মো. নজরুল ইসলাম, হাওরাঞ্চল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম হাওরের মাটি পাচার হচ্ছে নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন ইটের ভাটায়। অথচ মাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসকরণ ২০১৩ সালের ৫৯ নং আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে কৃষি জমি হতে মাটি কাটা বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভূমিদস্যুরা বিভিন্ন ইটের ভাটায় প্রতিদিন পঞ্চার হাজার টাকার চুক্তিতে এ মাটি বিক্রি করছে।
১৮ মার্চ শনিবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের কাইট্টারা হাওরে গিয়ে দেখা যায়, একটি ভিকু দিয়ে অনবরত বোরো ধানের ফসলী জমি কেটে গর্ত করে এ মাটি পাঁচটি ট্রাকে বহন করে কাইট্টারা হাওর এলাকার সবুরের ভাঙ্গা খালের পারে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে এবং অন্য একটি ভিকু দিয়ে নৌকায় উঠিয়ে নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন ইটের ভাটায় পাচার করা হচ্ছে।
জমির ভুক্তভোগি মালিকগণ জানান, পাশের জমি থেকে ভিকু মেশিনে মাটি কাটার ফলে কিছুদিন পর আমাদের জমি ভেঙ্গে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া এ মাটি পাচারের ফলে ফসলী জমি দিনদিন আরও নিচু হচ্ছে বলে আগাম বন্যায় ফসল ডুবে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই দ্রæত এ অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে কৃষি গবেষক মো. শহিদুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে জনান, ফসলের প্রাণ হচ্ছে জমির উপরের অংশ। জমির উপরের পলি মাটি কেটে নিয়ে গেলে কখনই ভাল ফলন আশা করা যায়না। তাছাড়া কেটে নেয়া মাটির গর্তে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিসহ আগাম বন্যায় ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হারুর-অর-রশিদ এ প্রতিনিধিকে জানান, কোন হাওর থেকে মাটি উত্তোলন করে পাচার করা হচ্ছে তা আমার জানা নেই। খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বা/খ: এসআর।