ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বদলগাছীতে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মাটির বাড়ী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৭১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// হাফিজার রহমান, বদলগাছী (নওগাঁ) //

বদলগাছীতে হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মাটির বাড়ী (ঘড়)। নির্দশন সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা শান্তির নীড় মাটির বাড়ী এক সময় ছিল গ্রামের প্রতিটি মানুষের প্রিয় বসতি। কিন্ত কালের বিবর্তনে আর সময়ের পরিধিতে হারিয়ে গেছে দৃশ্যপট থেকে  এসব মাটির বাড়ী। বেশী দিনের কথা নয়, বাংলার প্রতিটি গ্রামে নজর কাড়তো এ ধরনের মাটির বাড়ী এবং ঘড়। ঝড় বৃষ্টি থেকে রক্ষার সাথেসাথে প্রচুর গরম ও শীতকালেও বসবাস করার মত  উপযোগী ছিলো এই মাটির বাড়ী। এসব মাটির বাড়ী তৈরীর সময় বিভিন্ন ডিজাইন ও ফুল নকশা কাটা হত। প্রতিযোগীতা চলতো কে কেমন ডিজাইন বা ফুল নকশা করতে পারে। বড় গৃহস্থরা তৈরী করত দ্বো-তলা আবার কেউ এক তলা যারা মাটির ঘড় তৈরী করত; গ্রাম বাংলার ভাষায় তাদের বলা হত ঘরামী । তাদেরকে দিয়ে তৈরী করা হত এই মাটির ঘড়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আর সময়ের আবর্তনে গ্রাম বাংলা থেকে ঐতিহ্যবাহী মাটির বাড়ী ঘড় আজ প্রায় বিলুপ্তর পথে। গরমের মৌসুমে এ ধরনের ঘর বাড়ীতে আরাম ও স্বস্তির সাথে বসবাস  করতেন গ্রামের বিত্তবানেরা।

প্রাচীনকাল থেকেই গ্রামের বিত্তবানেরা মাটির বাড়ী তৈরী করত অনেক অর্থ ব্যয় করে মজবুত করে তৈরি করতো দ্বো-তলা। আর সেখানেই আরামদায়কভাবে বসবাস করতেন তারা স্বপরিবারে। এক সময়ের জনপ্রিয় ওই মাটির ঘরবাড়ী কালেভাদ্রেও দেখা যায়না। কিন্তু কালের স্বাক্ষী হয়ে বদলগাছীতে আজও স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ছবিতে দৃশ্যমান মাটির বাড়ীটি।

উপজেলার আবাদপুর গ্রামের গৃহস্থ রঘুনাথ, নির্মল ও অখিল বলেন, আগে আঠালো মাটি দিয়ে কাঁদা পরিণত করে বাড়ীর ভিত দেয়া হত গোড়ার দিকে ২-৩ ফুট চওরা করে। বাঁশের বা তাল গাছের র্তীর দিয়ে তলা মজবুদ করা হত যাতে ৮-১২ ‘ মন ধান রাখা যায়।  এখনো আমাদের কিছু মাটির বাড়ী রয়েছে সেখানে আমরা বসবাস করি। ছেলে-মেয়েরা এসব বাড়ী পছন্দ করেনা। তারা ইটের বিন্ডিং বাড়ী করেছে। তবে মাটির বাড়ী করতে গেলে জায়গা বেশী লাগত বর্তমান কালের বিবর্তনে  অল্প জায়গায় বড় বড় বিন্ডিং হচ্ছে । ফলে বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে আবহমান গ্রাম বাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর বাড়ী।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

বদলগাছীতে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মাটির বাড়ী

আপডেট সময় : ০৩:০৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

// হাফিজার রহমান, বদলগাছী (নওগাঁ) //

বদলগাছীতে হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মাটির বাড়ী (ঘড়)। নির্দশন সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা শান্তির নীড় মাটির বাড়ী এক সময় ছিল গ্রামের প্রতিটি মানুষের প্রিয় বসতি। কিন্ত কালের বিবর্তনে আর সময়ের পরিধিতে হারিয়ে গেছে দৃশ্যপট থেকে  এসব মাটির বাড়ী। বেশী দিনের কথা নয়, বাংলার প্রতিটি গ্রামে নজর কাড়তো এ ধরনের মাটির বাড়ী এবং ঘড়। ঝড় বৃষ্টি থেকে রক্ষার সাথেসাথে প্রচুর গরম ও শীতকালেও বসবাস করার মত  উপযোগী ছিলো এই মাটির বাড়ী। এসব মাটির বাড়ী তৈরীর সময় বিভিন্ন ডিজাইন ও ফুল নকশা কাটা হত। প্রতিযোগীতা চলতো কে কেমন ডিজাইন বা ফুল নকশা করতে পারে। বড় গৃহস্থরা তৈরী করত দ্বো-তলা আবার কেউ এক তলা যারা মাটির ঘড় তৈরী করত; গ্রাম বাংলার ভাষায় তাদের বলা হত ঘরামী । তাদেরকে দিয়ে তৈরী করা হত এই মাটির ঘড়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আর সময়ের আবর্তনে গ্রাম বাংলা থেকে ঐতিহ্যবাহী মাটির বাড়ী ঘড় আজ প্রায় বিলুপ্তর পথে। গরমের মৌসুমে এ ধরনের ঘর বাড়ীতে আরাম ও স্বস্তির সাথে বসবাস  করতেন গ্রামের বিত্তবানেরা।

প্রাচীনকাল থেকেই গ্রামের বিত্তবানেরা মাটির বাড়ী তৈরী করত অনেক অর্থ ব্যয় করে মজবুত করে তৈরি করতো দ্বো-তলা। আর সেখানেই আরামদায়কভাবে বসবাস করতেন তারা স্বপরিবারে। এক সময়ের জনপ্রিয় ওই মাটির ঘরবাড়ী কালেভাদ্রেও দেখা যায়না। কিন্তু কালের স্বাক্ষী হয়ে বদলগাছীতে আজও স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ছবিতে দৃশ্যমান মাটির বাড়ীটি।

উপজেলার আবাদপুর গ্রামের গৃহস্থ রঘুনাথ, নির্মল ও অখিল বলেন, আগে আঠালো মাটি দিয়ে কাঁদা পরিণত করে বাড়ীর ভিত দেয়া হত গোড়ার দিকে ২-৩ ফুট চওরা করে। বাঁশের বা তাল গাছের র্তীর দিয়ে তলা মজবুদ করা হত যাতে ৮-১২ ‘ মন ধান রাখা যায়।  এখনো আমাদের কিছু মাটির বাড়ী রয়েছে সেখানে আমরা বসবাস করি। ছেলে-মেয়েরা এসব বাড়ী পছন্দ করেনা। তারা ইটের বিন্ডিং বাড়ী করেছে। তবে মাটির বাড়ী করতে গেলে জায়গা বেশী লাগত বর্তমান কালের বিবর্তনে  অল্প জায়গায় বড় বড় বিন্ডিং হচ্ছে । ফলে বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে আবহমান গ্রাম বাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর বাড়ী।

বা/খ: এসআর।