ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে ৩৩ শতাংশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • / ৪৭২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গত এক বছরের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে ৩৩ শতাংশ। একই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়ছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। বুধবার (১০ মে) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এতে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার। গত ফেব্রুয়ারিতে এ হার ছিলো ৮ শতাংশের বেশি। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় দরিদ্র ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। একই সঙ্গে খাদ্য খাতে তাদের ব্যয় বেড়ে গেছে।

মার্কিন সরকারের বৈদেশিক সাহায্যদাতা সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত এক জরিপ প্রতিবেদনের উল্লেখ করে এতে বলা হয়, খাদ্যের চড়া দাম প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দরিদ্র ভোক্তাদের খাদ্য কেনার সক্ষমতা কমে গেছে। একই সঙ্গে এ খাতে তাদের ব্যয়ের পরিমাণও বেড়ে গেছে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯ শতাংশে উঠেছিলো। এরপর থেকে তা কমতে থাকে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত কমেছে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আবার বেড়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৮ দশমিক ১ শতাংশে নেমেছিলো। গত জানুয়ারি পর্যন্ত তা কমে ৭ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে যায়। গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ হার আবার বাড়তে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ৮ দশমিক ১ শতাংশ। মার্চে তা আরও বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন রোজা ও ঈদের কারণে গত এপ্রিলে পণ্যমূল্য বেড়েছে। তার পরও খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার কিভাবে কমলো।

বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতে খাদ্যমূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। মার্চে এ হার ছিলো ৫ দশমিক ১ শতাংশ। নেপালেও কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানে ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ।

শ্রীলংকাতে খাদ্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করায় এ খাতে মূল্যস্ফীতির হারও কমছে। গত মার্চে সে দেশে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ। মার্চে তা কমে ৩০ দশমিক ৬ শতাংশে নেমেছে। মালদ্বীপে বেড়ে ৮ শতাংশ হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে ৩৩ শতাংশ

আপডেট সময় : ০১:৫০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গত এক বছরের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে ৩৩ শতাংশ। একই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়ছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। বুধবার (১০ মে) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এতে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার। গত ফেব্রুয়ারিতে এ হার ছিলো ৮ শতাংশের বেশি। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় দরিদ্র ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। একই সঙ্গে খাদ্য খাতে তাদের ব্যয় বেড়ে গেছে।

মার্কিন সরকারের বৈদেশিক সাহায্যদাতা সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত এক জরিপ প্রতিবেদনের উল্লেখ করে এতে বলা হয়, খাদ্যের চড়া দাম প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দরিদ্র ভোক্তাদের খাদ্য কেনার সক্ষমতা কমে গেছে। একই সঙ্গে এ খাতে তাদের ব্যয়ের পরিমাণও বেড়ে গেছে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯ শতাংশে উঠেছিলো। এরপর থেকে তা কমতে থাকে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত কমেছে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আবার বেড়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৮ দশমিক ১ শতাংশে নেমেছিলো। গত জানুয়ারি পর্যন্ত তা কমে ৭ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে যায়। গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ হার আবার বাড়তে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ৮ দশমিক ১ শতাংশ। মার্চে তা আরও বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন রোজা ও ঈদের কারণে গত এপ্রিলে পণ্যমূল্য বেড়েছে। তার পরও খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার কিভাবে কমলো।

বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতে খাদ্যমূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। মার্চে এ হার ছিলো ৫ দশমিক ১ শতাংশ। নেপালেও কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানে ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ।

শ্রীলংকাতে খাদ্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করায় এ খাতে মূল্যস্ফীতির হারও কমছে। গত মার্চে সে দেশে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ। মার্চে তা কমে ৩০ দশমিক ৬ শতাংশে নেমেছে। মালদ্বীপে বেড়ে ৮ শতাংশ হয়েছে।