ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৫ শতাধিক নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে ইসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে ৫ শতাধিক নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ এবং নবম থেকে ষষ্ঠ গ্রেডেও পদোন্নতি দেবে সংস্থাটি।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছু রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে পদ সৃজন ও উন্নীতকরণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরে জনপ্রশাসন ও অর্থবিভাগে যাবে। ৫২২টি সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি হয়েছে। সরাসরি রিক্রুট হবে কিছু আর বেশিরভাগই পদোন্নতি হবে। আগে এসবের জন্য নিয়োগবিধি ছিল না। আমরা এটা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে এটি সচিব কমিটিতে যাবে। তারা অনুমোদন করলে আমরা পিএসসিকে অনুরোধ করবো নিয়োগের জন্য।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকেই আছেন একই পদে ১৬-১৭ বছর কাজ করছেন। এদের কেউ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, কেউ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হয়েছেন। তাই কিছু পদ সৃষ্টি, কিছু পদ উন্নীত করার জন্য চেয়েছি। অনেক দিন ধরে দাবি আছে তাদের। আগের কমিশনের সময় বিষয়টি কমিশনে উত্থাপন করেছিলেন। তারা নতুন কমিশনের জন্য রেখে গিয়েছিল। প্রশাসনিক বিষয় সংস্কার বিষয়ক একটি কমিটি আছে আমার নেতৃত্বে, সেখানে আলোচনা হয়েছে।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো কোনো জেলায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং কোনো কোনো জেলায় জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আছে। জেলা ছোট হোক, বড় হোক জেলা তো জেলাই। জেলা প্রশাসক তো দুই গ্রেডের থাকে না। পদটি হলো উপ-সচিব। এখানে ছোট জেলা বড় জেলা হিসেব করা হয়েছিল। ছোট জেলায় ষষ্ঠ গ্রেডের ও বড় জেলায় পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তাদের জেলা ও জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন অফিসার হিসেবে রাখা হয়েছে। এখন বদলি করা হলে যার যার সম পর্যায়ে জেলাতেই দিতে হয়। এটা একটা সমস্যা।

৪৫ জেলায় পঞ্চম গ্রেড নেই। তাই সেসব জেলায় পঞ্চম গ্রেডের পদ সৃষ্টি জন্য বলেছি। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের যেমন আছে। এতে সরকারের খুব একটা আর্থিক ব্যয় হবে না। কেননা, অনেকের বেতন বাড়তে বাড়তে আরও বেড়ে গেছে।

অন্যদিকে উপজেলায় আমরা বলেছি, ৫২২টির মধ্যে ২৩০টি ‘ক’ শ্রেণীর উপজেলায় ষষ্ঠ গ্রেডের করার জন্য বলেছি এবং এখন আছে নবম গ্রেডের কর্মকর্তা। এক্ষেত্রেও আর্থিক ব্যয় নেই বললেও চলে। এখানেও অনেকে বেতন বেড়ে বেড়ে এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। এতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একই রকম হবে।

উপজেলায় অনেক পদশূন্য আছে। পাশের উপজেলার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। তাই পিএসসির মাধ্যমে সেসব পদও পূরণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

৫ শতাধিক নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে ইসি

আপডেট সময় : ০৭:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে ৫ শতাধিক নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ এবং নবম থেকে ষষ্ঠ গ্রেডেও পদোন্নতি দেবে সংস্থাটি।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছু রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে পদ সৃজন ও উন্নীতকরণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরে জনপ্রশাসন ও অর্থবিভাগে যাবে। ৫২২টি সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি হয়েছে। সরাসরি রিক্রুট হবে কিছু আর বেশিরভাগই পদোন্নতি হবে। আগে এসবের জন্য নিয়োগবিধি ছিল না। আমরা এটা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে এটি সচিব কমিটিতে যাবে। তারা অনুমোদন করলে আমরা পিএসসিকে অনুরোধ করবো নিয়োগের জন্য।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকেই আছেন একই পদে ১৬-১৭ বছর কাজ করছেন। এদের কেউ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, কেউ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হয়েছেন। তাই কিছু পদ সৃষ্টি, কিছু পদ উন্নীত করার জন্য চেয়েছি। অনেক দিন ধরে দাবি আছে তাদের। আগের কমিশনের সময় বিষয়টি কমিশনে উত্থাপন করেছিলেন। তারা নতুন কমিশনের জন্য রেখে গিয়েছিল। প্রশাসনিক বিষয় সংস্কার বিষয়ক একটি কমিটি আছে আমার নেতৃত্বে, সেখানে আলোচনা হয়েছে।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো কোনো জেলায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং কোনো কোনো জেলায় জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আছে। জেলা ছোট হোক, বড় হোক জেলা তো জেলাই। জেলা প্রশাসক তো দুই গ্রেডের থাকে না। পদটি হলো উপ-সচিব। এখানে ছোট জেলা বড় জেলা হিসেব করা হয়েছিল। ছোট জেলায় ষষ্ঠ গ্রেডের ও বড় জেলায় পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তাদের জেলা ও জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন অফিসার হিসেবে রাখা হয়েছে। এখন বদলি করা হলে যার যার সম পর্যায়ে জেলাতেই দিতে হয়। এটা একটা সমস্যা।

৪৫ জেলায় পঞ্চম গ্রেড নেই। তাই সেসব জেলায় পঞ্চম গ্রেডের পদ সৃষ্টি জন্য বলেছি। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের যেমন আছে। এতে সরকারের খুব একটা আর্থিক ব্যয় হবে না। কেননা, অনেকের বেতন বাড়তে বাড়তে আরও বেড়ে গেছে।

অন্যদিকে উপজেলায় আমরা বলেছি, ৫২২টির মধ্যে ২৩০টি ‘ক’ শ্রেণীর উপজেলায় ষষ্ঠ গ্রেডের করার জন্য বলেছি এবং এখন আছে নবম গ্রেডের কর্মকর্তা। এক্ষেত্রেও আর্থিক ব্যয় নেই বললেও চলে। এখানেও অনেকে বেতন বেড়ে বেড়ে এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। এতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একই রকম হবে।

উপজেলায় অনেক পদশূন্য আছে। পাশের উপজেলার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। তাই পিএসসির মাধ্যমে সেসব পদও পূরণ করা হবে।