ঢাকা ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

১১ বছর পর ফাইনালে ডর্টমুন্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
  • / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঘরের মাঠে দুর্দান্ত অ্যাটাকিং ফুটবল, বিপুল সমর্থনের কিছুই কাজে লাগল না পিএসজির। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফ্রেঞ্চ ক্লাবটিকে আরও একবার রুখে দিয়েছে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ম্যাটস হুমলসের একমাত্র গোলে পিএসজিকে বিদায় করে ফাইনালের টিকিট কাটল জার্মান ক্লাবটি। তাতে করে ১১ বছর পর আগামী ১ জুন আবার ইউরোপ সেরার মঞ্চে মাঠে নামবে ডর্টমুন্ড।

রাতের খেলায় পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ১-০ গোলে জিতেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল বরুশিয়া। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান ২-০ করে জার্মান জায়ান্ট দলটি।

প্রথম লেগে পিছিয়ে যাওয়া পিএসজি এদিন ঘরের মাঠে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একের পর এক আক্রমণ করে গেছে। বল দখলেও এগিয়ে ছিল প্যারিসিয়ানরাই। কিন্তু বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের আটঁসাট রক্ষণভাগের কারণে গোল আদায় করতে পারেনি এমবাপের দল। উল্টো খেলার ধারার বিপরীতে গিয়ে গোল করে বসে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

ম্যাচের ২৫ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েছিলে এমবাপে। তবে পেছন থেকে দুর্দান্ত এক ট্যাকেলে দলের বিপদ মুক্ত করেছিলেন ডর্টমুন্ডের এক ফুটবলার।

পরের মুহূর্তেই আক্রমণ করে পিএসজির রক্ষণে কাঁপন ধরায় ডর্টমুন্ড। তবে করিম আদিয়েমির শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক। গোলশুন্য থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডর্টমুন্ডের ওপর চড়াও হয় পিএসজি। সুযোগও তৈরি করে স্বাগতিকরা। কিন্তু জাইরে এমেরির প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ফিরলে ম্যাচে ফেরা হয়নি দলটির। উলটো তিন মিনিট পরই পার্ক দ্য প্রিন্সেস স্তব্ধ করে ফিরতি লেগেও লিড পেয়ে যায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ম্যাচের ৫০ মিনিটে কর্ণার থেকে দারুণ হেডে দলকে এগিয়ে দেন জার্মান তারকা হুমেলস ।

গোল হজম করে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। তবে বরুশিয়ার রক্ষণের দেয়াল হতাশ করেছে তাদের। ডিফেন্ডারদের পাশাপাশি গোলরক্ষক কোবেলও ছিলেন অসাধারণ।

এদিন অবশ্য ভাগ্যও সহায় ছিল না পিএসজির। পুরো ম্যাচে মোট ৪ বার বারপোস্টে লেগেছে পিএসজি ফরোয়ার্ডদের শট।

শেষ দিকে কিলিয়ান এমবাপে ও ভিতিনিহার দুটি প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ফিরলে হতাশার হার সঙ্গী হয় পিএসজি। আর তাতে শেষ হয় দলটির ফাইনালের স্বপ্ন। একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পিএসজি। আর জয় উল্লাসে মেতে উঠে ২০১৩ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন লিগের ফাইনাল খেলতে যাওয়া বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

নিউজটি শেয়ার করুন

১১ বছর পর ফাইনালে ডর্টমুন্ড

আপডেট সময় : ০১:৫৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

ঘরের মাঠে দুর্দান্ত অ্যাটাকিং ফুটবল, বিপুল সমর্থনের কিছুই কাজে লাগল না পিএসজির। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফ্রেঞ্চ ক্লাবটিকে আরও একবার রুখে দিয়েছে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ম্যাটস হুমলসের একমাত্র গোলে পিএসজিকে বিদায় করে ফাইনালের টিকিট কাটল জার্মান ক্লাবটি। তাতে করে ১১ বছর পর আগামী ১ জুন আবার ইউরোপ সেরার মঞ্চে মাঠে নামবে ডর্টমুন্ড।

রাতের খেলায় পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ১-০ গোলে জিতেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল বরুশিয়া। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান ২-০ করে জার্মান জায়ান্ট দলটি।

প্রথম লেগে পিছিয়ে যাওয়া পিএসজি এদিন ঘরের মাঠে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একের পর এক আক্রমণ করে গেছে। বল দখলেও এগিয়ে ছিল প্যারিসিয়ানরাই। কিন্তু বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের আটঁসাট রক্ষণভাগের কারণে গোল আদায় করতে পারেনি এমবাপের দল। উল্টো খেলার ধারার বিপরীতে গিয়ে গোল করে বসে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

ম্যাচের ২৫ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েছিলে এমবাপে। তবে পেছন থেকে দুর্দান্ত এক ট্যাকেলে দলের বিপদ মুক্ত করেছিলেন ডর্টমুন্ডের এক ফুটবলার।

পরের মুহূর্তেই আক্রমণ করে পিএসজির রক্ষণে কাঁপন ধরায় ডর্টমুন্ড। তবে করিম আদিয়েমির শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক। গোলশুন্য থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডর্টমুন্ডের ওপর চড়াও হয় পিএসজি। সুযোগও তৈরি করে স্বাগতিকরা। কিন্তু জাইরে এমেরির প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ফিরলে ম্যাচে ফেরা হয়নি দলটির। উলটো তিন মিনিট পরই পার্ক দ্য প্রিন্সেস স্তব্ধ করে ফিরতি লেগেও লিড পেয়ে যায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ম্যাচের ৫০ মিনিটে কর্ণার থেকে দারুণ হেডে দলকে এগিয়ে দেন জার্মান তারকা হুমেলস ।

গোল হজম করে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। তবে বরুশিয়ার রক্ষণের দেয়াল হতাশ করেছে তাদের। ডিফেন্ডারদের পাশাপাশি গোলরক্ষক কোবেলও ছিলেন অসাধারণ।

এদিন অবশ্য ভাগ্যও সহায় ছিল না পিএসজির। পুরো ম্যাচে মোট ৪ বার বারপোস্টে লেগেছে পিএসজি ফরোয়ার্ডদের শট।

শেষ দিকে কিলিয়ান এমবাপে ও ভিতিনিহার দুটি প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ফিরলে হতাশার হার সঙ্গী হয় পিএসজি। আর তাতে শেষ হয় দলটির ফাইনালের স্বপ্ন। একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পিএসজি। আর জয় উল্লাসে মেতে উঠে ২০১৩ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন লিগের ফাইনাল খেলতে যাওয়া বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।