ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাংলাদেশের যে কোনো বিপদে পাশে আছে ভারত : আসামের স্পিকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : 

মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে ছিল, এখনও যে কোনো বিপদে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির আসাম রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারী।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারীর নেতৃত্বে আসাম রাজ্য সরকারের ৬২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পাঁচদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছে। এ দলটি আখাউড়া চেকপোস্টে এলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রণয় চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা স্বাগত জানান। ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ জানান, আসামের এই প্রতিনিধি দলটির সফরের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব আর বাণিজ্য সম্পর্ক আরো জোরদার করা। সফরকালে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারী বলেন, মহাভারতে আসাম ও বাংলাদেশ এক ছিল। আমরা এখন জানতে এসেছি এখানকার সংসদীয় প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থা কেমন। সংসদ সদস্যরা মানুষের সমস্যাগুলো কীভাবে সংসদে উপস্থাপন করে সমাধানের ব্যবস্থা করে সেটি আমরা জানতে চাই। আমরা বাংলাদেশের কয়েকটি পণ্য উৎপাদনকারী ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দেখবো।

সফরের মাধ্যমে দুইদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হবে উল্লেখ করে স্পিকার আরও বলেন, শুধুমাত্র প্রশাসনিকভাবে আমরা আলাদা। ভৌগোলিক ও মনের দিক থেকে আমরা আলাদা হইনি। অন্যক্ষেত্রেও আমাদের মিল রয়েছে। আগে আসামে মানুষের জীবিকা ছিল কৃষি। এখন ব্যবসাটাই মূল। এই সফরের বাণিজ্যিক সুফল পাবে আসামের যুব সমাজ।

ঢাকায় সফর শেষ করে তারা আসামের লোক বসবাস করা রাঙামাটির একটি গ্রামে যাবেন। প্রতিনিধি দলটি খাগড়াছড়িতে বোড়ো জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তাদের সঙ্গে থাকা সাংস্কৃতিক দলটি বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেবে। সফর শেষে আগামী ২২ নভেম্বর দলটি বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের যে কোনো বিপদে পাশে আছে ভারত : আসামের স্পিকার

আপডেট সময় : ০৭:২৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : 

মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে ছিল, এখনও যে কোনো বিপদে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির আসাম রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারী।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারীর নেতৃত্বে আসাম রাজ্য সরকারের ৬২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পাঁচদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছে। এ দলটি আখাউড়া চেকপোস্টে এলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রণয় চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা স্বাগত জানান। ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ জানান, আসামের এই প্রতিনিধি দলটির সফরের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব আর বাণিজ্য সম্পর্ক আরো জোরদার করা। সফরকালে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারী বলেন, মহাভারতে আসাম ও বাংলাদেশ এক ছিল। আমরা এখন জানতে এসেছি এখানকার সংসদীয় প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থা কেমন। সংসদ সদস্যরা মানুষের সমস্যাগুলো কীভাবে সংসদে উপস্থাপন করে সমাধানের ব্যবস্থা করে সেটি আমরা জানতে চাই। আমরা বাংলাদেশের কয়েকটি পণ্য উৎপাদনকারী ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দেখবো।

সফরের মাধ্যমে দুইদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হবে উল্লেখ করে স্পিকার আরও বলেন, শুধুমাত্র প্রশাসনিকভাবে আমরা আলাদা। ভৌগোলিক ও মনের দিক থেকে আমরা আলাদা হইনি। অন্যক্ষেত্রেও আমাদের মিল রয়েছে। আগে আসামে মানুষের জীবিকা ছিল কৃষি। এখন ব্যবসাটাই মূল। এই সফরের বাণিজ্যিক সুফল পাবে আসামের যুব সমাজ।

ঢাকায় সফর শেষ করে তারা আসামের লোক বসবাস করা রাঙামাটির একটি গ্রামে যাবেন। প্রতিনিধি দলটি খাগড়াছড়িতে বোড়ো জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তাদের সঙ্গে থাকা সাংস্কৃতিক দলটি বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেবে। সফর শেষে আগামী ২২ নভেম্বর দলটি বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।