ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেলকুচিতে এমপি’র তোরণ সরাতে মেয়রের নোটিশ 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
  • / ৪৬২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// আব্দুর রাজ্জাক বাবু, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি //
সিরাজগন্জের বেলকুচি পৌরসভা থেকে রাস্তায় নিজ ব্যবহৃত স্থায়ী তোরণ দ্রত অপসারণের জন্য মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা চিঠি দিলেন এমপি মমিন মন্ডলকে। তোরণ স্থাপনের কারণে পৌর বিধির চতুর্থ তফসিলের ১০৮ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।পৌরসভার সৌন্দর্য রক্ষা ও জানমালের ক্ষতি এড়াতে ১৫ মের মধ্যে লোহার তোরণ ও ব্যানারগুলো অপসারণের অনুরোধ জানানো হয়।
জনগণকে শুভেচ্ছা জানানোর সেই তোরণ জনগণের অসুবিধার অভিযোগে অপসারণ করতে এমপিকে পৌর এরিয়ার মধ্যে থাকা চারটি পিলার সরানোর জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে ২ মে  চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান,  অনেক সময় এই রাস্তায় গাড়ি চলাচলের সময় তোরণের পিলারের সঙ্গে গাড়ি ধাক্কা লাগার উপক্রম হয়। কখনও কখনও ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জের তাঁতশিল্প সমৃদ্ধ চারটি থানার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম হচ্ছে সয়দাবাদ-এনায়েতপুর সাড়ে ১৯ কিলোমিটার সড়ক। যা সিরাজগঞ্জ  শহর ও ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। তাছাড়া এই সড়ক দিয়েই খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ ও মাজার শরীফে যেতে হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সড়কে ফুটপাত ও সড়ক ভেঙে এসব স্থায়ী তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে বেলকুচি পৌরসভার সীমানায় চারটি তোরণ থাকায় পৌর কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো তোরণ অপসারণ করতে চিঠি ইস্যু করেছে।
এ বিষয়ে ট্রাক চালক আব্দুল মোতালেব জানান, অনেক সময় অন্য গাড়ির কারণে গাড়ি রাস্তা থেকে পাশে নামাতে হয়। কিন্তু পিলার থাকার কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা  বলেন, ‘এ বিষয়ে গত ৩০ নভেম্বর পৌরসভার মাসিক সভার আলোকে নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এমপির সম্মানের কথা ভেবে আমরা নোটিশ ইস্যু না করে সময় দিয়েছি। এরপরও তোরণ ও ব্যানারগুলো অপসারণ না করায় পৌর এলাকার সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে । এ কারণে বাধ্য হয়ে নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।’
 পৌর মেয়র আরও বলেন, পৌরবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে এমপির এই তোরণ অপসারণের জন্য তাকে নোটিশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এমপি তোরণ অপসারণের ব্যবস্থা না নিলে পৌর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেলকুচি-চৌহালী আসনের সংসদ সদস্য মমিন মন্ডলকে পাওয়া যায়নি। তার এপিএস সেলিম সরকার বলেন, আপনার কথা বুঝতে পারছি না এবং কোন চিঠি আমরা পাইনি।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেলকুচিতে এমপি’র তোরণ সরাতে মেয়রের নোটিশ 

আপডেট সময় : ০২:২৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
// আব্দুর রাজ্জাক বাবু, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি //
সিরাজগন্জের বেলকুচি পৌরসভা থেকে রাস্তায় নিজ ব্যবহৃত স্থায়ী তোরণ দ্রত অপসারণের জন্য মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা চিঠি দিলেন এমপি মমিন মন্ডলকে। তোরণ স্থাপনের কারণে পৌর বিধির চতুর্থ তফসিলের ১০৮ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।পৌরসভার সৌন্দর্য রক্ষা ও জানমালের ক্ষতি এড়াতে ১৫ মের মধ্যে লোহার তোরণ ও ব্যানারগুলো অপসারণের অনুরোধ জানানো হয়।
জনগণকে শুভেচ্ছা জানানোর সেই তোরণ জনগণের অসুবিধার অভিযোগে অপসারণ করতে এমপিকে পৌর এরিয়ার মধ্যে থাকা চারটি পিলার সরানোর জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে ২ মে  চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান,  অনেক সময় এই রাস্তায় গাড়ি চলাচলের সময় তোরণের পিলারের সঙ্গে গাড়ি ধাক্কা লাগার উপক্রম হয়। কখনও কখনও ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জের তাঁতশিল্প সমৃদ্ধ চারটি থানার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম হচ্ছে সয়দাবাদ-এনায়েতপুর সাড়ে ১৯ কিলোমিটার সড়ক। যা সিরাজগঞ্জ  শহর ও ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। তাছাড়া এই সড়ক দিয়েই খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ ও মাজার শরীফে যেতে হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সড়কে ফুটপাত ও সড়ক ভেঙে এসব স্থায়ী তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে বেলকুচি পৌরসভার সীমানায় চারটি তোরণ থাকায় পৌর কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো তোরণ অপসারণ করতে চিঠি ইস্যু করেছে।
এ বিষয়ে ট্রাক চালক আব্দুল মোতালেব জানান, অনেক সময় অন্য গাড়ির কারণে গাড়ি রাস্তা থেকে পাশে নামাতে হয়। কিন্তু পিলার থাকার কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা  বলেন, ‘এ বিষয়ে গত ৩০ নভেম্বর পৌরসভার মাসিক সভার আলোকে নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এমপির সম্মানের কথা ভেবে আমরা নোটিশ ইস্যু না করে সময় দিয়েছি। এরপরও তোরণ ও ব্যানারগুলো অপসারণ না করায় পৌর এলাকার সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে । এ কারণে বাধ্য হয়ে নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।’
 পৌর মেয়র আরও বলেন, পৌরবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে এমপির এই তোরণ অপসারণের জন্য তাকে নোটিশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এমপি তোরণ অপসারণের ব্যবস্থা না নিলে পৌর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেলকুচি-চৌহালী আসনের সংসদ সদস্য মমিন মন্ডলকে পাওয়া যায়নি। তার এপিএস সেলিম সরকার বলেন, আপনার কথা বুঝতে পারছি না এবং কোন চিঠি আমরা পাইনি।
বা/খ: এসআর।