ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিএনপি নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে : কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি যা-ই কিছু বলুক, শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসবে। বিএনপি ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, টাকা পয়সা কারে কত দেবে হিসাব করে ফেলেছে। আমাদের কাছে তো খোঁজ খবর আছে। আন্দোলনের ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও নিচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনে আসুক আমরা চাই।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে তো দেশের মানুষ মনে করে আগুন নিয়ে আসছে। আগুন নিয়ে খেলা। খালেদা জিয়া তো আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আস্তে আস্তে আন্দোলনের নামে তৈরি হচ্ছে পরে আগুন নিয়ে খেলবে। আমাদের খেলা আগুন নিয়ে খেলা না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায়। তাদের শর্ত সেটা হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন। অথচ যেটার কোনো অস্তিত্ব নেই। যেটা আদালত নাকচ করে দিয়েছে। কাজেই নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীন। এটি কোনো আজিজ মার্কা কমিশন না। এটির আইনগত ভিত্তি আছে। ভুলত্রুটি থাকলে তা দূর করে তারা ভবিষ্যতে আরও পারফেক্ট হবে। এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আপত্তির কোনো কারণ দেখছি না।

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, তাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য রাজনৈতিক সরকার পরিবর্তনের। বৈশ্বিক কারণে দেশ যে সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা উত্তোরণ তাদের লক্ষ্য নয়। তাদের উদ্দেশ্য ক্ষমতায় যাওয়া। সেই পরিবর্তন কেবল নির্বাচনের মধ্য দিয়েই হবে।

বিএনপির আন্দোলনের অসারতার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি আফ্রিকার অর্থনৈতিক সঙ্কটের উদহারণ সামনে নিয়ে আসেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর মধ্যে আফ্রিকার দেশগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে। আজকে দেখুন সোমালিয়ায় প্রতি ৩৬ সেকেন্ডে একজন লোক মারা যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে তো সরকার পতনের আন্দোলন হচ্ছে না। সেখানেও বিরোধীদল আছে। তারা সবাই জনমানুষের সমস্যা দূর করতে চায়। এটি তাদের অভিন্ন উদ্দেশ্য। কিন্তু বিএনপির সবকিছু তাদের বক্তব্যেই স্পষ্ট। তারা বলছে, সরকারকে পালাতে হবে, কেউ বলে লালকার্ড দেখাতে হবে। এসব তারা করছে, সরকার পতনের জন্য।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতুর পর ১০০টি সেতুর উদ্বোধন একটি ঐতিহাসিক কাজ। এ রকম আর কোথাও ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। একসঙ্গে ১০০ সেতুর উদ্বোধনের রেকর্ড না থাকলেও আমরা তা করে দেখিয়েছি। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রদর্শিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা দেখেছি।

আগামী ২৪ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল জাঁকজমকের মধ্য দিয়ে হবে না বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমাদের দলের জাতীয় কাউন্সিল একদিনেই হবে। তবে এবারে জাঁকজমক সাজসজ্জা কম হবে। বৈশ্বিক সঙ্কটের কারণে আমরা কৃচ্ছ্র সাধন করতে চাই। সম্মেলনেও তার প্রতিফলন ঘটবে। গঠনতন্ত্র ঘোষণাপত্র প্রতি সম্মেলনেই আপডেট হয়। সময় উপযোগী করা হবে। আমাদের এগারোটা উপকমিটি আছে, তারা বৈঠক করছে। যার যার কাজ করছে।

গঠনতন্ত্রে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কমিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে : কাদের

আপডেট সময় : ০৭:০৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি যা-ই কিছু বলুক, শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসবে। বিএনপি ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, টাকা পয়সা কারে কত দেবে হিসাব করে ফেলেছে। আমাদের কাছে তো খোঁজ খবর আছে। আন্দোলনের ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও নিচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনে আসুক আমরা চাই।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে তো দেশের মানুষ মনে করে আগুন নিয়ে আসছে। আগুন নিয়ে খেলা। খালেদা জিয়া তো আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আস্তে আস্তে আন্দোলনের নামে তৈরি হচ্ছে পরে আগুন নিয়ে খেলবে। আমাদের খেলা আগুন নিয়ে খেলা না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায়। তাদের শর্ত সেটা হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন। অথচ যেটার কোনো অস্তিত্ব নেই। যেটা আদালত নাকচ করে দিয়েছে। কাজেই নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীন। এটি কোনো আজিজ মার্কা কমিশন না। এটির আইনগত ভিত্তি আছে। ভুলত্রুটি থাকলে তা দূর করে তারা ভবিষ্যতে আরও পারফেক্ট হবে। এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আপত্তির কোনো কারণ দেখছি না।

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, তাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য রাজনৈতিক সরকার পরিবর্তনের। বৈশ্বিক কারণে দেশ যে সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা উত্তোরণ তাদের লক্ষ্য নয়। তাদের উদ্দেশ্য ক্ষমতায় যাওয়া। সেই পরিবর্তন কেবল নির্বাচনের মধ্য দিয়েই হবে।

বিএনপির আন্দোলনের অসারতার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি আফ্রিকার অর্থনৈতিক সঙ্কটের উদহারণ সামনে নিয়ে আসেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর মধ্যে আফ্রিকার দেশগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে। আজকে দেখুন সোমালিয়ায় প্রতি ৩৬ সেকেন্ডে একজন লোক মারা যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে তো সরকার পতনের আন্দোলন হচ্ছে না। সেখানেও বিরোধীদল আছে। তারা সবাই জনমানুষের সমস্যা দূর করতে চায়। এটি তাদের অভিন্ন উদ্দেশ্য। কিন্তু বিএনপির সবকিছু তাদের বক্তব্যেই স্পষ্ট। তারা বলছে, সরকারকে পালাতে হবে, কেউ বলে লালকার্ড দেখাতে হবে। এসব তারা করছে, সরকার পতনের জন্য।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতুর পর ১০০টি সেতুর উদ্বোধন একটি ঐতিহাসিক কাজ। এ রকম আর কোথাও ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। একসঙ্গে ১০০ সেতুর উদ্বোধনের রেকর্ড না থাকলেও আমরা তা করে দেখিয়েছি। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রদর্শিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা দেখেছি।

আগামী ২৪ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল জাঁকজমকের মধ্য দিয়ে হবে না বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমাদের দলের জাতীয় কাউন্সিল একদিনেই হবে। তবে এবারে জাঁকজমক সাজসজ্জা কম হবে। বৈশ্বিক সঙ্কটের কারণে আমরা কৃচ্ছ্র সাধন করতে চাই। সম্মেলনেও তার প্রতিফলন ঘটবে। গঠনতন্ত্র ঘোষণাপত্র প্রতি সম্মেলনেই আপডেট হয়। সময় উপযোগী করা হবে। আমাদের এগারোটা উপকমিটি আছে, তারা বৈঠক করছে। যার যার কাজ করছে।

গঠনতন্ত্রে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কমিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখছে।