উজিরপুর প্রতিনিধিঃ
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট ও বাজারে শীতকালীন মৌসুম শুরু হতে না হতেই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবাধে নিধন করছে অতিথি পাখি। সুত্রে জানা যায় তরুর বাজার, উপজেলার সাতলা নয়াকান্দি বাজার ও হারতা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অসাধু পাখি ব্যবসায়ীরা অবাধে বিক্রি করছে অতিথি পাখি। কতিপয় অসাধু ব্যাক্তিরা অতিথি পাখি ধরে ব্যবসায় পরিণত করেছে। অতিথি পাখি নিধন ও ধরে বিক্রি করা সরকারি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অসাধুরা ফাঁদ ও নানান কৌশলে বেলে হাঁস, ডাহুক, পানকৌরি, ঢেকুর, বক, কাইন পাখি সহ নানা প্রজাতির শত শত পাখি শিকার করে হাটে কিংবা বাজারে দীর্ঘদিন যাবত শিকার করে প্রকাশ্যে বিক্রি করে অবৈধভাবে উপার্জন করে নিজের আখের গোছাচ্ছে।স্হানীয়রা জানান, প্রতিদিন নানান কৌশলে শত শত অতিথি পাখি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির পাল, সেই অপরূপ লীলা আর পাখির কলকাকুলি ও কিচিরমিচির শব্দ ভবিষ্যতে আর শোনা যাবেনা বলে আশংকা করছে এখানকার সাধারন মানুষ।
এ ব্যাপারে উপজেলা বনবিভাগ কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম উজিরপুর উপজেলায় কর্মরত সংবাদ কর্মীদের জানান, পাখি নিধনের ব্যাপারে ইতোমধ্যে সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন হাওলাদার ও হারতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমল মল্লিকের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দ্রুত অসাধু পাখি নিধনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের পক্ষ থেকে কিছু অতিথি পাখি উদ্ধার করে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে । এ অভিযান চলমান এবং অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন হাওলাদার জানান, অতিথি পাখি নিধন ও বিক্রি করা আইনগত অপরাধ। পাখিদের মুক্ত আকাশে উড়ার সুযোগ দিতে হবে। পাখি নিধনে জড়িতদের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তুতি চলছে।এ
দিকে সচেতন মহল অসাধু পাখি ব্যবসায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।