচ্চার অভিভাবকদের। এছাড়া অনবরত ভাটার কাজে ব্যবহৃত মাটি টানা গাড়ি চলাচলের কারণে চরম ধূলোয় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এখানে বেচে থাকাই কঠিণ হয়ে পড়েছে। এটা এখন ধূলো আর ধোয়ার কিারণে নরকে পরিণত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানায়, মাঝে মাঝে দেখি বিভিন্ন সাহেবরা আসে ভাটায়। কোন রকম ব্যাবস্থা না নিয়ে তারা গোপন কক্ষে মিটিং করে আবার বের হয়ে চলে যায়।
একই এলাকার সেলিম হোসেন নামের এক ব্যাক্তি জানায়, এই ভাটার মালিকের নাম মুক্তার মোল্লা,  ভাটার ইটের নাম  আর. কে. বি.।  এই ভাটায় যে মাটি দিয়ে ইট বানানো হয় সেগুলো কৃষি জমি থেকে কেটে আনা হয়৷ আর এখানে ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানায়, মুক্তার মোল্লার বাড়ি টেবুনিয়া বাজার এলাকায়।  তার নাকী অনেক আত্বীয় স্বজন আছে সকলেই মাস্তান। এদের সন্ত্রাসী বাহিনী আছে৷ এদের বিরুদ্ধে কথা বললে এলাকায় টিকে থাকতে পারব না। একারনে আমরা মুখ খুলিনা
এ সকল বিষয়ে ভাটা মালিক মুক্তার মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল কাগজপত্র ঠিকঠাক করেই ভাটার কাজ শুরু করেছেন বলে জানান।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল ইসলাম জানান, R.K.B নামক ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই। অবৈধভাবে চলছে এই ভাটা। অতি দ্রুত এ ভাটার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
বা/খ:জই

নিউজটি শেয়ার করুন

মুক্তার মোল্লার অবৈধ ইট ভাটার কালো ধোয়ায় নরকে পরিণত একটি গ্রাম!

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
আল এহসান হক মাসুক, পাবনা প্রতিনিধি :
কোনো রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই  পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে বসতি এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। এ ইটভাটার কারনে পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়েছে। একই সাথে চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা ভাটার কালো ধোয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে এজমা ও নিউমোনিয়ার মত যন্ত্রণাদায়ক রোগে। এরপর রয়েছে এই ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে এলাকার ছোট ছোট শিশুদের দিয়ে ভাটায় কাজ করানোর অভিযোগ। দেশের আইনে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ হলেও মুনাফা লোভী ভাটা মালিক সমস্ত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্দ্বিধায় চালিয়ে যাচ্ছে এইসব অবৈধ কর্মকাণ্ড ।
ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দারা  অভিযোগ করে বলেন, আমাদের গ্রামে শতাধিক পরিবার রয়েছে। ইটভাটার ভয়াবহ কালো ধোয়ায় নানা রোগের শিকার হতে হচ্ছে। সেইসাথে পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ছে। অতি মুনাফার লোভে এখানে কোমলমতি শিশুদের কৌশলে বাগিয়ে নিয়ে তাদের দিয়ে ইটভাটার কাজ করায়।
ঐ এলাকার মাহবুব নামের এক ব্যাক্তি জানায়, ইটভাটা হওয়ার পর থেকে এই রাস্তায় কুত্তা গাড়ি, পাওয়ার টিলার,  ড্রামট্রাক, ট্রাক্টর ইত্যাদি চলাচলের কারনে আমাদের বাচ্চারা রাস্তায় উঠতে পারেনা। রাস্তায় গেলেও অনেক ঝুকিতে থাকে শিশুরা আর সবসময় উৎকণ্ঠায় থাকতে হয় বাচ্চার অভিভাবকদের। এছাড়া অনবরত ভাটার কাজে ব্যবহৃত মাটি টানা গাড়ি চলাচলের কারণে চরম ধূলোয় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এখানে বেচে থাকাই কঠিণ হয়ে পড়েছে। এটা এখন ধূলো আর ধোয়ার কিারণে নরকে পরিণত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানায়, মাঝে মাঝে দেখি বিভিন্ন সাহেবরা আসে ভাটায়। কোন রকম ব্যাবস্থা না নিয়ে তারা গোপন কক্ষে মিটিং করে আবার বের হয়ে চলে যায়।
একই এলাকার সেলিম হোসেন নামের এক ব্যাক্তি জানায়, এই ভাটার মালিকের নাম মুক্তার মোল্লা,  ভাটার ইটের নাম  আর. কে. বি.।  এই ভাটায় যে মাটি দিয়ে ইট বানানো হয় সেগুলো কৃষি জমি থেকে কেটে আনা হয়৷ আর এখানে ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানায়, মুক্তার মোল্লার বাড়ি টেবুনিয়া বাজার এলাকায়।  তার নাকী অনেক আত্বীয় স্বজন আছে সকলেই মাস্তান। এদের সন্ত্রাসী বাহিনী আছে৷ এদের বিরুদ্ধে কথা বললে এলাকায় টিকে থাকতে পারব না। একারনে আমরা মুখ খুলিনা
এ সকল বিষয়ে ভাটা মালিক মুক্তার মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল কাগজপত্র ঠিকঠাক করেই ভাটার কাজ শুরু করেছেন বলে জানান।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল ইসলাম জানান, R.K.B নামক ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই। অবৈধভাবে চলছে এই ভাটা। অতি দ্রুত এ ভাটার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
বা/খ:জই