ঢাকা ১২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গলাচিপায় পোল্ট্রি ফার্মে আগুন : উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// মোঃ মাজহারুল ইসলাম মলি, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি //
জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝগ্রাম এলাকায় পোল্ট্রি ফার্মে আগুন ও বসতঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মামলা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১০ এপ্রিল সোমবার সকাল ১০ টায় গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝগ্রাম এলাকার মৃত আবদুল আলী মল্লিকের ছেলে জহিরুল ইসলাম মল্লিক এর বসতঘরে একই বাড়ির মৃত শামসুদ্দিন মল্লিকের ছেলে  আসামী  ফারুক মল্লিক (৩৫), মজিবর মল্লিক (৩৩) ও স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫২) ও মৃত শাহাবুদ্দিন মল্লিকের স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৫০) এসে হামলা চালায়।  ৯ ই এপ্রিল  রবিবার রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে পোল্ট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এতে করে জহিরুল ইসলাম মল্লিকের ফার্মে থাকা প্রায় ৬শ’ মুরগী মারা যায় বলে জানান তিনি।
সরেজমিন পরিদর্শনে এলাকাবাসী জানায়, উভয়ই একই বাড়ির আত্মীয় স্বজন। এদিকে জহিরুলের করা মামলার কথা শুনে উল্টো আসামীরা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ফিরোজা বেগমকে বাদী করে জহিরুল ইসলাম মল্লিককে আসামী করে গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি আর মামলা (নং-৩১১/২৩) দায়ের করেন। এ মামলাটা নিয়ে ফিরোজা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন জহিরুলের গরু ও ছাগলে আমাদের বসত বাড়ির অনেক গাছপালা নষ্ট করেছে। এনিয়ে একটু কথা কাটা হয়। তখনি পারভীন, রানী, জহিরুল,ও তার ভাই সহ আমার বসতঘরে হামলা করেছে ও মারধর করেছে।
এদিকে জহিরুলের পক্ষে কথা বলেন আমিনুল মল্লিক, শাহিন মল্লিক, মাহাবুব হাওলাদারসহ আরো অনেকে। তারা বলেন, কাজ থেকে বাড়ি এসে দেখে ফার্মে আগুন জ্বলতে দেখে ডাক চিৎকার দিলে জহিরুল ইসলাম মল্লিক ও তার স্ত্রী পারভীন বেগম বেড় হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ফার্মে থাকা প্রায় ৬শ’ মুরগী ছিলো। এবং তারা আরো বলেন, এই জায়গা জমি নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েও অনেক বার সালিশ ব্যাবস্থার কথা থাকলেও তা আর সমাধান হয়নি। স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সভাপতি বশির মল্লিক বলেন এসব ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগা বা টাকা পাইবে এসব বিষয়ে বলেনি আর আমি জানিনা। তবে শামসুদ্দিন মল্লিকের স্ত্রী ফিরোজা বেগমের সাথে আগের দিন মারামারি হয় এবং থানায় অভিযোগও হয়েছে। এবং তাদেরকে ডেকেছে তারা যায়নি। তারা উভয়ই আমার কাছে আসছে আমি বলি থানায় গেলে কি হবে। থানায় গেলেও তো আমরা ফয়সালা করবো। এছাড়াও তিনি আরো বলেন ফিরোজা বেগম এই স্বর্ণ গয়না আর টাকার বিষয়টি এগুলো ভুল ও মিথ্যা।
এ বিষয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মুঠো ফোনে বলেন, আগুন লাগা ও মারধর এর ঘটনা আমাকে জানিয়েছে। এবং উভয়ই আদালতে মামলা করেছে এটুই আমি জানি।  এ বিষয়টি নিয়ে জহিরুলের স্ত্রী মামলার বাদী পারভীন বেগম আইনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবী করেন।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

গলাচিপায় পোল্ট্রি ফার্মে আগুন : উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি 

আপডেট সময় : ০৪:৩১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
// মোঃ মাজহারুল ইসলাম মলি, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি //
জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝগ্রাম এলাকায় পোল্ট্রি ফার্মে আগুন ও বসতঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মামলা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১০ এপ্রিল সোমবার সকাল ১০ টায় গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝগ্রাম এলাকার মৃত আবদুল আলী মল্লিকের ছেলে জহিরুল ইসলাম মল্লিক এর বসতঘরে একই বাড়ির মৃত শামসুদ্দিন মল্লিকের ছেলে  আসামী  ফারুক মল্লিক (৩৫), মজিবর মল্লিক (৩৩) ও স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫২) ও মৃত শাহাবুদ্দিন মল্লিকের স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৫০) এসে হামলা চালায়।  ৯ ই এপ্রিল  রবিবার রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে পোল্ট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এতে করে জহিরুল ইসলাম মল্লিকের ফার্মে থাকা প্রায় ৬শ’ মুরগী মারা যায় বলে জানান তিনি।
সরেজমিন পরিদর্শনে এলাকাবাসী জানায়, উভয়ই একই বাড়ির আত্মীয় স্বজন। এদিকে জহিরুলের করা মামলার কথা শুনে উল্টো আসামীরা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ফিরোজা বেগমকে বাদী করে জহিরুল ইসলাম মল্লিককে আসামী করে গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি আর মামলা (নং-৩১১/২৩) দায়ের করেন। এ মামলাটা নিয়ে ফিরোজা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন জহিরুলের গরু ও ছাগলে আমাদের বসত বাড়ির অনেক গাছপালা নষ্ট করেছে। এনিয়ে একটু কথা কাটা হয়। তখনি পারভীন, রানী, জহিরুল,ও তার ভাই সহ আমার বসতঘরে হামলা করেছে ও মারধর করেছে।
এদিকে জহিরুলের পক্ষে কথা বলেন আমিনুল মল্লিক, শাহিন মল্লিক, মাহাবুব হাওলাদারসহ আরো অনেকে। তারা বলেন, কাজ থেকে বাড়ি এসে দেখে ফার্মে আগুন জ্বলতে দেখে ডাক চিৎকার দিলে জহিরুল ইসলাম মল্লিক ও তার স্ত্রী পারভীন বেগম বেড় হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ফার্মে থাকা প্রায় ৬শ’ মুরগী ছিলো। এবং তারা আরো বলেন, এই জায়গা জমি নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েও অনেক বার সালিশ ব্যাবস্থার কথা থাকলেও তা আর সমাধান হয়নি। স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সভাপতি বশির মল্লিক বলেন এসব ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগা বা টাকা পাইবে এসব বিষয়ে বলেনি আর আমি জানিনা। তবে শামসুদ্দিন মল্লিকের স্ত্রী ফিরোজা বেগমের সাথে আগের দিন মারামারি হয় এবং থানায় অভিযোগও হয়েছে। এবং তাদেরকে ডেকেছে তারা যায়নি। তারা উভয়ই আমার কাছে আসছে আমি বলি থানায় গেলে কি হবে। থানায় গেলেও তো আমরা ফয়সালা করবো। এছাড়াও তিনি আরো বলেন ফিরোজা বেগম এই স্বর্ণ গয়না আর টাকার বিষয়টি এগুলো ভুল ও মিথ্যা।
এ বিষয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মুঠো ফোনে বলেন, আগুন লাগা ও মারধর এর ঘটনা আমাকে জানিয়েছে। এবং উভয়ই আদালতে মামলা করেছে এটুই আমি জানি।  এ বিষয়টি নিয়ে জহিরুলের স্ত্রী মামলার বাদী পারভীন বেগম আইনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবী করেন।
বা/খ: এসআর।