ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বর্তমানে সরকারের আয়ু আর বেশী দিন নাই : আব্দুল আউয়াল মিন্টু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি //

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, “এ সরকারের আয়ু আর বেশী দিন নাই, অদূর ভবিষতে এ সরকার যখন পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে, যারা আজকে মটর সাইকলে নিয়ে মহড়া দিয়ে সরকারের পক্ষে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে ; তারা কোথায় বেখবর হয়ে যাবে, তাদের খোঁজ কেউ পাবেনা; একটা লোকও আর রাস্তায় নামবে না।”

আজ শনিবার দুপুরে পটুয়াখালীর পুরাতন আদালত সংলগ্ন হোটেল হিলটনের কনফারেন্স রুমে  কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পটুয়াখালী জেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মসূচীতে তার অংশগ্রহনের পূর্বেই সন্ত্রাসী হামলায় সমাবেশ বানচালসহ তাকে হোটেলে অবরুদ্ধ রাখার বিষয়ে তাৎক্ষনিক এক প্রেস ব্রিফিং উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

এতে, জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্জ আ: রশীদ চুন্নু মিয়াসহ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন, বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্রি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবাদুল হক চান প্রমুখ।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে, কালকে বিএনপিও ক্ষমতায় আসতে পারে; জাতীয় পার্র্টি ক্ষমতায় ছিল-কিন্তু গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অঙ্গণের এ ধরনের পরিবেশ কারোও জন্য শুখকর নয়।”

বিএনপির জনসভায় অংশগ্রহনের জন্য জেলার বাউফল মির্জাগঞ্জ, কলাপাড়া, দশমিনা উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের সহযোগীতায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ  বিভসৎভাবে  হামলা করা হয়েছে তার বর্ণনা তুলে ধরে তিনি অভিযোগ করেন, “তাদের কমপক্ষে আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত ও জখম করা হয়েছে।”

বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান অভিযোগ করে বলেন,“পটুয়াখালীতে কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য আমাদের কর্মসূচী পালন করার তারিখ নির্ধারন করা হয় তখনই পটুয়াখালীতে সরকারীদল শান্তি সমাবেশের নামে বিশৃংখলা তৈরী করে। তবে গণতান্ত্রিক অন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হলে আজ যারা আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখলেন,সমাবেশে হামলা করলেন, অফিস ভাংচুর করলেন, মাইক ছিনিয়ে নিলেন, প্রধান অতিথিকে সমাবেশ স্থলে যেতে দিলেন না; তাদের বিরুদ্ধে কখনই কঠিন প্রতিশোধের দিকে যাবো না আমরা। অবশ্যই তাদেরকে সংশোধন করার উদ্যোগ নেব।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, “বর্তমান অবৈধ অনিবার্চিত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিগত দিনে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৬ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছি, তখন তার একটাই লাইন ছিল যে তত্ত্বাবধায়ক এবং নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। তত্ত্বাবধায়ক এবং নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহনযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে না। অতএব আমরা আপনার কথাই আপনাকে ফেরৎ দিচ্ছি। এই বাংলাদেশে কোন কালে কোন সময় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া অবাধ সুষ্ঠুও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হবে না। আপনাকে কোনভাবেই আর কোন নির্বাচন করতে এদেশে দেয়া হবে না। দেশের জনগণ আজ সংঘবদ্ধ ও একতাবদ্ধ।

তিনি বর্তমান সরকারকে একটি অগণতান্ত্রিক সরকার হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, “সরকারের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ, নিরপেক্ষ বা তত্বাবধায়ক সরকার যাই বলা হোক না কেন এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যে সরকার বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক, মানবিক, সাংবিধানিক এবং ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে। আমরা যে উদ্দ্যেশে আন্দোলন করছি তা দেশের জনগণেকে নিয়ে । আমরা এবার ইনশাআল্লাহ সফলকাম হবে “

আবদুল্লাহ আউয়াল মিন্ট ুসমাবেশ স্থলে যেতে বাঁধাসহ তাকে অবরুদ্ধ করে রেখে দেয়ার বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, “আমরা একটি সন্ত্রাসী দলের সাথে বা সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা দখলকৃত একটি দেশকে মুক্ত করতে যাচ্ছি। তারা সন্ত্রাসী করে যাচ্ছে আর বেদখল বা মুক্ত করার জন্য আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক এবং সবচেয়ে বেশী জনসমর্থিত দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব সেখানে লিডারশিপ নিয়ে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা।”

আবদুল্লাহ আউয়াল মিন্টু আজ জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহনের জন্য গতরাতে পটুয়াখালীতে সড়ক পথে এসে হোটেলে অবস্থান করেন। আজকের সমাবেশে হামলাসহ তাকে সমাবেশে অংশগ্রহনের বিষয়ে বাধার বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, “গতরাতে আমি জেলার পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলারও পরও আজও পটুয়াখালী সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)কে হোটেলের সামনে বার বার বলা সত্বেও তাকে নিরাপত্তাসহ সমাবেশ স্থলে যেতে দেয়া হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বর্তমানে সরকারের আয়ু আর বেশী দিন নাই : আব্দুল আউয়াল মিন্টু

আপডেট সময় : ০৮:০১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

// পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি //

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, “এ সরকারের আয়ু আর বেশী দিন নাই, অদূর ভবিষতে এ সরকার যখন পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে, যারা আজকে মটর সাইকলে নিয়ে মহড়া দিয়ে সরকারের পক্ষে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে ; তারা কোথায় বেখবর হয়ে যাবে, তাদের খোঁজ কেউ পাবেনা; একটা লোকও আর রাস্তায় নামবে না।”

আজ শনিবার দুপুরে পটুয়াখালীর পুরাতন আদালত সংলগ্ন হোটেল হিলটনের কনফারেন্স রুমে  কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পটুয়াখালী জেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মসূচীতে তার অংশগ্রহনের পূর্বেই সন্ত্রাসী হামলায় সমাবেশ বানচালসহ তাকে হোটেলে অবরুদ্ধ রাখার বিষয়ে তাৎক্ষনিক এক প্রেস ব্রিফিং উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

এতে, জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্জ আ: রশীদ চুন্নু মিয়াসহ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন, বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্রি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবাদুল হক চান প্রমুখ।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে, কালকে বিএনপিও ক্ষমতায় আসতে পারে; জাতীয় পার্র্টি ক্ষমতায় ছিল-কিন্তু গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অঙ্গণের এ ধরনের পরিবেশ কারোও জন্য শুখকর নয়।”

বিএনপির জনসভায় অংশগ্রহনের জন্য জেলার বাউফল মির্জাগঞ্জ, কলাপাড়া, দশমিনা উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের সহযোগীতায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ  বিভসৎভাবে  হামলা করা হয়েছে তার বর্ণনা তুলে ধরে তিনি অভিযোগ করেন, “তাদের কমপক্ষে আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত ও জখম করা হয়েছে।”

বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান অভিযোগ করে বলেন,“পটুয়াখালীতে কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য আমাদের কর্মসূচী পালন করার তারিখ নির্ধারন করা হয় তখনই পটুয়াখালীতে সরকারীদল শান্তি সমাবেশের নামে বিশৃংখলা তৈরী করে। তবে গণতান্ত্রিক অন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হলে আজ যারা আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখলেন,সমাবেশে হামলা করলেন, অফিস ভাংচুর করলেন, মাইক ছিনিয়ে নিলেন, প্রধান অতিথিকে সমাবেশ স্থলে যেতে দিলেন না; তাদের বিরুদ্ধে কখনই কঠিন প্রতিশোধের দিকে যাবো না আমরা। অবশ্যই তাদেরকে সংশোধন করার উদ্যোগ নেব।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, “বর্তমান অবৈধ অনিবার্চিত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিগত দিনে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৬ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছি, তখন তার একটাই লাইন ছিল যে তত্ত্বাবধায়ক এবং নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। তত্ত্বাবধায়ক এবং নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহনযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে না। অতএব আমরা আপনার কথাই আপনাকে ফেরৎ দিচ্ছি। এই বাংলাদেশে কোন কালে কোন সময় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া অবাধ সুষ্ঠুও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হবে না। আপনাকে কোনভাবেই আর কোন নির্বাচন করতে এদেশে দেয়া হবে না। দেশের জনগণ আজ সংঘবদ্ধ ও একতাবদ্ধ।

তিনি বর্তমান সরকারকে একটি অগণতান্ত্রিক সরকার হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, “সরকারের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ, নিরপেক্ষ বা তত্বাবধায়ক সরকার যাই বলা হোক না কেন এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যে সরকার বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক, মানবিক, সাংবিধানিক এবং ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে। আমরা যে উদ্দ্যেশে আন্দোলন করছি তা দেশের জনগণেকে নিয়ে । আমরা এবার ইনশাআল্লাহ সফলকাম হবে “

আবদুল্লাহ আউয়াল মিন্ট ুসমাবেশ স্থলে যেতে বাঁধাসহ তাকে অবরুদ্ধ করে রেখে দেয়ার বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, “আমরা একটি সন্ত্রাসী দলের সাথে বা সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা দখলকৃত একটি দেশকে মুক্ত করতে যাচ্ছি। তারা সন্ত্রাসী করে যাচ্ছে আর বেদখল বা মুক্ত করার জন্য আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক এবং সবচেয়ে বেশী জনসমর্থিত দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব সেখানে লিডারশিপ নিয়ে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা।”

আবদুল্লাহ আউয়াল মিন্টু আজ জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহনের জন্য গতরাতে পটুয়াখালীতে সড়ক পথে এসে হোটেলে অবস্থান করেন। আজকের সমাবেশে হামলাসহ তাকে সমাবেশে অংশগ্রহনের বিষয়ে বাধার বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, “গতরাতে আমি জেলার পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলারও পরও আজও পটুয়াখালী সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)কে হোটেলের সামনে বার বার বলা সত্বেও তাকে নিরাপত্তাসহ সমাবেশ স্থলে যেতে দেয়া হয়নি।