ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বর্জ্য দিয়ে জ্বালানি তৈরির চেষ্টা করছে সরকার : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৬২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মানুষের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং টেকসই গ্রিন বিজনেসের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার (৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ অডিটোরিয়ামে ইনস্টিটিউট অব এনার্জি আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল গ্রিন বিজনেস’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে ভোগব্যয় বেড়েছে। যার ফলে প্রচুর পরিমাণে আবর্জনা তৈরি হচ্ছে। সঠিক আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেও আমরা জ্বালানির উৎস পেতে পারি।

তিনি আরো, ঢাকা শহরে প্রতিদিন ছয় হাজার টন আবর্জনা তৈরি হয়। এ আবর্জনা সঠিক ব্যবস্থাপনা করা গেলে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বে টেকসই গ্রিন বিজনেসে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ উন্নীত হয়েছি বাংলাদেশে। তবে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, ২০২৬ সালের মাঝে এই মাত্রা ৪০ শতাংশের ওপরে উন্নীত করবে। সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

মন্ত্রী বলেন, আমরা সূর্য থেকে পাওয়ার সোলারের মাধ্যমে এনার্জি তৈরির চেষ্টা করছি। কিন্তু এই প্রজেক্টের পরিসর খুবই কম। কয়লার ব্যবহারে বায়ুমণ্ডলে যেই কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে তা কমানের জন্য কাজ করছে সরকার।

সরকার দেশের বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানি তৈরির পথে হাঁটছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষের আয় বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে ভোগের পরিমাণও। ফলে শহরতলি থেকে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য জড়ো হচ্ছে। তাই দেশকে বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা করতে, দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানি তৈরি করছে সরকার।

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছেছে। দেশের অর্থনীতির এই অগ্রগতির ফলে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখন আমাদের সবুজ ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের দিকে নজর দিতে হবে।
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে পরিবেশের ক্ষতি হলে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা রেখে যেতে পারব না। তাই মানুষের জীবনের মান উন্নত করার সঙ্গে পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি বা এনার্জি শিল্পায়নের জন্য অপরিহার্য। সেই জ্বালানির উৎস পরিবেশবান্ধব না হলে তা সমগ্র মানবজাতিকে হুমকির মুখে ফেলে। এই বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই সবুজ অর্থনীতি ও সবুজ বিনিয়োগ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় গুরুত্ব পেয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পরিবেশবান্ধব সবুজ বিনিয়োগে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনাকে নির্মূল করে যে উন্নয়ন তা কখনো টেকসই হবে না। তাই ব্যবসায়ীদের এখন থেকেই পরিবেশবান্ধব সবুজ বিনিয়োগের দিকে গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর বক্তব্য রাখেন শেরপা পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম.এ তাহের শেরপা।

আরও বক্তব্য দেন, তৃণা সোলার কোম্পানি লিমিটেডের এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনের বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেলস ম্যানেজার সৈয়দ মো. আমিরুল হাসান এবং এভোনিক বাংলাদেশ লিমিটেডের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার সুজিত রঞ্জন সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

বর্জ্য দিয়ে জ্বালানি তৈরির চেষ্টা করছে সরকার : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মানুষের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং টেকসই গ্রিন বিজনেসের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার (৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ অডিটোরিয়ামে ইনস্টিটিউট অব এনার্জি আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল গ্রিন বিজনেস’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে ভোগব্যয় বেড়েছে। যার ফলে প্রচুর পরিমাণে আবর্জনা তৈরি হচ্ছে। সঠিক আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেও আমরা জ্বালানির উৎস পেতে পারি।

তিনি আরো, ঢাকা শহরে প্রতিদিন ছয় হাজার টন আবর্জনা তৈরি হয়। এ আবর্জনা সঠিক ব্যবস্থাপনা করা গেলে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বে টেকসই গ্রিন বিজনেসে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ উন্নীত হয়েছি বাংলাদেশে। তবে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, ২০২৬ সালের মাঝে এই মাত্রা ৪০ শতাংশের ওপরে উন্নীত করবে। সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

মন্ত্রী বলেন, আমরা সূর্য থেকে পাওয়ার সোলারের মাধ্যমে এনার্জি তৈরির চেষ্টা করছি। কিন্তু এই প্রজেক্টের পরিসর খুবই কম। কয়লার ব্যবহারে বায়ুমণ্ডলে যেই কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে তা কমানের জন্য কাজ করছে সরকার।

সরকার দেশের বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানি তৈরির পথে হাঁটছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষের আয় বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে ভোগের পরিমাণও। ফলে শহরতলি থেকে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য জড়ো হচ্ছে। তাই দেশকে বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা করতে, দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানি তৈরি করছে সরকার।

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছেছে। দেশের অর্থনীতির এই অগ্রগতির ফলে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখন আমাদের সবুজ ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের দিকে নজর দিতে হবে।
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে পরিবেশের ক্ষতি হলে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা রেখে যেতে পারব না। তাই মানুষের জীবনের মান উন্নত করার সঙ্গে পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি বা এনার্জি শিল্পায়নের জন্য অপরিহার্য। সেই জ্বালানির উৎস পরিবেশবান্ধব না হলে তা সমগ্র মানবজাতিকে হুমকির মুখে ফেলে। এই বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই সবুজ অর্থনীতি ও সবুজ বিনিয়োগ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় গুরুত্ব পেয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পরিবেশবান্ধব সবুজ বিনিয়োগে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনাকে নির্মূল করে যে উন্নয়ন তা কখনো টেকসই হবে না। তাই ব্যবসায়ীদের এখন থেকেই পরিবেশবান্ধব সবুজ বিনিয়োগের দিকে গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর বক্তব্য রাখেন শেরপা পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম.এ তাহের শেরপা।

আরও বক্তব্য দেন, তৃণা সোলার কোম্পানি লিমিটেডের এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনের বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেলস ম্যানেজার সৈয়দ মো. আমিরুল হাসান এবং এভোনিক বাংলাদেশ লিমিটেডের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার সুজিত রঞ্জন সরকার।