কথা দিয়ে কথা রাখেনি আগের উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবু – মো: মারুফ হোসেন
- আপডেট সময় : ০৯:৫৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪
- / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিরল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বাজার পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠছে প্রচারকেন্দ্র।
৬ মে সোমবার ৫ নম্বর বিরল ইউনিয়নের বুনিয়াদপুর বাজারে ফিতা কেটে ও দোয়া খায়েরে মাধ্যমে নির্বাচনী কেন্দ্র উদ্বোধন করেন ৫ নং বিরল ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয়বারের মতো নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো: মারুফ হোসেন।
উদ্বোধন শেষে এক সংক্ষিপ্ত কর্মী ও সমর্থক সমাবেশে তিনি বলেন, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু।
আমরা সবাই নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করে একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে বিগত নির্বাচনে জয়ী করেছিলাম। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এবার হাই কমান্ড থেকে কোন প্রতীক দেয়া হয়নি। উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন জানানো হয়েছে বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিরল প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রমাকান্ত রায়কে।
আমরা পাঁচ নং বিরল ইউনিয়নবাসী বিগত পাঁচ বছরে উপজেলা থেকে উন্নয়নমূলক উল্লেখযোগ্য কোন আর্থিক সহযোগিতা পাইনি। ৫ নং ইউনিয়নের মাধববাটি গ্রামে পারিবারিক একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক আছে। এখানে অনেক গর্ভবতী মা-বোন চিকিৎসা নিতে আসে যাদের বসার জন্য আমি উপজেলা পর্যায়ে থেকে একটি বরাদ্দের জন্য তার কাছে বারবার ঘুরে ও কোন বরাদ্দ আদায় করতে পারিনি।
উপজেলা পরিষদের একটি মাসিক সমন্বয় তিনি বলেছিলেন, সেই কাগজটি আমি হারিয়ে ফেলেছি। এতেই বুঝে নিতে হবে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি কতটা দায়িত্বশীল ! বিগত পাঁচ বছরে তিনি প্রায় পৌণে দুই কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। এই কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ছোটখাটো রাস্তা সংস্কার, হেরিং বোম তৈরি, কালভার্ট ইত্যাদি। মাধববাটিতে খেলার মাঠের পাশে একটি ড্রেনের জন্য তার কাছে সহযোগিতা চেয়েছি সেখানেও বিফল হয়েছি। আলিপুর এলাকার একটি রাস্তা তিনি করে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তা করে দেননি। কথা দিয়ে কথা রাখেনি আগের উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। ভোট নিয়ে চলে গেছে তারপর এই এলাকার লোকটাকে আর তাকে খুঁজে পায়নি। টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের শুধু কমিশন খান তিনি। তিনি কোন কাজ করেন না।
এ বিষয়ে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের সেলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ সময় অন্যান্য দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পাঁচ নং বিরল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম, স্থানীয় মেম্বার রেজাউল ইসলামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।