সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বেড়া পাম্পিং ষ্টেশন-বাঘাবাড়ি সড়ক পুনঃনির্মাণে আড়াই যুগের দুর্ভোগ লাঘব আদিতমারীতে গাইনি ও শিশুবান্ধব ওয়ার্ডের উদ্বোধন বেড়ায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু আকাঙ্খার মৃত্যুতে রহস্যজনক পোস্ট অভিনেত্রী কাজলের যমুনায় ওপর এগিয়ে চলেছে রেলওয়ে সেতুর কাজ ভালো কাজের নাগরিক অনুশীলন, স্বীকৃতি দিবে জেলা প্রশাসন দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইতালি বিদেশিদের কাছে নালিশ করে লাভ হবে না- প্রধানমন্ত্রী গলাচিপায় শিশু ছবি ঘরে স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা সেই প্রযোজকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাকিবের মামলা আবারও ঢাকাই সিনেমায় আসছেন মিঠুন তাড়াশে ভুট্টার বাম্পার ফলন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত মঠবাড়িয়ায় স্বাধীনতা দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা বুয়েটের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ পাঁচবিবি ছমিরন নেছা বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বিয়ের দাবিতে ১০০ কিমি পদযাত্রা করল একদল যুবক

বিয়ের দাবিতে ১০০ কিমি পদযাত্রা করল একদল যুবক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একদিকে বিয়ের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে মিলছে যোগ্য পাত্রীর সন্ধান। এলাকায় পুরুষের অনুপাতে মেয়েদের সংখ্যও কমছে ক্রমশই। অবস্থা বেগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত ব্রহ্মচারিগাল নামে একটি পদযাত্রায় নেমেছে একদল পাত্র। প্রায় একশ কিলোমিটার পথ পদযাত্রা করে একটি মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেছে যাতে করে তাদের ভাগ্যে বউ জোটে।

সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা হইচই ফেলেছে দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকে। কয়েক দশক দরেই এখানে নারী পুরুষের অনুপাতের পার্থক্য বেড়েই চলেছিলো এবং যে কারণে অনেক পুরুষই বিয়ের করার জন্য পাত্রী খুঁজে পায় না। এছাড়া অনেকে আয় কম থাকা কিংবা নারীদের মধ্যে ভিন্ন গোত্রে পছন্দ করার ঘটনার কারণেও পাত্রী সংকট তৈরি হয়েছে। শুরুতে ৩০ জন অংশগ্রহণকারী থাকলেও পরে তা ৬০ জনের সঙ্গে শেষ হয়। দলটির বেশিরভাগ কর্নাটকের মান্ডা জেলার কৃষক ছিলেন।

প্রচারকারীরা বলছেন, এর কারণে অনেক পুরুষের বিয়ে করা কঠিন হয়ে গেছে। এ ছাড়া খামারের আয় কমে যাওয়া, নারীদের ক্ষেত্রে পছন্দ নিজ গোত্র থেকে অন্য গোত্রের দিকে যাওয়া এমনকি তাদের পুরুষবিদ্বেষী মনোভাবের কারণেও বিয়ে করতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী মালেশা ডিপি বিবিসিকে বলেন, গত কয়েক বছরে প্রায় ৩০ জন মহিলা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। যখন আমার প্রেমে পড়া উচিত ছিল, আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমি অর্থ উপার্জন করেছি।

তিনি আরও বলেন, এখন যেহেতু আমার জীবনের সব কিছু আছে আমি বিয়ে করার জন্য একটি পাত্রী খুঁজে পাচ্ছি না। আমার বয়স মাত্র ৩৩। কিন্তু মনে হচ্ছে ইতোমধ্যে এলাকায় বিয়ের জন্য আদর্শ বয়স পার করে ফেলেছি আমি।

তিনি আরও যোগ করেন, আমাদের পরিবারের মহিলাদের গবাদিপশু এবং একটি বড় পরিবারের যত্ন নিতে হবে না। এমনকি তার নববধূকে চারজনেরও কম সদস্যের একটি পরিবারের জন্য রান্না করতে হবে। পদযাত্রার পর প্রতিবেশী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কেরালার মতো কৃষকদের কাছ থেকে মালেশা বার্তা পেয়েছেন, তারা ভাবছেন অংশগ্রহণকারীরা এখন তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের আশা রাখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এটি ছিল খুবই কঠিন পথচলা। আমরা প্রার্থনা করেছিলাম যেন আমরা সবাই শিগগিরই বিয়ে করতে পারি।

পদযাত্রার অন্যতম আয়োজক শিবপ্রসাদ কেএম বলেন, যখন তারা পদযাত্রার জন্য প্রথম ঘোষণা করেছিল তখন ২০০ জনেরও বেশি পুরুষ অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিল। কিন্তু রাজ্যের স্থানীয় মিডিয়া আমাদের কেসটি নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার কারণে অনেকেই পিছিয়ে পড়েন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকায় জমির পরিমাণ কম এবং উপার্জন খুব বেশি নয়। তাই কৃষি ছাড়া যাদের ব্যবসার মতো অন্য আয়ের উৎস আছে, তারা পাত্রী পেতে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন।

স্থানীয় এক কর্মী নাগরেভাক্কা বলেন, এখনো আশপাশের বাচ্চাদের স্কুলে আপনি দেখতে পাবেন ২০ জন মেয়ের মধ্যে প্রায় ৮০ জন ছেলে আছে।

আরও একজন অংশগ্রহণকারী কৃষ্ণা (৩১) বলেন, মান্ডা একটি উর্বর ভালো সেচযুক্ত অঞ্চল। এখানে আখ প্রধান ফসলগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু সম্প্রতি খামারের আয় কমে যাওয়ায় এই পেশাটিকে মর্যাদাহীন করে তুলেছে। পাত্রীর পরিবারের লোকেরা মনে করেন, কৃষক পরিবারের যুবকদের আয় অনিশ্চিত। জয়শীলা প্রকাশ, যিনি মূলত মান্ডিয়ার বাসিন্দা কিন্তু এখন তার পরিবারের সঙ্গে বেঙ্গালুরের শহরে থাকেন। তিনি বলেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রামে থাকতে পছন্দ করি।

কারণ এটি প্রকৃতির কাছাকাছি এবং মানুষের সঙ্গে বন্ধন তৈরি করা সহজ। কিন্তু মহিলারা পছন্দ করেন শহুরে এলাকায় চলে যাওয়া। যেন তারা আরও স্বাধীনভাবে চলতে পারেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *