শিশুসাহিত্যিক ও সংগঠক আলী ইমাম’র মহাপ্রয়াণে কবিতা পরিষদের শোক ও শ্রদ্ধার্ঘ্য
- আপডেট সময় : ০৫:০২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
- / ৪৯৮ বার পড়া হয়েছে
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
শিশুসাহিত্যিক ও শিশু সংগঠক আলী ইমাম’র মহাপ্রয়াণে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আজ সকাল ১১টায় বাংলা একাডেমিতে শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম’র মরদেহে জাতীয় কবিতা পরিষদের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনে অংশগ্রহণ করেন কবি আমিনুর রহমান সুলতান, শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম, শিশুসাহিত্যিক আনজীর লিটন, আবৃত্তিশিল্পী শাহাদাৎ হোসেন নিপু, কবি হানিফ খান, কবি পিয়াস মজিদ, কবি গিয়াস উদ্দিন চাষা প্রমুখ।
তাঁর মতো একজন আলোকোজ্জ্বল শিশুসাহিত্যিক ও শিশু সংগঠকের চলে যাওয়া বাংলা সাহিত্যের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আলী ইমাম ছিলেন বহুমাত্রিক লেখক। শিশুসাহিত্য ছাড়াও গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, অনুবাদ, ফিচার, ভ্রমণকাহিনি, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি লিখেছেন। তার উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ ও গবেষণা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ ‘সোনালী তোরণ’ (১৯৮৬), ‘আলোয় ভুবন ভরা’ (১৯৮৭), ‘দুঃসাহসী অভিযাত্রী’ (১৯৮৮), ‘সেলুলয়েডের পাঁচালী’ (১৯৯০), ‘রক্ত দিয়ে কেনা’ (গল্প ১৯৯১)। তার কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ ‘ধলপ্রহর’ (১৯৭৯), ‘হিজল কাঠের নাও’ (১৯৮৬), ‘তোমাদের জন্যে’ (১৯৯৪)। শিশুসাহিত্য রয়েছেÑ ‘দ্বীপের নাম মধুবুনিয়া’ (গল্প ১৯৭৫), ‘অপারেশন কাঁকনপুর’ (উপন্যাস ১৯৭৮), ‘তিতিরমুখী চৈতা’ (রহস্য উপন্যাস. ১৯৭৯), ‘রুপোলী ফিতে’ (গল্প ১৯৭৯), ‘শাদা পর’ (গল্প, ১৯৭৯), কিশোর উপন্যাসের মধ্যে রয়েছেÑ ‘রক্তপিশাচ তিতিরোয়া’ (১৯৮৬), ‘ভয়াল ভয়ঙ্কর’ (১৯৮৭), ‘নীল শয়তান’ (১৯৮৭), ‘ভয়ঙ্করের হাতছানি’ (১৯৯০), ‘রক্তপিশাচ’ (১৯৯০), ‘ইয়েতির চিৎকার’ (১৯৯০), ‘নীল চোখের ছেলে’ (১৯৯২)। আলী ইমাম বাংলাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভ‚ষিত হয়েছেন।
তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি পরিষদের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।