ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিদেশিরা মাঝে-মধ্যে আহাম্মকের মতো সুপারিশ করে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেট ব্যুরো অফিস : 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুব সীমিত। তারা আমাদের মাঝে-মধ্যে যে সুপারিশ দেয়, সেগুলো খুব আহাম্মকের মতো মনে হয়, অলীক। বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালো জানে এ দেশের মানুষ।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) সিলেটের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে আয়োজিত কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুব সীমিত। সবচেয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন বাঙালিরা। অথচ বিদেশিরা যখন আমাদের কোনো পরামর্শ দেন তখন সেটি হাস্যকর। সবচেয়ে ভাল জ্ঞান রাখে বাঙালিরা। কারণ, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ, যে দেশের মানুষ মানবতা, গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের জন্য রক্ত দিয়েছেন। এ দেশের ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছেন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। দুনিয়ার আর কোথাও এমন নজির নেই। অথচ বিদেশিরা আসে আমাদের বুঝাতে। কিন্তু এ দেশের প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে ডেমোক্রেসি আছে।

তিনি বলেন, তারা (বিদেশিরা) আসছেন আমাদের বোঝাতে। এখানে প্রত্যেকের হৃদয়ে গণতন্ত্র। নির্বাচনে যান ৭০/৮০ ভাগের নিচে লোকে ভোট দেয় না। আর যারা আমাদের সুপারিশ দেন, তাদের দেশে মাত্র ২৫ শতাংশ লোক ভোট দেয়। আবার এসে বড় বড় কথা বলে। নিজেদের দিকে তাকায় না কেনো তারা? তাদের দেশে নির্বাচন করতে প্রার্থী পাওয়া যায় না। আর আমাদের দেশে একটি পদে ১০০ জন দাঁড় হয়ে যায়।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আপনারা মিডিয়ারা অতো হইচই করেন কেনো? বরং আপনাদের কারণে বেদিশিরা পাত্তা পাচ্ছে। আপনারা বিদেশিদের কাভার করা (সংবাদ প্রচার) বন্ধ করেন। কাভার যদি বন্ধ করেন, তাহলে পরের দিন থেকে ওরা ঘরে বসে হুক্কা খাবে। আপনাদের কারণে তারা মজা পায়, নিজেদের রাজা মনে করে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, তারা (বিদেশি) কারও সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করতে চায়, তাতে আমাদের কি? এগুলো নিয়ে মাথাব্যথার কারণ নেই। আমাদের দেশে কোনো কিছু গোপনও করি না। আমরা খুবই ট্রান্সপারেন্ট (স্বচ্ছ)। আমাদের দেশে প্রতিদিন সাড়ে ১২ হাজার পত্রিকা, মাসে ১৮শ’ সাময়িকী বের হয়। আর কোথাও আছে? সুতরাং ওই হিসাব বন্ধ করেন। আপনারা পাত্তা না দিলেই ভালো।

ড. মোমেন বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস ও ভিশনের কারণে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। প্রতিবেশি রাষ্ট্রের চেয়ে আমাদের অবস্থান অনেক অনেক উন্নত হয়েছে। আমরা দারিদ্রের মতো অভিশাপকে অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি। পাশ্ববর্তী দেশ থেকে আমরা অনেক ভালো করছি। যেহেতু অনেক ভালো করছি, সে কারণে আকর্ষণ বেড়েছে। অনেকে ফায়দাও লুটতে চাচ্ছেন।

বাংলাদেশে শান্তিতে আছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে গত ১৪ বছরে শান্তির স্থিতিশীলতা আছে। বাংলাদেশ এখন আর দরিদ্র দেশ না। দুনিয়াতে যে দেশে শান্তির স্থিতিশীলতা থাকে, সে দেশ উন্নত হয়। সিঙ্গাপুর, ই্ইউই দেখেন, যেখানে শান্তিশৃঙ্খলা আছে, ওখানে উন্নতিটা হয়। আর যেখানে অশান্তি থাকে, সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। উদাহরণ স্বরূপ লিবিয়া, সিরিয়া দেখেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, কতিপয় লোক শান্তি বাংলাদেশে চায় না। এ জন্য বিরোধী দল বিএনপির দিকে আঙুল তুলেন মন্ত্রী।

একে মোমেন বলেন, অশান্তি হলে তাদের ব্যক্তিগ ফায়দা লুটার সুযোগ হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের বিরোধীদলীয় নেত্রী আছেন, যারা চান না দেশ এরকম উন্নয়নের মহাসড়কে উঠুক, দেশ উন্নত দেশ হোক। তারা তাদের ব্যক্তিস্বার্থের জন্য খুবই দুশ্চিন্তায় থাকেন। যে কারণে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে অশান্তির সৃষ্টি করতে চান। অশান্তি হলে তাদেরও বারোটা বাজবে। তারা বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তারা নিজের পা কেটে হলেও দেশের ক্ষতি করতে চায়।

ড. মোমেন বলেন, যেহেতু আমরা প্রতিবেশী দেশ থেকে অনেক ভালো করছি, এজন্য অনেকে আকর্ষণবোধ করছেন। অনেকে অনেকভাবে ফায়দাও লুটতে চাচ্ছেন। বিশ্বের যেসব দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আছে সেসব দেশেই উন্নতি ঘটে। বাংলাদেশেও তা ঘটছে। যেসব দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নেই, সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। তবে আমাদের কিছু লোক চায় না দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করুক। কারণ, দেশ অশান্ত থাকলে তাদের ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিল হয়।

তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে বিরোধীদলীয় অনেক নেতা আছেন যারা চান না আমাদের দেশ উন্নত হোক। তারা তাদের ব্যক্তিস্বার্থের জন্য দুশ্চিন্তায় থাকেন। এজন্য তারা বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে লোকজনকে উসকে দেন। দেশ অশান্ত হলে তারাও কিন্তু শান্তিতে থাকবেন না। বিশ্বের যেসব দেশে যে পক্ষ অশান্তি সৃষ্টি করেছে তারাও কিন্তু শান্তিতে নেই। কিন্তু নিজের পা কেটেও তারা অন্যের ক্ষতি করতে চায়।

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের কারণে দেশে যে কত উন্নয়ন হচ্ছে তা আমরা টের পাচ্ছি না। কমিউনিটি ক্লিনিক হওয়ার ফলে দেশে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু অনেক কমে গেছে। আগে তা প্রায় ৮৬ শতাংশ ছিলে। এরমধ্যে সিলেটে শিশুমৃত্যু-মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে বেশি ছিলে। এগুলো অনেক কমে এসেছে।

মতবিনিময় সভায় সিলেটে আরও সাতটি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে সিলেট-১ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের মোট ২৪টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক প্রয়োজন। আশা করছি, দ্রুতই এগুলো পেয়ে যাবো।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, বিএমএর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল চৌধুরী দুলাল, স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার, সীমান্তিকের প্রধান প্যাট্রন ড. আহমদ আল কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশিরা মাঝে-মধ্যে আহাম্মকের মতো সুপারিশ করে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:৩১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

সিলেট ব্যুরো অফিস : 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুব সীমিত। তারা আমাদের মাঝে-মধ্যে যে সুপারিশ দেয়, সেগুলো খুব আহাম্মকের মতো মনে হয়, অলীক। বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালো জানে এ দেশের মানুষ।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) সিলেটের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে আয়োজিত কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুব সীমিত। সবচেয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন বাঙালিরা। অথচ বিদেশিরা যখন আমাদের কোনো পরামর্শ দেন তখন সেটি হাস্যকর। সবচেয়ে ভাল জ্ঞান রাখে বাঙালিরা। কারণ, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ, যে দেশের মানুষ মানবতা, গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের জন্য রক্ত দিয়েছেন। এ দেশের ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছেন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। দুনিয়ার আর কোথাও এমন নজির নেই। অথচ বিদেশিরা আসে আমাদের বুঝাতে। কিন্তু এ দেশের প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে ডেমোক্রেসি আছে।

তিনি বলেন, তারা (বিদেশিরা) আসছেন আমাদের বোঝাতে। এখানে প্রত্যেকের হৃদয়ে গণতন্ত্র। নির্বাচনে যান ৭০/৮০ ভাগের নিচে লোকে ভোট দেয় না। আর যারা আমাদের সুপারিশ দেন, তাদের দেশে মাত্র ২৫ শতাংশ লোক ভোট দেয়। আবার এসে বড় বড় কথা বলে। নিজেদের দিকে তাকায় না কেনো তারা? তাদের দেশে নির্বাচন করতে প্রার্থী পাওয়া যায় না। আর আমাদের দেশে একটি পদে ১০০ জন দাঁড় হয়ে যায়।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আপনারা মিডিয়ারা অতো হইচই করেন কেনো? বরং আপনাদের কারণে বেদিশিরা পাত্তা পাচ্ছে। আপনারা বিদেশিদের কাভার করা (সংবাদ প্রচার) বন্ধ করেন। কাভার যদি বন্ধ করেন, তাহলে পরের দিন থেকে ওরা ঘরে বসে হুক্কা খাবে। আপনাদের কারণে তারা মজা পায়, নিজেদের রাজা মনে করে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, তারা (বিদেশি) কারও সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করতে চায়, তাতে আমাদের কি? এগুলো নিয়ে মাথাব্যথার কারণ নেই। আমাদের দেশে কোনো কিছু গোপনও করি না। আমরা খুবই ট্রান্সপারেন্ট (স্বচ্ছ)। আমাদের দেশে প্রতিদিন সাড়ে ১২ হাজার পত্রিকা, মাসে ১৮শ’ সাময়িকী বের হয়। আর কোথাও আছে? সুতরাং ওই হিসাব বন্ধ করেন। আপনারা পাত্তা না দিলেই ভালো।

ড. মোমেন বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস ও ভিশনের কারণে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। প্রতিবেশি রাষ্ট্রের চেয়ে আমাদের অবস্থান অনেক অনেক উন্নত হয়েছে। আমরা দারিদ্রের মতো অভিশাপকে অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি। পাশ্ববর্তী দেশ থেকে আমরা অনেক ভালো করছি। যেহেতু অনেক ভালো করছি, সে কারণে আকর্ষণ বেড়েছে। অনেকে ফায়দাও লুটতে চাচ্ছেন।

বাংলাদেশে শান্তিতে আছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে গত ১৪ বছরে শান্তির স্থিতিশীলতা আছে। বাংলাদেশ এখন আর দরিদ্র দেশ না। দুনিয়াতে যে দেশে শান্তির স্থিতিশীলতা থাকে, সে দেশ উন্নত হয়। সিঙ্গাপুর, ই্ইউই দেখেন, যেখানে শান্তিশৃঙ্খলা আছে, ওখানে উন্নতিটা হয়। আর যেখানে অশান্তি থাকে, সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। উদাহরণ স্বরূপ লিবিয়া, সিরিয়া দেখেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, কতিপয় লোক শান্তি বাংলাদেশে চায় না। এ জন্য বিরোধী দল বিএনপির দিকে আঙুল তুলেন মন্ত্রী।

একে মোমেন বলেন, অশান্তি হলে তাদের ব্যক্তিগ ফায়দা লুটার সুযোগ হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের বিরোধীদলীয় নেত্রী আছেন, যারা চান না দেশ এরকম উন্নয়নের মহাসড়কে উঠুক, দেশ উন্নত দেশ হোক। তারা তাদের ব্যক্তিস্বার্থের জন্য খুবই দুশ্চিন্তায় থাকেন। যে কারণে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে অশান্তির সৃষ্টি করতে চান। অশান্তি হলে তাদেরও বারোটা বাজবে। তারা বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তারা নিজের পা কেটে হলেও দেশের ক্ষতি করতে চায়।

ড. মোমেন বলেন, যেহেতু আমরা প্রতিবেশী দেশ থেকে অনেক ভালো করছি, এজন্য অনেকে আকর্ষণবোধ করছেন। অনেকে অনেকভাবে ফায়দাও লুটতে চাচ্ছেন। বিশ্বের যেসব দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আছে সেসব দেশেই উন্নতি ঘটে। বাংলাদেশেও তা ঘটছে। যেসব দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নেই, সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। তবে আমাদের কিছু লোক চায় না দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করুক। কারণ, দেশ অশান্ত থাকলে তাদের ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিল হয়।

তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে বিরোধীদলীয় অনেক নেতা আছেন যারা চান না আমাদের দেশ উন্নত হোক। তারা তাদের ব্যক্তিস্বার্থের জন্য দুশ্চিন্তায় থাকেন। এজন্য তারা বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে লোকজনকে উসকে দেন। দেশ অশান্ত হলে তারাও কিন্তু শান্তিতে থাকবেন না। বিশ্বের যেসব দেশে যে পক্ষ অশান্তি সৃষ্টি করেছে তারাও কিন্তু শান্তিতে নেই। কিন্তু নিজের পা কেটেও তারা অন্যের ক্ষতি করতে চায়।

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের কারণে দেশে যে কত উন্নয়ন হচ্ছে তা আমরা টের পাচ্ছি না। কমিউনিটি ক্লিনিক হওয়ার ফলে দেশে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু অনেক কমে গেছে। আগে তা প্রায় ৮৬ শতাংশ ছিলে। এরমধ্যে সিলেটে শিশুমৃত্যু-মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে বেশি ছিলে। এগুলো অনেক কমে এসেছে।

মতবিনিময় সভায় সিলেটে আরও সাতটি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে সিলেট-১ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের মোট ২৪টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক প্রয়োজন। আশা করছি, দ্রুতই এগুলো পেয়ে যাবো।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, বিএমএর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল চৌধুরী দুলাল, স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার, সীমান্তিকের প্রধান প্যাট্রন ড. আহমদ আল কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।