ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সলঙ্গায় অবৈধ মৎস্য আড়ৎ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে, আ.লীগ সভাপতি রায়হান গফুর এর বিরুদ্ধে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:২৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় জোর করে ব্যক্তি মালিকানা ১০ বিঘা ফসলি জমির উপর অবৈধভাবে মৎস্য আড়ৎ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৭এপ্রিল) সরেজমিনে আড়তটিতে গিয়ে জমির মালিকদে সাথে কথা বলে জানান যায় স্থানীয় সলঙ্গা আওয়ামী লীগের সভাপতি  রায়হান গফুর ও সদস্য আ: হাই সরকার তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জমির মালিকদের  মিথ্যে প্রতিশ্রতি দিয়ে জোড়করে এই অবৈধ মৎস্য আড়ৎ ব্যাবসা গড়ে তুলেছেন।
অবৈধ আড়ৎ এর লবন যুক্ত পানিতে আশেপাশের ফসলী জমির ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোল চত্বরে নির্মাণ করা হচ্ছে ইন্টারচেন্জ। এ জন্য ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা, হাটিকুমরুল মৎস্য আড়ৎটি সরিয়ে তালতলা হাটে নেওয়ার নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদস্য প্রভাব খাটিয়ে কুতুবের চর ফসলি জমি দখল করে গড়ে তোলেন অবৈধ মৎস্য আড়ৎটি এতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জমির মালিকরা সেই সাথে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
ইতি মধ্যে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক সংলগ্ন সলঙ্গার রামারচর আঞ্চলিক সড়কে মৎস্য আড়ৎ উচ্ছেদ ও জমি ফেরতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে জমির মালিকরা।
আড়ৎ এ আসা মাছ ব্যবসায়ীরা বলছে এই অবৈধ আড়ৎ এর জন্য নষ্ট হচ্ছে সরকার অনুমোদিত তালতলা লালন শাহ মৎস্য আড়ৎ, তারা আরও বলেন, প্রশাসনের কিছু লোকজনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে আওয়ামী লীগে সভাপতি ও সদস্য অবৈধ ভাবে  মৎস্য আড়ৎ গড়ে তুলেছেন বলে তাদের ধারনা। এজন জমির মালিক বলেন আমার ৯ শতক জায়গা জোর করে পাঁকা স্থাপনা তুলে হোটেল ব্যবসা করছেন এই অবৈধ আড়তদাররা।
সলঙ্গার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, এই অবৈধ আড়ৎ এর লবন যুক্ত পানি ধানী জমিতে ফেলে ফসলের ক্ষতি করছে এবং জোড় করে ড্রেজার দিয়ে ফসলী জমির উপর দিয়ে ড্রেন তৈরি করে আড়ৎ এর বর্জ্য নিষ্কাসন করছে।
হাটিকুমরুল মৎস্য আড়ৎ ইজারাদার মিজানুর রহমান বলেন আগে মৎস্য আড়ৎ  থেকে বছরে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা সরকার রাজস্ব পেত কুতুবের চর অবৈধ আড়ৎ থেকে সেটা আর পাচ্ছে না। জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি অবিলম্বে অবৈধ আড়ৎ টি বন্ধ করে দিয়ে বৈধ জায়গায় আড়ৎ স্থাপন করা হোক।
এ বিষয়ে সলঙ্গা আওয়ামী লীগের সভাপতি রায়হান গফুরের বক্তব্য জানতে তাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে কথা হয় থানা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হাইয়ের সাথে। তিনি বলেন, জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়েছি, সব ডকুমেন্টস আছে, তবে সরকারের কাছে অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসক ও রায়গঞ্জ উপজেলার ইউএনও বরাবর আবেদন করেছি।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান বলেন,আড়ৎ বন্ধ করার জন্য বার বার বলা হয়েছে, জেলা সমন্নয় কমিটিতে এ বিষয়ে তুলে ধরেছি, একটা তদন্ত হয়েছে এবং অতিদ্রুতই এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

সলঙ্গায় অবৈধ মৎস্য আড়ৎ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে, আ.লীগ সভাপতি রায়হান গফুর এর বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০২:২৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় জোর করে ব্যক্তি মালিকানা ১০ বিঘা ফসলি জমির উপর অবৈধভাবে মৎস্য আড়ৎ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৭এপ্রিল) সরেজমিনে আড়তটিতে গিয়ে জমির মালিকদে সাথে কথা বলে জানান যায় স্থানীয় সলঙ্গা আওয়ামী লীগের সভাপতি  রায়হান গফুর ও সদস্য আ: হাই সরকার তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জমির মালিকদের  মিথ্যে প্রতিশ্রতি দিয়ে জোড়করে এই অবৈধ মৎস্য আড়ৎ ব্যাবসা গড়ে তুলেছেন।
অবৈধ আড়ৎ এর লবন যুক্ত পানিতে আশেপাশের ফসলী জমির ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোল চত্বরে নির্মাণ করা হচ্ছে ইন্টারচেন্জ। এ জন্য ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা, হাটিকুমরুল মৎস্য আড়ৎটি সরিয়ে তালতলা হাটে নেওয়ার নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদস্য প্রভাব খাটিয়ে কুতুবের চর ফসলি জমি দখল করে গড়ে তোলেন অবৈধ মৎস্য আড়ৎটি এতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জমির মালিকরা সেই সাথে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
ইতি মধ্যে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক সংলগ্ন সলঙ্গার রামারচর আঞ্চলিক সড়কে মৎস্য আড়ৎ উচ্ছেদ ও জমি ফেরতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে জমির মালিকরা।
আড়ৎ এ আসা মাছ ব্যবসায়ীরা বলছে এই অবৈধ আড়ৎ এর জন্য নষ্ট হচ্ছে সরকার অনুমোদিত তালতলা লালন শাহ মৎস্য আড়ৎ, তারা আরও বলেন, প্রশাসনের কিছু লোকজনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে আওয়ামী লীগে সভাপতি ও সদস্য অবৈধ ভাবে  মৎস্য আড়ৎ গড়ে তুলেছেন বলে তাদের ধারনা। এজন জমির মালিক বলেন আমার ৯ শতক জায়গা জোর করে পাঁকা স্থাপনা তুলে হোটেল ব্যবসা করছেন এই অবৈধ আড়তদাররা।
সলঙ্গার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, এই অবৈধ আড়ৎ এর লবন যুক্ত পানি ধানী জমিতে ফেলে ফসলের ক্ষতি করছে এবং জোড় করে ড্রেজার দিয়ে ফসলী জমির উপর দিয়ে ড্রেন তৈরি করে আড়ৎ এর বর্জ্য নিষ্কাসন করছে।
হাটিকুমরুল মৎস্য আড়ৎ ইজারাদার মিজানুর রহমান বলেন আগে মৎস্য আড়ৎ  থেকে বছরে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা সরকার রাজস্ব পেত কুতুবের চর অবৈধ আড়ৎ থেকে সেটা আর পাচ্ছে না। জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি অবিলম্বে অবৈধ আড়ৎ টি বন্ধ করে দিয়ে বৈধ জায়গায় আড়ৎ স্থাপন করা হোক।
এ বিষয়ে সলঙ্গা আওয়ামী লীগের সভাপতি রায়হান গফুরের বক্তব্য জানতে তাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে কথা হয় থানা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হাইয়ের সাথে। তিনি বলেন, জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়েছি, সব ডকুমেন্টস আছে, তবে সরকারের কাছে অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসক ও রায়গঞ্জ উপজেলার ইউএনও বরাবর আবেদন করেছি।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান বলেন,আড়ৎ বন্ধ করার জন্য বার বার বলা হয়েছে, জেলা সমন্নয় কমিটিতে এ বিষয়ে তুলে ধরেছি, একটা তদন্ত হয়েছে এবং অতিদ্রুতই এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাখ//আর