ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তিতাসে পারিবারিক দ্বন্ধের জেরে চাচার চোখে ক্যামিকেলযুক্ত স্প্রে মারল ভাতিজা 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
  • / ৫২৮ বার পড়া হয়েছে

ভাতিজার ছোড়া স্প্রে আহত চাচা আবু কালাম।

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি : 
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পারিবারিক দ্বন্ধের জেরে চাচার চোখে কেমিক্যালযুক্ত  স্প্রে মারল ভাতিজা।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে উপজেলার মজিদপুর গ্রামের পূর্ব পাড়ার মৃত আবদুর কাদের জিলু মিয়ার বাড়িতে।
এসময় আহত আবু কালামকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আবু কালামকে জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
এঘটনায় আহত আবু কালামের স্ত্রী আসমা আক্তার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আজ সোমবার  তিতাস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় মজিদপুর গ্রামের মৃত জিলু মিয়ার বড় ছেলে মৃত আনসর আলীর স্ত্রী জোসনা বেগম ও তার ছেলে ফাহাদ এবং ফয়সালের সাথে তাদের চাচা কুয়েত প্রবাসী আবু কালামের সাথে  বাড়ির জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল,তারই জের ধরে চাচা আবু কালামকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে  ভাতিজা ফাহাদ ও ফয়সাল  বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ফয়সাল তার চাচার চোখে ক্যামিকেলযুক্ত স্প্রে  মেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
মজিদপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম আইয়ুব বলেন,আবু কালাম ও তার ভাতিজা ফাহাদ এবং ফয়সালের সাথে বাড়ির জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল, আমরা গ্রামবাসী বসে কিছু দিন পূর্বে  বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি।
হঠাৎ করে শনিবার রাতে শুনতে পাই আবু কালামের চোখে ক্যামিকেলযুক্ত স্প্রে  মেরেছে তার ভাতিজা ফয়সাল ও ফাহাদ।
আহত আবু কালাম বলেন, আমার ভাই আনসর আলী মৃত্যুর পর ভাবি জোসনা বেগমের পরকিয়ায় বাধা দেয়  আমার মা,এতে ভাতিজারা ক্ষিপ্ত হয়ে  ও আমার মা ও স্ত্রীকে মারধর করে ভাতিজা ফাহাদ ও ফয়সাল। বিষয়টি আমি ফাহাদের খালু মজিবুরকে জানালে,তারা দুই ভাই শনিবার রাতে আমাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে চোখে ক্যামিকেল জাতীয় স্প্রে মেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে জানতে ফাহাদের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি,তবে ফাহাদের মামা শফিক মিয়া  বলেন,আমার ভাগিনারা এতিম তাদের বাবা নেই, তাই আমি ঝগরার কথা শুনে রাতেই মজিদপুর যাই এবং আবু কালাম ভাইকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিলে,আমাকে তিনি কিল ঘুষি মারেন। তিনি আরো বলেন আমার বড় বোন ও ভাগিনাদের আবুল কালাম রুমের ভিতরের মারতে গেলে তারা আত্মরক্ষার জন্য মশা নিধনের স্প্রে চোখে দিয়ে দেয়।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।  এবং জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে চিঠি দিয়েছি, হাসপাতালের সনদ পত্র পেলেই মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
বা/খ:জই

নিউজটি শেয়ার করুন

তিতাসে পারিবারিক দ্বন্ধের জেরে চাচার চোখে ক্যামিকেলযুক্ত স্প্রে মারল ভাতিজা 

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি : 
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পারিবারিক দ্বন্ধের জেরে চাচার চোখে কেমিক্যালযুক্ত  স্প্রে মারল ভাতিজা।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে উপজেলার মজিদপুর গ্রামের পূর্ব পাড়ার মৃত আবদুর কাদের জিলু মিয়ার বাড়িতে।
এসময় আহত আবু কালামকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আবু কালামকে জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
এঘটনায় আহত আবু কালামের স্ত্রী আসমা আক্তার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আজ সোমবার  তিতাস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় মজিদপুর গ্রামের মৃত জিলু মিয়ার বড় ছেলে মৃত আনসর আলীর স্ত্রী জোসনা বেগম ও তার ছেলে ফাহাদ এবং ফয়সালের সাথে তাদের চাচা কুয়েত প্রবাসী আবু কালামের সাথে  বাড়ির জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল,তারই জের ধরে চাচা আবু কালামকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে  ভাতিজা ফাহাদ ও ফয়সাল  বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ফয়সাল তার চাচার চোখে ক্যামিকেলযুক্ত স্প্রে  মেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
মজিদপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম আইয়ুব বলেন,আবু কালাম ও তার ভাতিজা ফাহাদ এবং ফয়সালের সাথে বাড়ির জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল, আমরা গ্রামবাসী বসে কিছু দিন পূর্বে  বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি।
হঠাৎ করে শনিবার রাতে শুনতে পাই আবু কালামের চোখে ক্যামিকেলযুক্ত স্প্রে  মেরেছে তার ভাতিজা ফয়সাল ও ফাহাদ।
আহত আবু কালাম বলেন, আমার ভাই আনসর আলী মৃত্যুর পর ভাবি জোসনা বেগমের পরকিয়ায় বাধা দেয়  আমার মা,এতে ভাতিজারা ক্ষিপ্ত হয়ে  ও আমার মা ও স্ত্রীকে মারধর করে ভাতিজা ফাহাদ ও ফয়সাল। বিষয়টি আমি ফাহাদের খালু মজিবুরকে জানালে,তারা দুই ভাই শনিবার রাতে আমাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে চোখে ক্যামিকেল জাতীয় স্প্রে মেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে জানতে ফাহাদের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি,তবে ফাহাদের মামা শফিক মিয়া  বলেন,আমার ভাগিনারা এতিম তাদের বাবা নেই, তাই আমি ঝগরার কথা শুনে রাতেই মজিদপুর যাই এবং আবু কালাম ভাইকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিলে,আমাকে তিনি কিল ঘুষি মারেন। তিনি আরো বলেন আমার বড় বোন ও ভাগিনাদের আবুল কালাম রুমের ভিতরের মারতে গেলে তারা আত্মরক্ষার জন্য মশা নিধনের স্প্রে চোখে দিয়ে দেয়।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।  এবং জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে চিঠি দিয়েছি, হাসপাতালের সনদ পত্র পেলেই মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
বা/খ:জই