ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মার্চে কালবৈশাখী-তাপপ্রবাহ-কম বৃষ্টির শঙ্কা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৬৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শীত বিদায় নিয়েছে। বর্ষা আসন্ন। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মার্চ মাসের শেষদিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

চলতি মার্চ মাসে বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েকটি কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে কয়েকটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। একইসঙ্গে এ মাসে বৃষ্টিও হতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে কম। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এ পূর্বাভাস দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) কুমারখালীতে দেশের সর্বোচ্চ ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গেলে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানান, চলতি মাসে ২-৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা অথবা মাঝারি ধরনের এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

মার্চে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। এ মাসের শেষদিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে ২-৩টি মৃদু অথবা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

শীত বিদায়ের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ছয় জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ৪ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি কুমারখালী ও মোংলায় ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা ফেব্রুয়ারির সর্বনিম্ন। আর ২০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলের ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

গত শীত মৌসুমে চার দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে সব মিলিয়ে। সামনে আসছে কালবৈশাখী, তাপপ্রবাহ আর বজ্রঝড়ের মৌসুম।

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্চে কালবৈশাখী-তাপপ্রবাহ-কম বৃষ্টির শঙ্কা

আপডেট সময় : ০৮:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শীত বিদায় নিয়েছে। বর্ষা আসন্ন। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মার্চ মাসের শেষদিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

চলতি মার্চ মাসে বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েকটি কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে কয়েকটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। একইসঙ্গে এ মাসে বৃষ্টিও হতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে কম। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এ পূর্বাভাস দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) কুমারখালীতে দেশের সর্বোচ্চ ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গেলে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানান, চলতি মাসে ২-৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা অথবা মাঝারি ধরনের এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

মার্চে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। এ মাসের শেষদিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে ২-৩টি মৃদু অথবা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

শীত বিদায়ের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ছয় জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ৪ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি কুমারখালী ও মোংলায় ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা ফেব্রুয়ারির সর্বনিম্ন। আর ২০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলের ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

গত শীত মৌসুমে চার দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে সব মিলিয়ে। সামনে আসছে কালবৈশাখী, তাপপ্রবাহ আর বজ্রঝড়ের মৌসুম।