ঢাকা ০২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ভোটারের গোপনীয়তা নষ্ট হয়নি : ইসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম এড়াতে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে ভোটারের ভোটদানের গোপনীয়তা নষ্ট হয়নি বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার (২৩ অক্টোবর) ইসির যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোটকক্ষের গোপন বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে কারও কারও বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। প্রচারিত বক্তব্যমতে ভোটকক্ষের গোপন বুথে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে কে কাকে ভোট দিচ্ছে তা দেখা মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন। গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ইসি সেই কাজটি করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে। এ ধরনের বক্তব্য মোটেও সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর।
প্রকৃত বিষয় হলো- গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের নির্বাচনে ভোটকক্ষে ভোট দেওয়ার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য ইসি ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছিল। গোপন কক্ষে ভোটার কাকে ভোট দিলেন তা দেখার কোনো সুযোগ নেই। তবে গোপনকক্ষে ভোটারের সঙ্গে কেউ প্রবেশ করলো কি-না বা ভোটার ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করল কি-না, একইসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করলো কি-না, ভোট প্রদানের সময় কেউ উঁকি দিয়ে দেখে কি-না বা পাশে দাঁড়িয়ে কোনো নির্দেশ প্রদান করল কি-না তা দেখা যায়।
ইডিএমে কীভাবে ভোট প্রদান করতে হয় সে বিষয়ে ভোটার শিক্ষার জন্য প্রচারণা করা হয়েছে। এছাড়া একজন ভোটারকে ভোট প্রদানের জন্য গোপনকক্ষে প্রবেশের পূর্বেই সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তা ডামি ব্যালট ইউনিটে দেখিয়ে দেন কীভাবে ভোট দিতে হবে। কাজেই ভোট কীভাবে দিতে হবে এটা দেখানোর জন্য ভোটারের সঙ্গে গোপনকক্ষে অন্য কারও প্রবেশের কোন সুযোগ নেই।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৩১(৭) ধারা অনুযায়ী ভোটার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বা অন্যভাবে এরূপ অক্ষম হন যে, তিনি কোন সঙ্গীর সাহায্য ছাড়া ভোট প্রদান করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে প্রিসাইডিং অফিসার ওই ভোটারের পছন্দমতো ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে তার ভোটপ্রদানে সাহায্য করার জন্য গোপন কক্ষে নিতে পারবেন। তার সঙ্গে কোনভাবেই কোন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা, এজেন্ট বা অন্য কেউ গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। অর্থাৎ বিষয়টি খুবই স্পষ্ট যে, ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে কোনোক্রমেই ভোটপ্রদানের গোপনীয়তা নষ্ট হয় নাই।
গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপ- নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হয়। ভোটের চরম অনিয়ম দেখে চারঘণ্টার মাথায় ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের ৫১ ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ঢাকার নির্বাচন ভবন থেকে মনিটরিং করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ভোটারের গোপনীয়তা নষ্ট হয়নি : ইসি

আপডেট সময় : ০৪:১০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম এড়াতে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে ভোটারের ভোটদানের গোপনীয়তা নষ্ট হয়নি বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার (২৩ অক্টোবর) ইসির যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোটকক্ষের গোপন বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে কারও কারও বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। প্রচারিত বক্তব্যমতে ভোটকক্ষের গোপন বুথে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে কে কাকে ভোট দিচ্ছে তা দেখা মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন। গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ইসি সেই কাজটি করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে। এ ধরনের বক্তব্য মোটেও সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর।
প্রকৃত বিষয় হলো- গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের নির্বাচনে ভোটকক্ষে ভোট দেওয়ার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য ইসি ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছিল। গোপন কক্ষে ভোটার কাকে ভোট দিলেন তা দেখার কোনো সুযোগ নেই। তবে গোপনকক্ষে ভোটারের সঙ্গে কেউ প্রবেশ করলো কি-না বা ভোটার ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করল কি-না, একইসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করলো কি-না, ভোট প্রদানের সময় কেউ উঁকি দিয়ে দেখে কি-না বা পাশে দাঁড়িয়ে কোনো নির্দেশ প্রদান করল কি-না তা দেখা যায়।
ইডিএমে কীভাবে ভোট প্রদান করতে হয় সে বিষয়ে ভোটার শিক্ষার জন্য প্রচারণা করা হয়েছে। এছাড়া একজন ভোটারকে ভোট প্রদানের জন্য গোপনকক্ষে প্রবেশের পূর্বেই সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তা ডামি ব্যালট ইউনিটে দেখিয়ে দেন কীভাবে ভোট দিতে হবে। কাজেই ভোট কীভাবে দিতে হবে এটা দেখানোর জন্য ভোটারের সঙ্গে গোপনকক্ষে অন্য কারও প্রবেশের কোন সুযোগ নেই।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৩১(৭) ধারা অনুযায়ী ভোটার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বা অন্যভাবে এরূপ অক্ষম হন যে, তিনি কোন সঙ্গীর সাহায্য ছাড়া ভোট প্রদান করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে প্রিসাইডিং অফিসার ওই ভোটারের পছন্দমতো ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে তার ভোটপ্রদানে সাহায্য করার জন্য গোপন কক্ষে নিতে পারবেন। তার সঙ্গে কোনভাবেই কোন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা, এজেন্ট বা অন্য কেউ গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। অর্থাৎ বিষয়টি খুবই স্পষ্ট যে, ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে কোনোক্রমেই ভোটপ্রদানের গোপনীয়তা নষ্ট হয় নাই।
গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপ- নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হয়। ভোটের চরম অনিয়ম দেখে চারঘণ্টার মাথায় ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের ৫১ ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ঢাকার নির্বাচন ভবন থেকে মনিটরিং করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।