ঢাকা ০৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গম চাষে ঝুঁকছে চাষি, লক্ষ্যমাত্রা ছেড়েছে কাজীপুরে

কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
  • / ১০৮৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
প্রতি বছরের তুলনায় সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে এবার বেশি পরিমাণ জমিতে গম চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে ফসল বেশি হয়েছে। উপজেলার চরাঞ্চলে এ চাষের হার বেশি। খরচ কম আর অধিক ফলনের আশায় এবার গম চাষে ঝুঁকেছেন চাষিরা। গমের বিশেষ কোন রোগ না থাকা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৩৬০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১০ হেক্টর জমি। শুধুমাত্র মাইজবাড়ি ও শুভগাছা ইউনিয়নেই চাষ হয়েছে প্রায় ১৮০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে উপজেলার সাড়ে সাতশ কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বিশ কেজি করে গমের বীজ এবং ১০ কেজি করে সার দেয়া হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ১২ থেকে ১৫ মণ গম উৎপাদন হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর অধিক ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বারি গম ৩০, বারি গম ৩২ ও বারি গম ৩৩ জাতের গম চাষ করেন চাষিরা। তবে এবছর উপজেলায় বারি গম ৩০ ও বারি গম ৩২ জাতের চাষ হয়েছে বেশী।
সরেজমিন দেখা গেছে, অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় মাইজবাড়ি ও শুভগাছা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে গমের ব্যাপক চাষ হয়েছে। আমন ধান ঘরে এনেই জমিতে হালচাষ করে কৃষকরা গমের বীজ বোপণ করেছেন। দেড় দুই মাসেই সবুজে ছেঁয়ে গেছে মাঠ। কিছু কিছু খেতে গমের থর আসতে শুরু করেছে। মাস দেড়েকের মধ্যেই গম পাকতে শুরু করবে।
জানা গেছে, হাল চাষ থেকে শুরু করে গম ঘরে আনা পর্যন্ত এক বিঘা জমিতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে গম উৎপাদন হয় ১২ থেকে ১৫ মণ। মৌসুম কালে গমের বাজার মণপ্রতি ২ হাজার থেকে ২৫শ টাকা পর্যন্ত। এতে এক বিঘা জমিতে সর্বনিম্ন ২৪ হাজার টাকার গম উৎপন্ন হয়। তাতে উৎপাদন খরচ পড়ে মাত্র ৮ হাজার টাকা।
এ বছর ১৫ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছেন মাইজবাড়ি ইউনিয়নের নতুন মাইজবাড়ির চাষি শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কৃষি অফিসের কথা মতো এবার জমি বাড়িয়েছি। ধান কেটেই গম বোপণ করেছি। ভালো গাছ হয়েছে। আশাকরি ভালো ফলনও হবে। আরেক চাষি মিল্টন বলেন, তিন বিঘা জমিতে গম বুনছি। এবার কোন রোগ নাই। আবহাওয়াও ভালো। গতবারের থাইক্যা এবার বেশি ফলন হইবো মনে হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই কৃষি স্যাররা আইস্যা পরামর্শ দেয়।
শুভগাছার চাষি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষি অফিস থাইক্যা সার আর বীজ দিছিল, বুনছি। কিনেও বুনছি। রোগ বালাই নাই। পতি বিঘাত ১৪ থাইক্যা ১৫ মণ গমের আশা কইরত্যাছি।
কাজীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে গমের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে, রোগবালাইও নাই। ফলনও ভালো হবে আশা করছি। গম চাষে আগ্রহ ও ফলন বাড়াতে চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

গম চাষে ঝুঁকছে চাষি, লক্ষ্যমাত্রা ছেড়েছে কাজীপুরে

আপডেট সময় : ০২:৫৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
প্রতি বছরের তুলনায় সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে এবার বেশি পরিমাণ জমিতে গম চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে ফসল বেশি হয়েছে। উপজেলার চরাঞ্চলে এ চাষের হার বেশি। খরচ কম আর অধিক ফলনের আশায় এবার গম চাষে ঝুঁকেছেন চাষিরা। গমের বিশেষ কোন রোগ না থাকা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৩৬০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১০ হেক্টর জমি। শুধুমাত্র মাইজবাড়ি ও শুভগাছা ইউনিয়নেই চাষ হয়েছে প্রায় ১৮০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে উপজেলার সাড়ে সাতশ কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বিশ কেজি করে গমের বীজ এবং ১০ কেজি করে সার দেয়া হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ১২ থেকে ১৫ মণ গম উৎপাদন হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর অধিক ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বারি গম ৩০, বারি গম ৩২ ও বারি গম ৩৩ জাতের গম চাষ করেন চাষিরা। তবে এবছর উপজেলায় বারি গম ৩০ ও বারি গম ৩২ জাতের চাষ হয়েছে বেশী।
সরেজমিন দেখা গেছে, অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় মাইজবাড়ি ও শুভগাছা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে গমের ব্যাপক চাষ হয়েছে। আমন ধান ঘরে এনেই জমিতে হালচাষ করে কৃষকরা গমের বীজ বোপণ করেছেন। দেড় দুই মাসেই সবুজে ছেঁয়ে গেছে মাঠ। কিছু কিছু খেতে গমের থর আসতে শুরু করেছে। মাস দেড়েকের মধ্যেই গম পাকতে শুরু করবে।
জানা গেছে, হাল চাষ থেকে শুরু করে গম ঘরে আনা পর্যন্ত এক বিঘা জমিতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে গম উৎপাদন হয় ১২ থেকে ১৫ মণ। মৌসুম কালে গমের বাজার মণপ্রতি ২ হাজার থেকে ২৫শ টাকা পর্যন্ত। এতে এক বিঘা জমিতে সর্বনিম্ন ২৪ হাজার টাকার গম উৎপন্ন হয়। তাতে উৎপাদন খরচ পড়ে মাত্র ৮ হাজার টাকা।
এ বছর ১৫ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছেন মাইজবাড়ি ইউনিয়নের নতুন মাইজবাড়ির চাষি শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কৃষি অফিসের কথা মতো এবার জমি বাড়িয়েছি। ধান কেটেই গম বোপণ করেছি। ভালো গাছ হয়েছে। আশাকরি ভালো ফলনও হবে। আরেক চাষি মিল্টন বলেন, তিন বিঘা জমিতে গম বুনছি। এবার কোন রোগ নাই। আবহাওয়াও ভালো। গতবারের থাইক্যা এবার বেশি ফলন হইবো মনে হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই কৃষি স্যাররা আইস্যা পরামর্শ দেয়।
শুভগাছার চাষি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষি অফিস থাইক্যা সার আর বীজ দিছিল, বুনছি। কিনেও বুনছি। রোগ বালাই নাই। পতি বিঘাত ১৪ থাইক্যা ১৫ মণ গমের আশা কইরত্যাছি।
কাজীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে গমের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে, রোগবালাইও নাই। ফলনও ভালো হবে আশা করছি। গম চাষে আগ্রহ ও ফলন বাড়াতে চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বাখ//আর