ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পটুয়াখালীর মূল ভূখন্ড বিচ্ছিন্ন গলাচিপার চরকারফারমা থেকে লোকজনকে সড়িয়ে আনার কাজ শুরু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// জাকির হোসেন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি //

ঘূর্নিঝড় মোখার কবল থেকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চরকারফারমার শতাধিক পরিবারকে সড়িয়ে নিতে কাজ শুরু করেছেন গলাচিপা উপজেলা প্রশাসন।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল আজ শনিবার বিকেল পৌণে চারটার দিকে জানান, ইতোমেধ্যে ওই চরের লোকজনকে বোয়ালিয়া আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে যাওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। তিনি নিজে ওই চরে উপস্থিত থেকে রেসকিউবোটসহ ট্রলারে করে লোকজনদেরকে নিয়ে আসছেন। এ ছাড়াও চর বিশ্বাসের বিচ্ছিন্ন চরবাংলার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি আরোও জানান, গলাচিপা উপজেলার ১১৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র, ৩ টি মুজিব কিল্লা সম্পূর্ন রুপে প্রস্তুত করা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয়গ্রহনকারীদের জন্য। এ ছাড়াও গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউিনিয়ন, পানপট্রি, রতনদী তানতলী এলাকার ভাঙন কবলিত ১৫০ মিটার স্থানে বালির বস্তা দেয়া হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের একেবারে নিকটবর্তী রাঙ্গাবালীউপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চর আন্ডা, চরনজীর, চরকাশেমের লোকজনকে সড়িয়ে নিতে কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন রাঙ্গাবালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল।

এদিকে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কলাপাড়া উপজেলার ১৭৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র ও১৯ টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলার ৬০০ মিটার বেড়ীবাঁধ অতিমাত্রার ঝকিপূর্ণ  এবং ১২০০ মিটার বেড়ীবাঁধ কম ঝুকিপূর্ণ বলে জানিয়ে তিনি বলেন নদীর পানি ৫ ফুটের উপরে বৃদ্ধি পেলে পানি ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে। এ ছাড়াও লোকজনকে নিরাপাদ আশ্রয়ে আশ্রয় নেয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। আবহাওয়া গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে,তবে কুয়াকাটা সাগর উত্তাল রয়েছে।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

পটুয়াখালীর মূল ভূখন্ড বিচ্ছিন্ন গলাচিপার চরকারফারমা থেকে লোকজনকে সড়িয়ে আনার কাজ শুরু

আপডেট সময় : ০৬:২৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

// জাকির হোসেন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি //

ঘূর্নিঝড় মোখার কবল থেকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চরকারফারমার শতাধিক পরিবারকে সড়িয়ে নিতে কাজ শুরু করেছেন গলাচিপা উপজেলা প্রশাসন।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল আজ শনিবার বিকেল পৌণে চারটার দিকে জানান, ইতোমেধ্যে ওই চরের লোকজনকে বোয়ালিয়া আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে যাওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। তিনি নিজে ওই চরে উপস্থিত থেকে রেসকিউবোটসহ ট্রলারে করে লোকজনদেরকে নিয়ে আসছেন। এ ছাড়াও চর বিশ্বাসের বিচ্ছিন্ন চরবাংলার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি আরোও জানান, গলাচিপা উপজেলার ১১৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র, ৩ টি মুজিব কিল্লা সম্পূর্ন রুপে প্রস্তুত করা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয়গ্রহনকারীদের জন্য। এ ছাড়াও গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউিনিয়ন, পানপট্রি, রতনদী তানতলী এলাকার ভাঙন কবলিত ১৫০ মিটার স্থানে বালির বস্তা দেয়া হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের একেবারে নিকটবর্তী রাঙ্গাবালীউপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চর আন্ডা, চরনজীর, চরকাশেমের লোকজনকে সড়িয়ে নিতে কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন রাঙ্গাবালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল।

এদিকে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কলাপাড়া উপজেলার ১৭৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র ও১৯ টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলার ৬০০ মিটার বেড়ীবাঁধ অতিমাত্রার ঝকিপূর্ণ  এবং ১২০০ মিটার বেড়ীবাঁধ কম ঝুকিপূর্ণ বলে জানিয়ে তিনি বলেন নদীর পানি ৫ ফুটের উপরে বৃদ্ধি পেলে পানি ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে। এ ছাড়াও লোকজনকে নিরাপাদ আশ্রয়ে আশ্রয় নেয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। আবহাওয়া গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে,তবে কুয়াকাটা সাগর উত্তাল রয়েছে।

বা/খ: এসআর।