বুধবারও আমরা সতর্ক দৃষ্টিতে রাখব : তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঘিরেও তারা দেশে অশান্তি তৈরি করেছিল। তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে, গাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং জনগণের শান্তি নিরাপত্তা স্থিতি বিনষ্ট করেছে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) আমরা সতর্ক দৃষ্টিতে রাখব, সতর্ক পাহারায় থাকব। আমাদের দল সতর্ক পাহারায় থাকবে যাতে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। যদি করার চেষ্টা করা হয় জনগণ প্রতিহত করবে, আমাদের দল জনগণের সাথে থাকবে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপির দেশব্যাপী গণঅবস্থান কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বা কোনো বিরোধী দল যদি শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচি পালন করে সে ক্ষেত্রে সরকার সবসময় সহযোগিতা করেছে এবং করবে। কিন্তু আমরা সবসময় দেখেছি তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা বলে সেখানে অশান্তি তৈরি করে এবং জনগণের সম্পত্তি বিনষ্ট করে।
বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার জামিনে মুক্তি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব এবং মির্জা আব্বাস সাহেব যে মুক্তি পেয়েছেন এতেই প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের আইন আদালত স্বাধীন। কারণ সরকার তাদের গ্রেফতার করেছিল, তারা আইনি লড়ায়ের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি লাভ করেছেন। দেশের আইন আদালত অত্যন্ত স্বাধীনভাবে কাজ করে, সেই কারণেই তারা মুক্তি লাভ করেছেন। আমি তাদের দু’জনের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি। তারা যাতে সুস্বাস্থ্য বজায় রেখে সরকারের বিরোধিতা করতে পারে, সেটিই আমি কামনা করি।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে এমআইটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সৈয়দ ফয়সালের মৃত্যুকে অত্যন্ত অনভিপ্রেত, দুঃখজনক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রেও যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই হত্যাকাণ্ড।
তিনি বলেন, আমি পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি ছাত্রের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে, তদন্ত চলছে। আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা এই ঘটনার জন্য দোষী, তাদের বিচার হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র এবং মানবাধিকার যাতে রক্ষিত হয় সেটিই আমরা চাই। আমাদের দেশে মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয়, কেউ লঙ্ঘন না করে সেদিকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। বিশ্বময় কোথাও যেন মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় সেটিও আমরা চাই।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন বাংলাদেশ সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল লাউবেখার বলেছেন, বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী এবং যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে। আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।