ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। সোমবার (১৮ই মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ কিছু পেয়ে থাকলে আওয়ামী লীগ থেকেই পেয়েছে। তিনি বলেন, অবৈধ ভাবে জন্ম নেয়া ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট ভোগী দল গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা কি গণতন্ত্রের অর্থ বোঝে? এদেশে গণতন্ত্রের অধিকার এনেছে আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি শুধু ইফতার পার্টি খায় আর আওয়ামী লীগ শুধু খাওয়ায়।

তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবরের নির্বাচনের দিন থেকে আওয়ামী লীগের ওপর যে অত্যাচার,যে নির্যাতন করছে, সে কথা মানুষ বলবে কী করে। জিয়াউর রহমানের দিন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার, তার আগে আইয়ুব খানের আমল থেকে নির্যাতন। এমনকি লিয়াকত আলীর সময়ও কেউ রেহাই পায়নি। আওয়ামী লীগের জন্মের পর থেকেই বারবার নির্যাতন। আজকে দেশে মানুষ যদি কিছু পেয়ে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের হাত থেকেই পেয়েছে। স্বাধীনতা পেয়েছে, গণতন্ত্র পেয়েছে,গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছে, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ডাল-ভাতের ওয়াদা করে ব্যর্থ হয়েছিল, এরপর একজন এসে আলু খেতে বলল, ভাতের পরিবর্তে আলু, আলু উৎপাদন সেভাবে করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের আমলে অন্তত ভাতের কষ্ট নাই। এটা আমরা বলতে পারি। এখন জিনিসের দাম নিয়ে মানুষ বলছে, মুরগির দাম বাড়লো কেন, পেঁয়াজের দাম বাড়লো কেন, চিনির দাম বাড়লো কেন, তেলের দাম বাড়লো কেন? এক সময় দেশের মানুষ নুন-ভাতের কথায় চিন্তা করত। সেটুকু জোগাড় করতে পারত না। এখন সেই অবস্থা থেকে আওয়ামী লীগ পরিবর্তন করতে পেরেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে সরকার প্রধান বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই ছিলো বঙ্গবন্ধুর একমাত্র লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু ছোট থেকেই মানবিক ছিলেন, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সহযোগিতা করতেন৷ তাদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।

পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলে, অনেকে তথ্য দিলেও বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস ছিলো বাঙ্গালী তাকে কখনো মারবেনা। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ এবং আওয়ামী লীগ যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে সেটাই খুনিরা চেয়েছিলো।

এসময় বার বার জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত করায় দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়। এটি মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালনের উপায়।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মণি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৫৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। সোমবার (১৮ই মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ কিছু পেয়ে থাকলে আওয়ামী লীগ থেকেই পেয়েছে। তিনি বলেন, অবৈধ ভাবে জন্ম নেয়া ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট ভোগী দল গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা কি গণতন্ত্রের অর্থ বোঝে? এদেশে গণতন্ত্রের অধিকার এনেছে আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি শুধু ইফতার পার্টি খায় আর আওয়ামী লীগ শুধু খাওয়ায়।

তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবরের নির্বাচনের দিন থেকে আওয়ামী লীগের ওপর যে অত্যাচার,যে নির্যাতন করছে, সে কথা মানুষ বলবে কী করে। জিয়াউর রহমানের দিন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার, তার আগে আইয়ুব খানের আমল থেকে নির্যাতন। এমনকি লিয়াকত আলীর সময়ও কেউ রেহাই পায়নি। আওয়ামী লীগের জন্মের পর থেকেই বারবার নির্যাতন। আজকে দেশে মানুষ যদি কিছু পেয়ে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের হাত থেকেই পেয়েছে। স্বাধীনতা পেয়েছে, গণতন্ত্র পেয়েছে,গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছে, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ডাল-ভাতের ওয়াদা করে ব্যর্থ হয়েছিল, এরপর একজন এসে আলু খেতে বলল, ভাতের পরিবর্তে আলু, আলু উৎপাদন সেভাবে করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের আমলে অন্তত ভাতের কষ্ট নাই। এটা আমরা বলতে পারি। এখন জিনিসের দাম নিয়ে মানুষ বলছে, মুরগির দাম বাড়লো কেন, পেঁয়াজের দাম বাড়লো কেন, চিনির দাম বাড়লো কেন, তেলের দাম বাড়লো কেন? এক সময় দেশের মানুষ নুন-ভাতের কথায় চিন্তা করত। সেটুকু জোগাড় করতে পারত না। এখন সেই অবস্থা থেকে আওয়ামী লীগ পরিবর্তন করতে পেরেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে সরকার প্রধান বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই ছিলো বঙ্গবন্ধুর একমাত্র লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু ছোট থেকেই মানবিক ছিলেন, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সহযোগিতা করতেন৷ তাদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।

পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলে, অনেকে তথ্য দিলেও বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস ছিলো বাঙ্গালী তাকে কখনো মারবেনা। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ এবং আওয়ামী লীগ যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে সেটাই খুনিরা চেয়েছিলো।

এসময় বার বার জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত করায় দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়। এটি মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালনের উপায়।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মণি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।