ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তীব্র গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া, জ্বর, হাসপাতালে রোগীর চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:০১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। ঢাকাসহ কয়েকটি বিভাগে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এতে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়। এদের মধ্যে বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এই গরমে তাদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি জ্বর-ঠান্ডার তীব্রতা বেশি হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে বলেছেন তাঁরা।

এপ্রিলের মাঝামাঝিতেই শিশু হাসপাতালে একটি বেডও ফাঁকা নেই। জ্বর-সর্দি, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর ব্যাপক চাপ। রাজধানীর শিশু হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আড়াই বছরের শিশু আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ জ্বর-ঠান্ডা নিয়ে ভর্তি হয়েছে। কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে সে।

আব্দুল্লাহ আল ইউসুফের মা জানান, প্রচন্ড গরমে হঠাৎ ঠান্ডা লাগে ইউসুফের। ঠান্ডা লাগার পরই তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হয় সে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, তীব্র গরমে পানির চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু দূষিত পানি ও খাবার গ্রহণের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া, জ্বর-ঠান্ডা।

হাসপাতালে ভর্তি এক রোগী জানালেন, ঠান্ডা-কাশি আর জ্বর নিয়ে ১১ দিন যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, প্রচন্ড গরমে হাসপাতালে জ্বর-সর্দি, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে। এ ছাড়া ঈদ ও নববর্ষে গুরুপাক খাবার খাওয়ার কারণেও অনেকে পেটের নানা সমস্যা নিয়ে আসছে। তীব্র গরমে এ খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাথী সুলতানা বলেন, ‘হাসপাতালের সব বেডে রোগী। নতুন কোনো রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে না। অধিকাংশ রোগীই জ্বর-সর্দি, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এই গরমে অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।’

রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রসহ (আইসিডিডিআর,বি) বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, কয়েক দিন ধরে অতিরিক্ত গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। অনিরাপদ পানি ও খাবার গ্রহণের কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে দেখা গেছে, অনেকে এসেছে জ্বর, সর্দি, হাঁচি-কাশি নিয়ে।

আইসিডিডিআর,বি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর ও আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে দিনে ৫০০ জনের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অন্য সময়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী ভর্তি হন। সাধারণত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে রোগী বাড়তে শুরু করে।

হাসপাতালের প্রধান ডা. বাহারুল আলম বলেন, ঢাকার চেয়ে বরিশাল, পটুয়াখালী, জয়পুরহাট, ফরিদপুরে ডায়রিয়া আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। রোগীর সিংহভাগই বয়স্ক।

নিউজটি শেয়ার করুন

তীব্র গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া, জ্বর, হাসপাতালে রোগীর চাপ

আপডেট সময় : ০১:০১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। ঢাকাসহ কয়েকটি বিভাগে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এতে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়। এদের মধ্যে বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এই গরমে তাদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি জ্বর-ঠান্ডার তীব্রতা বেশি হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে বলেছেন তাঁরা।

এপ্রিলের মাঝামাঝিতেই শিশু হাসপাতালে একটি বেডও ফাঁকা নেই। জ্বর-সর্দি, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর ব্যাপক চাপ। রাজধানীর শিশু হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আড়াই বছরের শিশু আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ জ্বর-ঠান্ডা নিয়ে ভর্তি হয়েছে। কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে সে।

আব্দুল্লাহ আল ইউসুফের মা জানান, প্রচন্ড গরমে হঠাৎ ঠান্ডা লাগে ইউসুফের। ঠান্ডা লাগার পরই তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হয় সে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, তীব্র গরমে পানির চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু দূষিত পানি ও খাবার গ্রহণের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া, জ্বর-ঠান্ডা।

হাসপাতালে ভর্তি এক রোগী জানালেন, ঠান্ডা-কাশি আর জ্বর নিয়ে ১১ দিন যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, প্রচন্ড গরমে হাসপাতালে জ্বর-সর্দি, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে। এ ছাড়া ঈদ ও নববর্ষে গুরুপাক খাবার খাওয়ার কারণেও অনেকে পেটের নানা সমস্যা নিয়ে আসছে। তীব্র গরমে এ খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাথী সুলতানা বলেন, ‘হাসপাতালের সব বেডে রোগী। নতুন কোনো রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে না। অধিকাংশ রোগীই জ্বর-সর্দি, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এই গরমে অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।’

রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রসহ (আইসিডিডিআর,বি) বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, কয়েক দিন ধরে অতিরিক্ত গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। অনিরাপদ পানি ও খাবার গ্রহণের কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে দেখা গেছে, অনেকে এসেছে জ্বর, সর্দি, হাঁচি-কাশি নিয়ে।

আইসিডিডিআর,বি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর ও আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে দিনে ৫০০ জনের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অন্য সময়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী ভর্তি হন। সাধারণত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে রোগী বাড়তে শুরু করে।

হাসপাতালের প্রধান ডা. বাহারুল আলম বলেন, ঢাকার চেয়ে বরিশাল, পটুয়াখালী, জয়পুরহাট, ফরিদপুরে ডায়রিয়া আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। রোগীর সিংহভাগই বয়স্ক।