ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মানসিক রোগে বছরে ১০-১২ হাজার মানুষের মৃত্যু : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
করোনার কারণে গত দুই বছরে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য খাতকে বর্তমানে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। দেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্য ১৮ এবং শিশু ১২ শতাংশ কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত। দেশে প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ কোনো না কোনো মানসিক রোগে মারা যায় বলে জাননা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (৬ নভেম্বর) রাজধানী শ্যামলীর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা আগে পিছিয়ে থাকলেও এখন সামনে এসেছে। ইনস্টিটিউটও সম্প্রসারিত হয়েছে। এনসিডি কর্নারে মানসিক স্বাস্থ্যকেও যুক্ত করা হয়েছে। এতে করে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ সহজে কাউন্সেলিং পাবেন, চিকিৎসা পাবেন। দেশের ১৮ ভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে মানসিকতা সমস্যায় ভোগে, শিশুরা ১২ ভাগ। তবে চিকিৎসায় এখনো পিছিয়ে। এটি যদি সারাদেশে বিস্তৃত করতে না পারি তাহলে প্রত্যাশা অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া যাবে না।

এসময় মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে সব অসংক্রামক রোগে আমরা জোর দিতে পারিনি। স্বাস্থ্যে যে বাজেট, তার মধ্যে আবার মানসিক স্বাস্থ্যে বরাদ্দ কম। কিন্তু প্রতি বছর শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে আক্রান্ত হচ্ছে। বিএমডিসি এটাতে জোর দেবে বলে আমরা আশা করছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। এনসিডি কর্নারে মানসিক স্বাস্থ্যকেও যুক্ত করা হয়েছে। এতে করে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ সহজে কাউন্সেলিং পাবেন, চিকিৎসা পাবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, এনসিডিসি প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোলাম রব্বানী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, কাজী জেবুন্নেছা বেগম, মনোজ কুমার রায় প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

মানসিক রোগে বছরে ১০-১২ হাজার মানুষের মৃত্যু : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
করোনার কারণে গত দুই বছরে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য খাতকে বর্তমানে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। দেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্য ১৮ এবং শিশু ১২ শতাংশ কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত। দেশে প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ কোনো না কোনো মানসিক রোগে মারা যায় বলে জাননা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (৬ নভেম্বর) রাজধানী শ্যামলীর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা আগে পিছিয়ে থাকলেও এখন সামনে এসেছে। ইনস্টিটিউটও সম্প্রসারিত হয়েছে। এনসিডি কর্নারে মানসিক স্বাস্থ্যকেও যুক্ত করা হয়েছে। এতে করে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ সহজে কাউন্সেলিং পাবেন, চিকিৎসা পাবেন। দেশের ১৮ ভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে মানসিকতা সমস্যায় ভোগে, শিশুরা ১২ ভাগ। তবে চিকিৎসায় এখনো পিছিয়ে। এটি যদি সারাদেশে বিস্তৃত করতে না পারি তাহলে প্রত্যাশা অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া যাবে না।

এসময় মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে সব অসংক্রামক রোগে আমরা জোর দিতে পারিনি। স্বাস্থ্যে যে বাজেট, তার মধ্যে আবার মানসিক স্বাস্থ্যে বরাদ্দ কম। কিন্তু প্রতি বছর শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে আক্রান্ত হচ্ছে। বিএমডিসি এটাতে জোর দেবে বলে আমরা আশা করছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। এনসিডি কর্নারে মানসিক স্বাস্থ্যকেও যুক্ত করা হয়েছে। এতে করে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ সহজে কাউন্সেলিং পাবেন, চিকিৎসা পাবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, এনসিডিসি প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোলাম রব্বানী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, কাজী জেবুন্নেছা বেগম, মনোজ কুমার রায় প্রমুখ।