ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইসরায়েলে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৭১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েলে বিচার বিভাগ সংস্কার বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) তেল আভিবে সমাবেশে অংশ নেয় হাজারো বিক্ষোভকারী। প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিরোধী সপ্তাহব্যাপী চলা এ বিক্ষোভে এদিন শহরের গুরিয়ন এয়ারপোর্ট অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। এসময় নেতানিয়াহু বিরোধী স্লোগানও দেয় তারা।

ওই এয়ারপোর্ট থেকে নেতানিয়াহুর ইতালির রোমে যাওয়ার কথা ছিল। বিক্ষোভকারীরা রাস্তা আটকে দেয়ায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গাড়িবহরের বদলে হেলিকপ্টারে করে অন্য এক জায়গায় নেতানিয়াহুকে সরিয়ে নেয়া হয়। বিক্ষুদ্ধ জনতা শহরের অন্যতম প্রধান রাস্তা আয়ালন মহাসড়ক দখল করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় সরকারপ্রধান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বিভিন্ন স্লোগানও দেয় তারা। পুলিশের বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টাও করে বিক্ষোভকারীরা। হটানোর চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় পুলিশের। এসময় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওদিকে বিক্ষোভের মুখে বিচার বিভাগ সংস্কার থেকে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতানিয়াহু এমন খবর দিয়েছে রয়টার্স। বিচার বিভাগ সংস্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর সম্ভব নয় জানিয়ে এটি বাতিল এবং সবাই মিলে আইনটি পুনর্বিবেচনা করতে জোট সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

শাসন ও ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে সম্প্রতি ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে একটি আইন পাশের প্রস্তাব করা হয়। এতে সেদেশের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত বাতিলের ক্ষমতা নেসেটের কাছে দেয়া হয়। পাশাপাশি বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমিয়ে নেসেটকে প্রধান্য দেয়ারও প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া বিচারক নিয়োগ করবে সরকার এই ব্যবস্থাও নেয়া হয় আইনে। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি, আইন বিশেষজ্ঞ ও সরকারের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বাধীন কমিটি এতদিন পর্যন্ত দেশটিতে বিচারক ও বিচাপতি নিয়োগ দিয়ে আসছিলেন।

এটিকে ভয়ংকর ও গণতন্ত্রবিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বিরোধী দলসহ সুশীল সমাজ। এ পদক্ষেপ বিচারবিভাগকে দুর্বল করার পাশাপাশি একনায়কতান্ত্রিক শাসনের পথ খুলে দেবে এমনটাই শঙ্কা তাদের।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন নেতানিয়াহুর এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা গঠনে জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এতে বিচারবিভাগ দুর্বল হয়ে যাবে বলেও মত দেন লয়েড, খবর সিএনএনের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

ইসরায়েলে বিচার বিভাগ সংস্কার বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) তেল আভিবে সমাবেশে অংশ নেয় হাজারো বিক্ষোভকারী। প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিরোধী সপ্তাহব্যাপী চলা এ বিক্ষোভে এদিন শহরের গুরিয়ন এয়ারপোর্ট অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। এসময় নেতানিয়াহু বিরোধী স্লোগানও দেয় তারা।

ওই এয়ারপোর্ট থেকে নেতানিয়াহুর ইতালির রোমে যাওয়ার কথা ছিল। বিক্ষোভকারীরা রাস্তা আটকে দেয়ায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গাড়িবহরের বদলে হেলিকপ্টারে করে অন্য এক জায়গায় নেতানিয়াহুকে সরিয়ে নেয়া হয়। বিক্ষুদ্ধ জনতা শহরের অন্যতম প্রধান রাস্তা আয়ালন মহাসড়ক দখল করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় সরকারপ্রধান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বিভিন্ন স্লোগানও দেয় তারা। পুলিশের বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টাও করে বিক্ষোভকারীরা। হটানোর চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় পুলিশের। এসময় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওদিকে বিক্ষোভের মুখে বিচার বিভাগ সংস্কার থেকে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতানিয়াহু এমন খবর দিয়েছে রয়টার্স। বিচার বিভাগ সংস্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর সম্ভব নয় জানিয়ে এটি বাতিল এবং সবাই মিলে আইনটি পুনর্বিবেচনা করতে জোট সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

শাসন ও ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে সম্প্রতি ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে একটি আইন পাশের প্রস্তাব করা হয়। এতে সেদেশের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত বাতিলের ক্ষমতা নেসেটের কাছে দেয়া হয়। পাশাপাশি বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমিয়ে নেসেটকে প্রধান্য দেয়ারও প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া বিচারক নিয়োগ করবে সরকার এই ব্যবস্থাও নেয়া হয় আইনে। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি, আইন বিশেষজ্ঞ ও সরকারের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বাধীন কমিটি এতদিন পর্যন্ত দেশটিতে বিচারক ও বিচাপতি নিয়োগ দিয়ে আসছিলেন।

এটিকে ভয়ংকর ও গণতন্ত্রবিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বিরোধী দলসহ সুশীল সমাজ। এ পদক্ষেপ বিচারবিভাগকে দুর্বল করার পাশাপাশি একনায়কতান্ত্রিক শাসনের পথ খুলে দেবে এমনটাই শঙ্কা তাদের।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন নেতানিয়াহুর এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা গঠনে জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এতে বিচারবিভাগ দুর্বল হয়ে যাবে বলেও মত দেন লয়েড, খবর সিএনএনের।