ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেড়েছে সবজি-চাল-মুরগির দাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশজুড়ে কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে ব্যহত হচ্ছে বাজারে সবজির সরবরাহ, ফলে কিছুটা বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে শীতের সবজি। তবে শীতের তীব্রতা কেটে গেলে দামও কিছুটা কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া চাল ও মুরগির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা। শীতের সবজির দামও এখন ঊর্ধ্বমুখী। সব সবজিই এখন গত সপ্তাহের তুলনায় ৫-১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

অন্যদিকে শীত মৌসুম শেষ না হলেও মৌসুমি সবজির দাম বাড়তির দিকে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ ঘাটতির কথা বললেও কোথাও সেরকম লক্ষ্য করা যায়নি। বরং বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখা গেছে।

শীত আর ইজতেমার অজুহাতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। বাজারে প্রতি পিস ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৩০ টাকা। একইভাবে বাঁধাকপিও প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, ব্রুকলি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৩০, খিরা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ফুলকা প্রতি আটি ১৫-২০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মৌসুম না হওয়ায় বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় আর পটল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা ইউনুস হোসেন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। বেশি দামে কেনা বলে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যদিও শেষ কয়েক সপ্তাহ সবজির দাম অনেক কম ছিল।

এছাড়া ব্যবসায়ীরা শীতের দোহাই দিয়ে বলছেন, গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে ফসল তুলতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বাজারে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বের কারণে টঙ্গীতে প্রচুর পরিমাণে সবজির চাহিদা ছিল। সে সময় সবজির দাম বেড়ে আর কমেনি। ২২ জানুয়ারি ২য় দফায় ইজতেমার সময় পর্যন্ত সবজির দাম চড়া থাকতে পারে। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে শীত কিছুটা কমে আসলে বাড়বে সবজির সরবরাহ, তখন ফের কমতে পারে সবজি দাম।

বাজারে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন টাকা বাড়তি দামে। আমন মৌসুমেও বাজারে চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। শুধু মোটা চালের দাম সামান্য কমেছিল। তবে কয়েক দিনের ব্যবধানে সরু চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

মালিবাগ বাজারের চাল ব্যবসায়ী হালিম চৌধুরী বলেন, আমন মৌসুমের চাল বেশিভাগই মোটা হয়। এজন্য এ সময়ে মোটা চালের দাম না বাড়লেও সরু চালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।

যদিও বাজার স্থিতিশীল রাখতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর পরও বাজারে তেমন কোনো প্রভাব পড়েড়নি।

বাজার ও মান ভেদে সরু মিনিকেট চাল ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের নাজিরশাইল চালের কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা।

অন্যদিকে অব্যাহত রয়েছে আদা রসুনের মূল্য বৃদ্ধি। এ দুই পদের মসলা কিনতে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি দেড়শ থেকে ২০০ টাকা।

এছাড়া, মুদি মালামালের মধ্যে আটা ৬০ টাকা, ময়দা ৬৫টাকা কেজি ও সয়াবিন তেল ১৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ছুটির দিন সকালে বাজার করতে মিরপুরের শেওড়াপাড়া বাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন। কিন্তু বাজারে মাছ আর শীতের সবজির দাম বাড়তি দেখে অবাক তিনি। তিনি বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে শীতের প্রতিটি সবজির দামও বাড়তি। সব সবজিতেই অতিরিক্ত ১০ থেকে ২০ টাকা গুনতে হচ্ছে।

এদিকে মাছ বিক্রেতারা বলছেন, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই দামে পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে মাছ সরবরাহ কম হচ্ছে, ফলে মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবারের বাজারে কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, পাবদা ৪৫০ টাকা, মলা ৩৬০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাশ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, বোয়াল ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, টেংরা ছোটগুলো ৫০০ আর বড় ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ এবং গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সবজি ও মাছের দাম বাড়লেও গরু, খাসি, মুরগি, ব্রয়লারের দাম আগের মতই আছে। গরুর মাংস আগের মতই ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় এবং ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার মহাখালীর বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে আসা ফয়সাল হাসান বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সবজির দাম খুব বেড়েছে, শীতকালীন সব ধরনের সবজির দাম অন্য সময় কম থাকলেও আজ দেখছি অনেক বেশি। সেই সঙ্গে মাছের দামও আগের চেয়ে বেড়েছে। আজকের বাজারে সব দোকান থেকেই সবজি আর মাছের দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে।তুলনামূলক কম দাম হওয়ার কারণে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ বাজারে সবচেয়ে বেশি কিনে পাঙাশ, চাষের কই, তেলাপিয়া আর রুই মাছ। কিন্তু আজকের বাজারে এসব মাছের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতারা আজ বাজারে এসে এত দাম বৃদ্ধি দেখে অস্বস্তিতে পড়েছেন।

পাশাপাশি ডিমের দামে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। কোনো কোনো এলাকায় প্রতি ডজন (১২ পিস) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। কোথাও আবার ১২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দোকানিরা সামাজিক ও বিভিন্ন উৎসবকে দায়ী করছেন। চাহিদা বাড়ার কারণে ডিম ও মুরগির দাম কিছুটা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেড়েছে সবজি-চাল-মুরগির দাম

আপডেট সময় : ১২:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশজুড়ে কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে ব্যহত হচ্ছে বাজারে সবজির সরবরাহ, ফলে কিছুটা বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে শীতের সবজি। তবে শীতের তীব্রতা কেটে গেলে দামও কিছুটা কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া চাল ও মুরগির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা। শীতের সবজির দামও এখন ঊর্ধ্বমুখী। সব সবজিই এখন গত সপ্তাহের তুলনায় ৫-১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

অন্যদিকে শীত মৌসুম শেষ না হলেও মৌসুমি সবজির দাম বাড়তির দিকে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ ঘাটতির কথা বললেও কোথাও সেরকম লক্ষ্য করা যায়নি। বরং বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখা গেছে।

শীত আর ইজতেমার অজুহাতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। বাজারে প্রতি পিস ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৩০ টাকা। একইভাবে বাঁধাকপিও প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, ব্রুকলি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৩০, খিরা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ফুলকা প্রতি আটি ১৫-২০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মৌসুম না হওয়ায় বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় আর পটল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা ইউনুস হোসেন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। বেশি দামে কেনা বলে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যদিও শেষ কয়েক সপ্তাহ সবজির দাম অনেক কম ছিল।

এছাড়া ব্যবসায়ীরা শীতের দোহাই দিয়ে বলছেন, গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে ফসল তুলতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বাজারে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বের কারণে টঙ্গীতে প্রচুর পরিমাণে সবজির চাহিদা ছিল। সে সময় সবজির দাম বেড়ে আর কমেনি। ২২ জানুয়ারি ২য় দফায় ইজতেমার সময় পর্যন্ত সবজির দাম চড়া থাকতে পারে। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে শীত কিছুটা কমে আসলে বাড়বে সবজির সরবরাহ, তখন ফের কমতে পারে সবজি দাম।

বাজারে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন টাকা বাড়তি দামে। আমন মৌসুমেও বাজারে চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। শুধু মোটা চালের দাম সামান্য কমেছিল। তবে কয়েক দিনের ব্যবধানে সরু চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

মালিবাগ বাজারের চাল ব্যবসায়ী হালিম চৌধুরী বলেন, আমন মৌসুমের চাল বেশিভাগই মোটা হয়। এজন্য এ সময়ে মোটা চালের দাম না বাড়লেও সরু চালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।

যদিও বাজার স্থিতিশীল রাখতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর পরও বাজারে তেমন কোনো প্রভাব পড়েড়নি।

বাজার ও মান ভেদে সরু মিনিকেট চাল ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের নাজিরশাইল চালের কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা।

অন্যদিকে অব্যাহত রয়েছে আদা রসুনের মূল্য বৃদ্ধি। এ দুই পদের মসলা কিনতে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি দেড়শ থেকে ২০০ টাকা।

এছাড়া, মুদি মালামালের মধ্যে আটা ৬০ টাকা, ময়দা ৬৫টাকা কেজি ও সয়াবিন তেল ১৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ছুটির দিন সকালে বাজার করতে মিরপুরের শেওড়াপাড়া বাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন। কিন্তু বাজারে মাছ আর শীতের সবজির দাম বাড়তি দেখে অবাক তিনি। তিনি বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে শীতের প্রতিটি সবজির দামও বাড়তি। সব সবজিতেই অতিরিক্ত ১০ থেকে ২০ টাকা গুনতে হচ্ছে।

এদিকে মাছ বিক্রেতারা বলছেন, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই দামে পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে মাছ সরবরাহ কম হচ্ছে, ফলে মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবারের বাজারে কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, পাবদা ৪৫০ টাকা, মলা ৩৬০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাশ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, বোয়াল ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, টেংরা ছোটগুলো ৫০০ আর বড় ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ এবং গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সবজি ও মাছের দাম বাড়লেও গরু, খাসি, মুরগি, ব্রয়লারের দাম আগের মতই আছে। গরুর মাংস আগের মতই ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় এবং ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার মহাখালীর বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে আসা ফয়সাল হাসান বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সবজির দাম খুব বেড়েছে, শীতকালীন সব ধরনের সবজির দাম অন্য সময় কম থাকলেও আজ দেখছি অনেক বেশি। সেই সঙ্গে মাছের দামও আগের চেয়ে বেড়েছে। আজকের বাজারে সব দোকান থেকেই সবজি আর মাছের দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে।তুলনামূলক কম দাম হওয়ার কারণে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ বাজারে সবচেয়ে বেশি কিনে পাঙাশ, চাষের কই, তেলাপিয়া আর রুই মাছ। কিন্তু আজকের বাজারে এসব মাছের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতারা আজ বাজারে এসে এত দাম বৃদ্ধি দেখে অস্বস্তিতে পড়েছেন।

পাশাপাশি ডিমের দামে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। কোনো কোনো এলাকায় প্রতি ডজন (১২ পিস) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। কোথাও আবার ১২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দোকানিরা সামাজিক ও বিভিন্ন উৎসবকে দায়ী করছেন। চাহিদা বাড়ার কারণে ডিম ও মুরগির দাম কিছুটা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা।