ঢাকা ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইভিএম কিনতে ৮৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৯৬ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫০ আসনের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনতে চায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। এসব আসনের জন্য ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ ২৩ হাজার টাকার প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এর মধ্যে শুধু দুই লাখ সেট ইভিএম কিনতেই খরচ ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরেই এই অর্থের মধ্য থেকে ৩ হাজার ৬৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯৯৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

আজ বুধবার ‘নির্বাচনি ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এই প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, এটা সরকারের একটি স্পর্শকারতর প্রকল্প। তাই প্রস্তাব পাওয়ার পর এখন ভালোভাবে পর্যালোচনা করে দেখা হবে। এর পর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হবে। সেখানেই দেখা হবে, ইভিএম কেনার দাম বেশি ধরা হয়েছে কি না। এক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যয় পর্যালোচনা করেই সুপারিশ দেওয়া হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে মোট ৪৫ হাজার ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হতে পারে। এর মধ্যে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব আসনে আনুমানিক ভোটকেন্দ্র থাকবে প্রায় ২৫ হাজারটি। এগুলোর প্রতিটিতে সাতটি করে ভোট কক্ষে প্রায় ২ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ সেট ইভিএম প্রয়োজন হবে। এর সঙ্গে ভোটার শিখনের জন্য ৫০ হাজার সেট এবং প্রশিক্ষণে ব্যবহারের জন্য ২৫ হাজার সেট ইভিএম প্রয়োজন হবে। সর্বমোট ৩ লাখ ৩৮ হাজার সেট ইভিএম লাগবে। চলমান প্রকল্পের আওতায় কেনা ইভিএমের মধ্যে সচল রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজারটি। এজন্য প্রস্তাাবিত প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ইভিএম কেনা হবে। এজন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন থেকে আরও বলা হয়, স্বচ্ছ নির্বাচনি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তথ্যপ্রযুক্তির টেকসই ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। সেজন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব সংসদীয় আসনে এটি ব্যবহারের জন্য কাস্টমাইজেশন, সংরক্ষণ এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। সেইসঙ্গে স্থানীয় সরকারের সবপর্যায়ের নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে এই ইভিএম।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইভিএম সংক্রান্ত আগের একটি প্রকল্পের আওতায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বেইজমেন্টে অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছিল ইভিএম কাস্টমাইজেশন সেন্টার। এখন সেখানে নির্বাচন কমিশনের নকশা অনুযায়ী পার্সনালাইজেশন সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। ফলে কম্পমাইজেশন সেন্টারটি দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য এই ব্যয় বর্তমান প্রস্তাবিত প্রকল্পে ধরা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ৫৪৩টি ডাবল কেবিল পিকআপ ভ্যান কেনা প্রয়োজন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইভিএম কিনতে ৮৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব

আপডেট সময় : ১১:৫৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫০ আসনের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনতে চায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। এসব আসনের জন্য ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ ২৩ হাজার টাকার প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এর মধ্যে শুধু দুই লাখ সেট ইভিএম কিনতেই খরচ ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরেই এই অর্থের মধ্য থেকে ৩ হাজার ৬৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯৯৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

আজ বুধবার ‘নির্বাচনি ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এই প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, এটা সরকারের একটি স্পর্শকারতর প্রকল্প। তাই প্রস্তাব পাওয়ার পর এখন ভালোভাবে পর্যালোচনা করে দেখা হবে। এর পর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হবে। সেখানেই দেখা হবে, ইভিএম কেনার দাম বেশি ধরা হয়েছে কি না। এক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যয় পর্যালোচনা করেই সুপারিশ দেওয়া হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে মোট ৪৫ হাজার ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হতে পারে। এর মধ্যে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব আসনে আনুমানিক ভোটকেন্দ্র থাকবে প্রায় ২৫ হাজারটি। এগুলোর প্রতিটিতে সাতটি করে ভোট কক্ষে প্রায় ২ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ সেট ইভিএম প্রয়োজন হবে। এর সঙ্গে ভোটার শিখনের জন্য ৫০ হাজার সেট এবং প্রশিক্ষণে ব্যবহারের জন্য ২৫ হাজার সেট ইভিএম প্রয়োজন হবে। সর্বমোট ৩ লাখ ৩৮ হাজার সেট ইভিএম লাগবে। চলমান প্রকল্পের আওতায় কেনা ইভিএমের মধ্যে সচল রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজারটি। এজন্য প্রস্তাাবিত প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ইভিএম কেনা হবে। এজন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন থেকে আরও বলা হয়, স্বচ্ছ নির্বাচনি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তথ্যপ্রযুক্তির টেকসই ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। সেজন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব সংসদীয় আসনে এটি ব্যবহারের জন্য কাস্টমাইজেশন, সংরক্ষণ এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। সেইসঙ্গে স্থানীয় সরকারের সবপর্যায়ের নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে এই ইভিএম।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইভিএম সংক্রান্ত আগের একটি প্রকল্পের আওতায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বেইজমেন্টে অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছিল ইভিএম কাস্টমাইজেশন সেন্টার। এখন সেখানে নির্বাচন কমিশনের নকশা অনুযায়ী পার্সনালাইজেশন সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। ফলে কম্পমাইজেশন সেন্টারটি দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য এই ব্যয় বর্তমান প্রস্তাবিত প্রকল্পে ধরা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ৫৪৩টি ডাবল কেবিল পিকআপ ভ্যান কেনা প্রয়োজন।