ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রতারণার ফাঁদে পড়ে পাবনায় ৩০ শিক্ষার্থী কলেজ জীবন নষ্ট 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
  • / ৪৬৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// এ.এইচ. মাসুক, পাবনা প্রতিনিধি //

পাবনার সাঁথিয়ায় প্রতারণার ফাঁদে পড়ে মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৩০ শিক্ষার্থীর কলেজ জীবন নষ্ট হয়েছে। কলেজটিতে চলতি ২০২২/২৩ শিক্ষাবর্ষে অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শিক্ষার্থীরা ওই কলেজে তাদের পছন্দ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা মিয়াপুর কলেজে ভর্তি হতে আসেন। এখানে প্রতারক চক্রের হাতে ধরা পড়েন শিক্ষার্থীরা।

প্রতারক মিয়ারপুর গ্রামের সুটকার ছেলে সজল হোসেন কম সময়ে অল্প খরচে তাদের ভর্তির প্রলোভন দিয়ে ৫ হাজার টাকা করে জনপ্রতি টাকা গ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা ভর্তির কথা জানতে চাইলে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এ মর্মে প্রতারক আশ্বাস দেন। ভর্তির সময় শেষে হবার পরে ৩০ শিক্ষার্থী জানতে পারে কলেজে তাদের ভর্তি নিশ্চিত হয়নি। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তাদের জীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হওয়ার অনিশ্চিত ভবিষৎ শিক্ষা জীবন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগী চার শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন , সাদিয়া খাতুন , রাকিব হোসেন ও জামিরুল সরকার টাকা ফেরত ও ভর্তি নিশ্চিত করতে অধ্যক্ষ বরাবর প্রতারক সজলের বিরুদ্ধে দরখাস্ত দেন। এ ঘটনার পর থেকে প্রতারক সজল পলাতক রয়েছে।

মিয়ারপুর হাজী জসিম উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান জানান , শিক্ষার্থীরা কলেজের অফিসে যোগাযোগ না করে প্রতারকের সাথে যোগাযোগ করে ভর্তির জন্য টাকা দিয়েছে। প্রায় ৩০/৩২ জন শিক্ষার্থী নিকট থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে সজল। শিক্ষার্থীদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। ভর্তির সময় না থাকায় তারা এ বছর এইচ.এস.সিতে ভর্তি হতে পারবে না।

এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রতারণার ফাঁদে পড়ে পাবনায় ৩০ শিক্ষার্থী কলেজ জীবন নষ্ট 

আপডেট সময় : ১১:০৮:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

// এ.এইচ. মাসুক, পাবনা প্রতিনিধি //

পাবনার সাঁথিয়ায় প্রতারণার ফাঁদে পড়ে মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৩০ শিক্ষার্থীর কলেজ জীবন নষ্ট হয়েছে। কলেজটিতে চলতি ২০২২/২৩ শিক্ষাবর্ষে অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শিক্ষার্থীরা ওই কলেজে তাদের পছন্দ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা মিয়াপুর কলেজে ভর্তি হতে আসেন। এখানে প্রতারক চক্রের হাতে ধরা পড়েন শিক্ষার্থীরা।

প্রতারক মিয়ারপুর গ্রামের সুটকার ছেলে সজল হোসেন কম সময়ে অল্প খরচে তাদের ভর্তির প্রলোভন দিয়ে ৫ হাজার টাকা করে জনপ্রতি টাকা গ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা ভর্তির কথা জানতে চাইলে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এ মর্মে প্রতারক আশ্বাস দেন। ভর্তির সময় শেষে হবার পরে ৩০ শিক্ষার্থী জানতে পারে কলেজে তাদের ভর্তি নিশ্চিত হয়নি। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তাদের জীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হওয়ার অনিশ্চিত ভবিষৎ শিক্ষা জীবন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগী চার শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন , সাদিয়া খাতুন , রাকিব হোসেন ও জামিরুল সরকার টাকা ফেরত ও ভর্তি নিশ্চিত করতে অধ্যক্ষ বরাবর প্রতারক সজলের বিরুদ্ধে দরখাস্ত দেন। এ ঘটনার পর থেকে প্রতারক সজল পলাতক রয়েছে।

মিয়ারপুর হাজী জসিম উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান জানান , শিক্ষার্থীরা কলেজের অফিসে যোগাযোগ না করে প্রতারকের সাথে যোগাযোগ করে ভর্তির জন্য টাকা দিয়েছে। প্রায় ৩০/৩২ জন শিক্ষার্থী নিকট থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে সজল। শিক্ষার্থীদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। ভর্তির সময় না থাকায় তারা এ বছর এইচ.এস.সিতে ভর্তি হতে পারবে না।

এসআর।