ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ত ও বৃহত্তম ট্রেন স্টেশন  ভারতের হাওড়া স্টেশন

মোঃ হায়দার আলী
  • আপডেট সময় : ০৮:১৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৯৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কি বিষয়ে লিখব, তা চিন্তা করছিলাম, শেষ পর্যন্ত ঠিক করলাম এবার দেশের  হরতাল, অবরোধ, আগামি সংসদ  নির্বাচন, তফসিল ঘোষনা এ নিয়ে  লেখার চেষ্টা করলাম কিন্তু ভারত থেকে ঘুরে আসার পর বিদ্যালয়ের ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত চারতলা একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন রাজশাহী ১ আসনের এমপি সংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। ব্যস্ত থাকার কারণে থিম পরিবর্তন করে  ভারতের হাওড়া স্টেশন নিয়ে  লেখার জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করলাম।

১৮৫৪ সালের ১৫ অগস্ট। সকাল ৮টা নাগাদ হাওড়া থেকে হুগলির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে একটি ট্রেন। ঐতিহাসিক এই যাত্রা দিয়েই হাওড়া স্টেশনের পথ চলা শুরু। শুরুর মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা ছিল লাখ লাখ মানুষ।

হাওড়া রেল ষ্টোশন (হাওড়া জংশন বা অনানুষ্ঠানিকভাবে হাওড়া স্টেশন নামেও পরিচিত) হল একটি রেলওয়ে স্টেশন। এটি ভারতের প্রাচীনতম, বৃহত্তম এবং ব্যস্ততম রেলওয়ে কমপ্লেক্সের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম এবং বৃহত্তম ট্রেন স্টেশন।

হাওড়া হল কলকাতা মেট্রোপলিট্টন এলাকা এবং এর যমজ শহর কলকাতা পরিষেবা প্রদানকারী ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেন স্টেশনগুলির মধ্যে একটি, অন্যগুলি হল শিয়ালদহ, ডানকুনি জংশন, সাঁতরাগাছি, শালিমার এবং কলকাতা রেলওয়ে স্টেশন। স্টেশন থেকে প্রথম পাবলিক ট্রেনটি ১৫ই আগস্ট ১৮৫৪-এ ছিল, যা এখন হাওড়া – হুগলি মেইন লাইন। বর্তমানে প্রায় ৬০০টি যাত্রীবাহী ট্রেন স্টেশনের মধ্য দিয়ে যায় যা দৈনিক ভিত্তিতে এক মিলিয়নেরও বেশি যাত্রীকে সেবা দেয়। উপরন্তু, এর ২৩টি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, এটি মোট ২৫২টি । মেল এক্সপ্রেস ট্রেন, প্রতিদিন ৫০০টি শহরতলির। ২৩টি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ১০টি ২৪টির বেশি কোচের ট্রেনের জন্য যথেষ্ট দীর্ঘ। ভারতীয় রেলওয়ে বছরের জন্য পণ্য এবং পার্সেল ট্রেনগুলিও এখানে উৎপন্ন হয় এবং শেষ হয়। হাওড়া-বর্ধমান মেইন লাইন হল সবচেয়ে ব্যস্ত লাইন যা এই স্টেশনকে সংযুক্ত করে।

এটি ভারতের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন, এর ২৩ টি প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০০ ট্রেন চলাচল করে। দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশনটি যে আমাদের রাজ্যেই রয়েছে তা জানেন। আজ্ঞে হ্যাঁ, অনেকেই হয়তো জানেন না যে আমাদের হাওড়া স্টেশনটি ভারতের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন। শুধু বৃহত্তমই নয়, এটি দেশের প্রাচীনতম রেলওয়ে স্টেশনও। প্রতিদিন প্রায় ৬০০ ট্রেন এই রেল স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করে। তাই এর আরেক নাম রেল নগরী। দেশের সবচেয়ে সুন্দর রেলস্টেশনের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছে এই স্টেশনটির।

কম সময়ে ও কম খরচে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে গেলে ভারতবাসীর প্রধান ভরসা রেলপথ। প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করেন লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী। দূরপাল্লার ট্রেনযাত্রা অনেকের কাছেই বেশ রোমাঞ্চকর। সেই ভ্রমণ কিছু লোকজন যতটা উপভোগ করে, তার চেয়েও বেশি আগ্রহ দেখায় ভারতের স্টেশনগুলি সম্পর্কে। আমরা অনেকেই জানি যে ভারতের দীর্ঘতম রেলওয়ে স্টেশন হল গোরখপুর। কিন্তু দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন কোনটি জানেন? হাওড়া জংশন। এটিই ভারতের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন। শুধু বৃহত্তমই নয়, এটি দেশের প্রাচীনতম রেলওয়ে স্টেশনও এটা।

বৃহত্তম স্টেশন ছাড়াও, এটি ভারতের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশনের মর্যাদা পেয়েছে। হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত হাওড়া স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় ৬০০টি ট্রেন এখান দিয়ে যাতায়াত করে। এখানে প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ লোক চলাচল করে। প্রথমবার এই রেল স্টেশনে পা রেখে অনেকেরই নাকি ধারণা হয় যে এটা একটা গোটা শহর। আমাদের সকলের প্রিয় এই স্টেশনটি সম্পর্কে অনেকেই হয়তো এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি জানেন না।

বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ :-

হাওড়া জংশন ভারতের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম রেল স্টেশনগুলির মধ্যে একটি। ১৮৫৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দ্বারা এই স্টেশন নির্মিত হয়। ব্রিটিশ আমলের এই রেলস্টেশনটি আজও দাঁড়িয়ে আছে স্বমহিমায়। হাওড়া শহরের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছিল। এটি ভারতের একমাত্র রেলওয়ে স্টেশন, যার সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি রেল যোগাযোগ রয়েছে। মৈত্রী এক্সপ্রেস, কলকাতা এবং ঢাকার মধ্যে চলাচল করে উভয় শহরকে সংযুক্ত করে রেখেছে।

রেলস্টেশনটি ব্রিটিশ আমলের তৈরি। এক সময় এই মোড় ছিল বিপ্লবীদের কেন্দ্রস্থল। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় তাঁদের সভা-সমাবেশ ও যাবতীয় পরিকল্পনা এখানেই প্রস্তুত করা হত। কাকোরি ঘটনার আগে হাওড়া স্টেশনে থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী যোগেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

হাওড়া জংশন দেশের সবচেয়ে সুন্দর স্টেশনের মর্যাদাও পেয়েছে। শুধু বাইরে থেকে নয়, ভিতর থেকেও এই স্টেশনটিও আন্তর্জাতিক মানের। শহরের এই রেলওয়ে স্টেশনে রয়েছে টার্মিনাল ১ এবং টার্মিনাল ২। লোকে বলে পুরোনো স্টেশন ও নতুন স্টেশন। এই জংশনে একই সময়ে অনেকগুলি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। ভারতের অন্য কোনও রেলস্টেশনে এই ব্যবস্থা নেই।

স্টেশনের পথ-

বিমান : হাওড়ার নিকটতম বিমানবন্দর হল কলকাতা বিমানবন্দর। এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ধরা যায়।

রেলপথ : হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে ভারতের সমস্ত বড় শহরের ভালো সংযোগ রয়েছে।

সড়কপথে : রাজ্য পরিবহন বাসের পাশাপাশি প্রাইভেট বাসগুলি শহরটিকে দেশের অন্যান্য শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করে।

    হাওড়া স্টেশনের চাপ কমাতে একাধিক দূরপাল্লার এ বার ছাড়বে শালিমার স্টেশন থেকে। হাওড়া স্টেশনের পরিবর্তে শালিমার স্টেশন থেকে ট্রেনগুলি ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী মাস অর্থাৎ অগস্ট মাস থেকেই  এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে।

প্রাথমিক পর্বে চার থেকে পাঁচটি ট্রেনকে হাওড়া স্টেশনের পরিবর্তে শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়া হচ্ছে। যে সব ট্রেন শালিমার থেকে ছাযা হবে, সেই তালিকায় রয়েছে হাওড়া- লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস, হাওড়া – সম্বলপুর এক্সপ্রেস। বছর কয়েক আগেই শালিমার স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এ বার দূরপাল্লার ট্রেন চালানোরও বন্দোবস্ত করছে রেল কর্তৃপক্ষ। আপাতত চার-পাঁচটি ট্রেন চালানো হলেও আগামিদিনে আরও বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন হাওড়া স্টেশনের পরিবর্তে শালিমার থেকে ছাড়া হবে। শালিমার রেল ইয়ার্ডটি ১৮৮৩ সালে তৈরি। পণ্য পরিবহণ করা হয় মূলতঃ এই স্টেশন থেকে। ২০০০ সালে যাত্রী পরিবহন পরিষেবা শুরু হয় এই স্টেশন থেকে।
রেল ভ্রমনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত ভারত, বহুদূর দুরান্তে আরাম দায়ক ভ্রমন করা যায় এখানে। তাই ট্রেন ভ্রমন  এখানে পচ্ছন্দের তালিকা থাকে ভ্রমন পিপাসুদের তালিকায়।

[লেখক : মোঃ হায়দার আলী, প্রধান শিক্ষক, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, গোদাগাড়ী, রাজশাহী। ও সহঃ সাধারন সম্পাদক, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, রাজশাহী জেলা শাখা ]
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। বাংলা খবর বিডি-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)

নিউজটি শেয়ার করুন

পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ত ও বৃহত্তম ট্রেন স্টেশন  ভারতের হাওড়া স্টেশন

আপডেট সময় : ০৮:১৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

কি বিষয়ে লিখব, তা চিন্তা করছিলাম, শেষ পর্যন্ত ঠিক করলাম এবার দেশের  হরতাল, অবরোধ, আগামি সংসদ  নির্বাচন, তফসিল ঘোষনা এ নিয়ে  লেখার চেষ্টা করলাম কিন্তু ভারত থেকে ঘুরে আসার পর বিদ্যালয়ের ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত চারতলা একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন রাজশাহী ১ আসনের এমপি সংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। ব্যস্ত থাকার কারণে থিম পরিবর্তন করে  ভারতের হাওড়া স্টেশন নিয়ে  লেখার জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করলাম।

১৮৫৪ সালের ১৫ অগস্ট। সকাল ৮টা নাগাদ হাওড়া থেকে হুগলির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে একটি ট্রেন। ঐতিহাসিক এই যাত্রা দিয়েই হাওড়া স্টেশনের পথ চলা শুরু। শুরুর মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা ছিল লাখ লাখ মানুষ।

হাওড়া রেল ষ্টোশন (হাওড়া জংশন বা অনানুষ্ঠানিকভাবে হাওড়া স্টেশন নামেও পরিচিত) হল একটি রেলওয়ে স্টেশন। এটি ভারতের প্রাচীনতম, বৃহত্তম এবং ব্যস্ততম রেলওয়ে কমপ্লেক্সের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম এবং বৃহত্তম ট্রেন স্টেশন।

হাওড়া হল কলকাতা মেট্রোপলিট্টন এলাকা এবং এর যমজ শহর কলকাতা পরিষেবা প্রদানকারী ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেন স্টেশনগুলির মধ্যে একটি, অন্যগুলি হল শিয়ালদহ, ডানকুনি জংশন, সাঁতরাগাছি, শালিমার এবং কলকাতা রেলওয়ে স্টেশন। স্টেশন থেকে প্রথম পাবলিক ট্রেনটি ১৫ই আগস্ট ১৮৫৪-এ ছিল, যা এখন হাওড়া – হুগলি মেইন লাইন। বর্তমানে প্রায় ৬০০টি যাত্রীবাহী ট্রেন স্টেশনের মধ্য দিয়ে যায় যা দৈনিক ভিত্তিতে এক মিলিয়নেরও বেশি যাত্রীকে সেবা দেয়। উপরন্তু, এর ২৩টি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, এটি মোট ২৫২টি । মেল এক্সপ্রেস ট্রেন, প্রতিদিন ৫০০টি শহরতলির। ২৩টি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ১০টি ২৪টির বেশি কোচের ট্রেনের জন্য যথেষ্ট দীর্ঘ। ভারতীয় রেলওয়ে বছরের জন্য পণ্য এবং পার্সেল ট্রেনগুলিও এখানে উৎপন্ন হয় এবং শেষ হয়। হাওড়া-বর্ধমান মেইন লাইন হল সবচেয়ে ব্যস্ত লাইন যা এই স্টেশনকে সংযুক্ত করে।

এটি ভারতের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন, এর ২৩ টি প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০০ ট্রেন চলাচল করে। দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশনটি যে আমাদের রাজ্যেই রয়েছে তা জানেন। আজ্ঞে হ্যাঁ, অনেকেই হয়তো জানেন না যে আমাদের হাওড়া স্টেশনটি ভারতের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন। শুধু বৃহত্তমই নয়, এটি দেশের প্রাচীনতম রেলওয়ে স্টেশনও। প্রতিদিন প্রায় ৬০০ ট্রেন এই রেল স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করে। তাই এর আরেক নাম রেল নগরী। দেশের সবচেয়ে সুন্দর রেলস্টেশনের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছে এই স্টেশনটির।

কম সময়ে ও কম খরচে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে গেলে ভারতবাসীর প্রধান ভরসা রেলপথ। প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করেন লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী। দূরপাল্লার ট্রেনযাত্রা অনেকের কাছেই বেশ রোমাঞ্চকর। সেই ভ্রমণ কিছু লোকজন যতটা উপভোগ করে, তার চেয়েও বেশি আগ্রহ দেখায় ভারতের স্টেশনগুলি সম্পর্কে। আমরা অনেকেই জানি যে ভারতের দীর্ঘতম রেলওয়ে স্টেশন হল গোরখপুর। কিন্তু দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন কোনটি জানেন? হাওড়া জংশন। এটিই ভারতের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন। শুধু বৃহত্তমই নয়, এটি দেশের প্রাচীনতম রেলওয়ে স্টেশনও এটা।

বৃহত্তম স্টেশন ছাড়াও, এটি ভারতের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশনের মর্যাদা পেয়েছে। হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত হাওড়া স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় ৬০০টি ট্রেন এখান দিয়ে যাতায়াত করে। এখানে প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ লোক চলাচল করে। প্রথমবার এই রেল স্টেশনে পা রেখে অনেকেরই নাকি ধারণা হয় যে এটা একটা গোটা শহর। আমাদের সকলের প্রিয় এই স্টেশনটি সম্পর্কে অনেকেই হয়তো এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি জানেন না।

বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ :-

হাওড়া জংশন ভারতের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম রেল স্টেশনগুলির মধ্যে একটি। ১৮৫৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দ্বারা এই স্টেশন নির্মিত হয়। ব্রিটিশ আমলের এই রেলস্টেশনটি আজও দাঁড়িয়ে আছে স্বমহিমায়। হাওড়া শহরের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছিল। এটি ভারতের একমাত্র রেলওয়ে স্টেশন, যার সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি রেল যোগাযোগ রয়েছে। মৈত্রী এক্সপ্রেস, কলকাতা এবং ঢাকার মধ্যে চলাচল করে উভয় শহরকে সংযুক্ত করে রেখেছে।

রেলস্টেশনটি ব্রিটিশ আমলের তৈরি। এক সময় এই মোড় ছিল বিপ্লবীদের কেন্দ্রস্থল। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় তাঁদের সভা-সমাবেশ ও যাবতীয় পরিকল্পনা এখানেই প্রস্তুত করা হত। কাকোরি ঘটনার আগে হাওড়া স্টেশনে থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী যোগেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

হাওড়া জংশন দেশের সবচেয়ে সুন্দর স্টেশনের মর্যাদাও পেয়েছে। শুধু বাইরে থেকে নয়, ভিতর থেকেও এই স্টেশনটিও আন্তর্জাতিক মানের। শহরের এই রেলওয়ে স্টেশনে রয়েছে টার্মিনাল ১ এবং টার্মিনাল ২। লোকে বলে পুরোনো স্টেশন ও নতুন স্টেশন। এই জংশনে একই সময়ে অনেকগুলি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। ভারতের অন্য কোনও রেলস্টেশনে এই ব্যবস্থা নেই।

স্টেশনের পথ-

বিমান : হাওড়ার নিকটতম বিমানবন্দর হল কলকাতা বিমানবন্দর। এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ধরা যায়।

রেলপথ : হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে ভারতের সমস্ত বড় শহরের ভালো সংযোগ রয়েছে।

সড়কপথে : রাজ্য পরিবহন বাসের পাশাপাশি প্রাইভেট বাসগুলি শহরটিকে দেশের অন্যান্য শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করে।

    হাওড়া স্টেশনের চাপ কমাতে একাধিক দূরপাল্লার এ বার ছাড়বে শালিমার স্টেশন থেকে। হাওড়া স্টেশনের পরিবর্তে শালিমার স্টেশন থেকে ট্রেনগুলি ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী মাস অর্থাৎ অগস্ট মাস থেকেই  এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে।

প্রাথমিক পর্বে চার থেকে পাঁচটি ট্রেনকে হাওড়া স্টেশনের পরিবর্তে শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়া হচ্ছে। যে সব ট্রেন শালিমার থেকে ছাযা হবে, সেই তালিকায় রয়েছে হাওড়া- লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস, হাওড়া – সম্বলপুর এক্সপ্রেস। বছর কয়েক আগেই শালিমার স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এ বার দূরপাল্লার ট্রেন চালানোরও বন্দোবস্ত করছে রেল কর্তৃপক্ষ। আপাতত চার-পাঁচটি ট্রেন চালানো হলেও আগামিদিনে আরও বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন হাওড়া স্টেশনের পরিবর্তে শালিমার থেকে ছাড়া হবে। শালিমার রেল ইয়ার্ডটি ১৮৮৩ সালে তৈরি। পণ্য পরিবহণ করা হয় মূলতঃ এই স্টেশন থেকে। ২০০০ সালে যাত্রী পরিবহন পরিষেবা শুরু হয় এই স্টেশন থেকে।
রেল ভ্রমনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত ভারত, বহুদূর দুরান্তে আরাম দায়ক ভ্রমন করা যায় এখানে। তাই ট্রেন ভ্রমন  এখানে পচ্ছন্দের তালিকা থাকে ভ্রমন পিপাসুদের তালিকায়।

[লেখক : মোঃ হায়দার আলী, প্রধান শিক্ষক, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, গোদাগাড়ী, রাজশাহী। ও সহঃ সাধারন সম্পাদক, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, রাজশাহী জেলা শাখা ]
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। বাংলা খবর বিডি-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)