ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাংলাদেশকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার শেখানোর কিছু নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে বাংলাদেশকে শেখানোর কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব ব্যাপারে (গণতন্ত্র-মানবাধিকার) বাংলাদেশকে শেখানোর কিছু নেই। কারণ এটা আমাদের মজ্জাগত। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আমাদের অন্তরে, সর্বক্ষেত্রে। গণতন্ত্র ও জাস্টিসের জন্য কারও সুপারিশ করার দরকার নেই। তবে কেউ যদি কোনো পরামর্শ দেয়, সেটা আমরা শুনবো। যাচাই-বাছাই করবো, সেটা আমাদের দেশের জন্য মঙ্গলজনক কি না। যদি ভালো হয়, তবে সেটা গ্রহণ করবো।

বাংলাদেশের সেঙ্গ যুক্তরাষ্ট্রের ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা তো আমাদের বন্ধু দেশ। দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আমাদের এখানে আসছেন। তার সঙ্গে আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পাশাপাশি অন্যান্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবো। তারা যদি কোনো কনস্ট্রাকটিভ সাজেশন দেয়, আমরা সেটি গ্রহণ করবো। আমরা একটা ব্যালেন্সড ফরেন পলিসিতে বিশ্বাস করি।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের সুসম্পর্ক থাকা স্বাভাবিক। কারণ, আমেরিকা যে বিষয়ে বিশ্বাস করে বাংলাদেশও সে বিষয়ে বিশ্বাস করে। যেমন দেখুন গণতন্ত্র, মানবাধিকার এগুলোয় বাংলাদেশ শুধু বিশ্বাস করে না, সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমাদের ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায় সরকার সমুন্নত রাখতে।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই জোটে যোগ দিতে বাংলাদেশের খুব একটা আপত্তি নেই। আমরা বিষয়টি নিয়ে স্টাডি করছি। ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরামে যোগদান করলে যদি আমাদের লাভ হয়, তাহলে আমরা যোগ দেব।

এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার শেখানোর কিছু নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে বাংলাদেশকে শেখানোর কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব ব্যাপারে (গণতন্ত্র-মানবাধিকার) বাংলাদেশকে শেখানোর কিছু নেই। কারণ এটা আমাদের মজ্জাগত। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আমাদের অন্তরে, সর্বক্ষেত্রে। গণতন্ত্র ও জাস্টিসের জন্য কারও সুপারিশ করার দরকার নেই। তবে কেউ যদি কোনো পরামর্শ দেয়, সেটা আমরা শুনবো। যাচাই-বাছাই করবো, সেটা আমাদের দেশের জন্য মঙ্গলজনক কি না। যদি ভালো হয়, তবে সেটা গ্রহণ করবো।

বাংলাদেশের সেঙ্গ যুক্তরাষ্ট্রের ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা তো আমাদের বন্ধু দেশ। দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আমাদের এখানে আসছেন। তার সঙ্গে আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পাশাপাশি অন্যান্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবো। তারা যদি কোনো কনস্ট্রাকটিভ সাজেশন দেয়, আমরা সেটি গ্রহণ করবো। আমরা একটা ব্যালেন্সড ফরেন পলিসিতে বিশ্বাস করি।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের সুসম্পর্ক থাকা স্বাভাবিক। কারণ, আমেরিকা যে বিষয়ে বিশ্বাস করে বাংলাদেশও সে বিষয়ে বিশ্বাস করে। যেমন দেখুন গণতন্ত্র, মানবাধিকার এগুলোয় বাংলাদেশ শুধু বিশ্বাস করে না, সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমাদের ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায় সরকার সমুন্নত রাখতে।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই জোটে যোগ দিতে বাংলাদেশের খুব একটা আপত্তি নেই। আমরা বিষয়টি নিয়ে স্টাডি করছি। ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরামে যোগদান করলে যদি আমাদের লাভ হয়, তাহলে আমরা যোগ দেব।

এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।