ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নিহত নাইট গার্ড এর পিতাকে ভ্যান ও নগদ অর্থ দিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
  • / ১০৭৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামানের মহানুভবতায় নিহত নাইট গার্ড ফেরদৌস আলীর পরিবার স্বচ্ছতা ফিরে পেলো। মানবতার ফেরিওয়ালা কে ভ্যান ও নগদ অর্থ দেওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে এলাকাবাসির অভিনন্দন ।

জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের মশিপুর গ্রামের দরিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জনের ছেলে ফেরদৌস (২০) কে উপজেলার যমুনা টেক্স্রাইল মিলে নাইট গার্ডের চাকুরী নেয়। চাকুরী সুবাদে ঐ ছেলের পরিবারে কিছুটা অভাব দুর হয়ে যায়। কিন্তু হঠ্ৎ করেই নেমে আসে কালো মেঘ।

গত ৫ জানুয়ারী তার এক বন্ধু মামুন হোসেন (৩০) ঢাকা থেকে এসে বলে বলে যে তোমার কাছে রাত্রিতে থাকব । সেই সুবাদে মামুন তাকে গভীর রাতে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে নুইয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মিলের মধ্যে একটি গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

নিহতের বাবা আক্কাস আলী বাড়িতে না আসায় পরদির ৬ জানুয়ারী শাহজাদপুর থানায় নিখোজ জিডি দায়ের করেন। এই ঘটনার দ্বায়িত্ব পড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান পিপিএমএর হাতে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত ঘটনার ক্লু উদঘাটন করেন এবং ঘটনার সহিত জড়িত বেলতৈল ইউনিয়নের ঘোরশাল গ্রামের আনোয়ার হোসেনে পুত্র মো: মামুন হোসেন (৩০) কে শাহজাদপুর থানা পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে মামুনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আর কে টেক্সটাইল মিলস এর মধ্য থেকে দুই ফিট মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় ফেরদৌস এর লাশ উদ্ধার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে।

এদিকে নাইট গার্ড নিহত হওয়ার পর তার পরিবারে চরম অভাব দেখা দেয়। নিহতের পিতা একজন দিন মজজুরে কাজ করে। অবশেষে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মানবতার ফেরিওয়ালা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান পিপি এম।

রবিবার সকালে নিহতের আক্কাছ আলীকে তার পরিবারের অভাব দুর করতে একটি নতুন অটোভ্যান কিনে দেন। এবং পবিত্র রমজান মাসের জন্য নগদ ১০ হাজার তার হাতে তুলে দেন । নিহতের পিতা দরিদ্র আক্কাছ আলী বলেন, আমার ছেলের কাফনের জন্য টাকা ছিলনা অথচ এই পুলিশ অফিসার আমাকে কাফনের টাকাও দিয়েছিল। তার এই মহানুভবতার জন্য তিনি আল্লাহ্ নিকট তার জন্য বিশেষ দোয়া করার কথা বলেন। পুলিশ এমন মানুষ হয় তিনি জানতেন না। একটি নতুন ভ্যান ও টাকা পেয়ে পরিবারে মধ্যে বইছে আনন্দের বণ্যা।

এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসি পুলিশের মহানুভবতা দেখে তারা তার মহান ব্যাক্তিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান পিপিএম জানান,মানুষের সেবা করার মত মহৎ কাজ আর নেই। আমি আমার কর্তব্য করেছে মাত্র। যে কোন অসহায় ব্যাক্তির জন্যই আমার দুয়ার খোলা।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

নিহত নাইট গার্ড এর পিতাকে ভ্যান ও নগদ অর্থ দিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান

আপডেট সময় : ০৫:০৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামানের মহানুভবতায় নিহত নাইট গার্ড ফেরদৌস আলীর পরিবার স্বচ্ছতা ফিরে পেলো। মানবতার ফেরিওয়ালা কে ভ্যান ও নগদ অর্থ দেওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে এলাকাবাসির অভিনন্দন ।

জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের মশিপুর গ্রামের দরিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জনের ছেলে ফেরদৌস (২০) কে উপজেলার যমুনা টেক্স্রাইল মিলে নাইট গার্ডের চাকুরী নেয়। চাকুরী সুবাদে ঐ ছেলের পরিবারে কিছুটা অভাব দুর হয়ে যায়। কিন্তু হঠ্ৎ করেই নেমে আসে কালো মেঘ।

গত ৫ জানুয়ারী তার এক বন্ধু মামুন হোসেন (৩০) ঢাকা থেকে এসে বলে বলে যে তোমার কাছে রাত্রিতে থাকব । সেই সুবাদে মামুন তাকে গভীর রাতে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে নুইয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মিলের মধ্যে একটি গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

নিহতের বাবা আক্কাস আলী বাড়িতে না আসায় পরদির ৬ জানুয়ারী শাহজাদপুর থানায় নিখোজ জিডি দায়ের করেন। এই ঘটনার দ্বায়িত্ব পড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান পিপিএমএর হাতে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত ঘটনার ক্লু উদঘাটন করেন এবং ঘটনার সহিত জড়িত বেলতৈল ইউনিয়নের ঘোরশাল গ্রামের আনোয়ার হোসেনে পুত্র মো: মামুন হোসেন (৩০) কে শাহজাদপুর থানা পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে মামুনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আর কে টেক্সটাইল মিলস এর মধ্য থেকে দুই ফিট মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় ফেরদৌস এর লাশ উদ্ধার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে।

এদিকে নাইট গার্ড নিহত হওয়ার পর তার পরিবারে চরম অভাব দেখা দেয়। নিহতের পিতা একজন দিন মজজুরে কাজ করে। অবশেষে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মানবতার ফেরিওয়ালা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান পিপি এম।

রবিবার সকালে নিহতের আক্কাছ আলীকে তার পরিবারের অভাব দুর করতে একটি নতুন অটোভ্যান কিনে দেন। এবং পবিত্র রমজান মাসের জন্য নগদ ১০ হাজার তার হাতে তুলে দেন । নিহতের পিতা দরিদ্র আক্কাছ আলী বলেন, আমার ছেলের কাফনের জন্য টাকা ছিলনা অথচ এই পুলিশ অফিসার আমাকে কাফনের টাকাও দিয়েছিল। তার এই মহানুভবতার জন্য তিনি আল্লাহ্ নিকট তার জন্য বিশেষ দোয়া করার কথা বলেন। পুলিশ এমন মানুষ হয় তিনি জানতেন না। একটি নতুন ভ্যান ও টাকা পেয়ে পরিবারে মধ্যে বইছে আনন্দের বণ্যা।

এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসি পুলিশের মহানুভবতা দেখে তারা তার মহান ব্যাক্তিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান পিপিএম জানান,মানুষের সেবা করার মত মহৎ কাজ আর নেই। আমি আমার কর্তব্য করেছে মাত্র। যে কোন অসহায় ব্যাক্তির জন্যই আমার দুয়ার খোলা।

 

বাখ//আর