ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে জারি করা রুলের শুনানি ২৭ নভেম্বর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৫:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
সরকারি সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সংসদ সদস্য ও সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত। রোববার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।

দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সম্পর্কিত নথি সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে দাখিল করেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। এরপর এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল সময় চাইলে হাইকোর্ট দুই সপ্তাহের সময় দেন।

সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে গত ১ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে নথি দাখিল করতে বলা হয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে।

রুলে পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান আদালত।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

রিটে বলা হয়েছে, রাজধানীর গুলশান-২’র ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭-এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে বসবাস করছেন। রিটে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ও চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে দেয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করা হয়েছে।
পূর্ত মন্ত্রণালয় ২০১৫ ও ২০১৬ সালে দেয়া চিঠিতে পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও আব্দুস সালাম মুর্শেদী কীভাবে বাড়িটি দখল করে আছেন, রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে চিঠি আমলে না নেয়ায় ফের ৪ জুলাই চিঠি দেয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে ভবনটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দফতর থেকে সেটির নামজারি ও দলিল করার অনুমতি দেয়া হলো, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে ব্যাখ্যা দিতে অনীহা দেখিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে জারি করা রুলের শুনানি ২৭ নভেম্বর

আপডেট সময় : ০৩:১৫:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
সরকারি সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সংসদ সদস্য ও সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত। রোববার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।

দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সম্পর্কিত নথি সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে দাখিল করেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। এরপর এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল সময় চাইলে হাইকোর্ট দুই সপ্তাহের সময় দেন।

সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে গত ১ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে নথি দাখিল করতে বলা হয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে।

রুলে পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান আদালত।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

রিটে বলা হয়েছে, রাজধানীর গুলশান-২’র ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭-এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে বসবাস করছেন। রিটে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ও চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে দেয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করা হয়েছে।
পূর্ত মন্ত্রণালয় ২০১৫ ও ২০১৬ সালে দেয়া চিঠিতে পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও আব্দুস সালাম মুর্শেদী কীভাবে বাড়িটি দখল করে আছেন, রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে চিঠি আমলে না নেয়ায় ফের ৪ জুলাই চিঠি দেয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে ভবনটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দফতর থেকে সেটির নামজারি ও দলিল করার অনুমতি দেয়া হলো, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে ব্যাখ্যা দিতে অনীহা দেখিয়েছেন।