ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকারের বেধে দেওয়া দামের প্রভাব নেই বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৮৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাছ-মাংসসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। আজ শনিবার বেধে দেওয়া দামের প্রভাব পড়েনি ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে। বাধ্য হয়েই বেশি দামে কিনছেন ক্রেতারা।

যেন কোন কিছুর তোয়াক্কাই করছেন না ব্যবসায়ীরা, আর অজুহাতের শেষ নেই। আর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নির্দিষ্ট আয়ের মানুষদের বিপাকে ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু নতুন দামে কোথাও কোন পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

এই তালিকায় রয়েছে মুদি দোকানের পণ্য থেকে শুরু করে কাঁচাবাজারের সবজি। তবে বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে অনেকটা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতারা বলেন, ‘পাইকারিতে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই চাইলেও বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।’ কৃষি বিপনণ অধিদপ্তরের বেঁধে দেয়া দামের পরদিন বিক্রেতারা এমনটিই জানান। বলেন একদিন পরেই যে সবজি তার দাম কিভাবে নির্ধারণ করে দেয় সরকার।

ক্রেতারা বলেন, ‘সরকারের বেঁধে দেয়া দামে তো পণ্য কিনতে পারছি না। বিক্রেতাদের চাওয়া দামেই কিনতে হচ্ছে। আমরা কার কাছে বলবো যে, নির্দিষ্ট দামে পণ্য কেনা যাচ্ছে না?’

ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, শুধু দাম নির্ধারণ করলেই সমাধান হবে না। এজন্য নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন।

বেসরকারি চাকরিজীবি মনোয়ার হোসেন। নিত্যপণ্যের নতুন দর সম্পর্কে ধারণা ছিল না। কারওয়ান বাজারে মুরগি কিনতে এসে জেনেছেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি, ১৭৫ টাকার মুরগি কিনতে হয়েছে ২১০ টাকায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরু-খাসি থেকে শুরু আলু, টমেটো কোনকিছুই নিয়ম মেনে বিক্রি হচ্ছে না। আর গরুর মাংস ৬৬৪ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও তা হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। খাসির মাংসবিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। বিক্রেতাদের যুক্তি, গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিই এজন্য দায়ী।

কাঁচাবাজারেও নিয়মের বালাই নেই। ফুলকপি, শিম, শসা কিংবা রোজার অন্যতম দরকারি পণ্য বেগুন, সবকিছুই নির্ধারিত দামের বাইরে বিক্রি হচ্ছে।

সরকার নির্ধারিত দামে টমেটো বিক্রি হওয়ার কথা ছিল ৪০ টাকা কেজি দরে। তবে এখনো বিক্রি হচ্চে ৬০ টাকা দরে। একইভাবে, ফুলকপি ২৯ টাকা ৬০ পয়সা,বাধাকপি ২৮.৩০ টাকা,বেগুন ৪৯ টকা বিক্রি করার কথা থাকলেও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, বাঁধা কপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে, কাচামরিচ ৬০ টাকা দরে আর বেগুন বিক্রী হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। ক্রেতারা বলছেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও তার কোন প্রভাব বাজারে নেই।

এদিকে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগী বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। খাসির মাংস সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হলেও গরুর মাংসে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরেই। বিক্রেতারা দেখাচ্ছেন সরকার দামে বিক্রি করতে না পারার নানা যুক্তি।

মাছের বাজারের চিত্র একই রকম। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে কাতলা মাছ। আর পাঙ্গাস সরকার নির্ধারিত দামের থেকে ২০ টাকা কমে।

ছোলা, মসুর ডাল, খেসারি ডাল,মুগ ডাল, দেশী পিয়াজ, রসুন আমদানীকৃত আদা সবই পুর্বের দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন মূল্য তালিকা যেন দেখেও দেখার কেউ নেই। এই তালিকা ধরে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে শক্ত হাতে বাজার পর্যবেক্ষণের দাবি ক্রেতাদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারের বেধে দেওয়া দামের প্রভাব নেই বাজারে

আপডেট সময় : ০৩:৪৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাছ-মাংসসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। আজ শনিবার বেধে দেওয়া দামের প্রভাব পড়েনি ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে। বাধ্য হয়েই বেশি দামে কিনছেন ক্রেতারা।

যেন কোন কিছুর তোয়াক্কাই করছেন না ব্যবসায়ীরা, আর অজুহাতের শেষ নেই। আর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নির্দিষ্ট আয়ের মানুষদের বিপাকে ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু নতুন দামে কোথাও কোন পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

এই তালিকায় রয়েছে মুদি দোকানের পণ্য থেকে শুরু করে কাঁচাবাজারের সবজি। তবে বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে অনেকটা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতারা বলেন, ‘পাইকারিতে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই চাইলেও বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।’ কৃষি বিপনণ অধিদপ্তরের বেঁধে দেয়া দামের পরদিন বিক্রেতারা এমনটিই জানান। বলেন একদিন পরেই যে সবজি তার দাম কিভাবে নির্ধারণ করে দেয় সরকার।

ক্রেতারা বলেন, ‘সরকারের বেঁধে দেয়া দামে তো পণ্য কিনতে পারছি না। বিক্রেতাদের চাওয়া দামেই কিনতে হচ্ছে। আমরা কার কাছে বলবো যে, নির্দিষ্ট দামে পণ্য কেনা যাচ্ছে না?’

ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, শুধু দাম নির্ধারণ করলেই সমাধান হবে না। এজন্য নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন।

বেসরকারি চাকরিজীবি মনোয়ার হোসেন। নিত্যপণ্যের নতুন দর সম্পর্কে ধারণা ছিল না। কারওয়ান বাজারে মুরগি কিনতে এসে জেনেছেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি, ১৭৫ টাকার মুরগি কিনতে হয়েছে ২১০ টাকায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরু-খাসি থেকে শুরু আলু, টমেটো কোনকিছুই নিয়ম মেনে বিক্রি হচ্ছে না। আর গরুর মাংস ৬৬৪ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও তা হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। খাসির মাংসবিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। বিক্রেতাদের যুক্তি, গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিই এজন্য দায়ী।

কাঁচাবাজারেও নিয়মের বালাই নেই। ফুলকপি, শিম, শসা কিংবা রোজার অন্যতম দরকারি পণ্য বেগুন, সবকিছুই নির্ধারিত দামের বাইরে বিক্রি হচ্ছে।

সরকার নির্ধারিত দামে টমেটো বিক্রি হওয়ার কথা ছিল ৪০ টাকা কেজি দরে। তবে এখনো বিক্রি হচ্চে ৬০ টাকা দরে। একইভাবে, ফুলকপি ২৯ টাকা ৬০ পয়সা,বাধাকপি ২৮.৩০ টাকা,বেগুন ৪৯ টকা বিক্রি করার কথা থাকলেও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, বাঁধা কপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে, কাচামরিচ ৬০ টাকা দরে আর বেগুন বিক্রী হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। ক্রেতারা বলছেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও তার কোন প্রভাব বাজারে নেই।

এদিকে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগী বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। খাসির মাংস সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হলেও গরুর মাংসে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরেই। বিক্রেতারা দেখাচ্ছেন সরকার দামে বিক্রি করতে না পারার নানা যুক্তি।

মাছের বাজারের চিত্র একই রকম। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে কাতলা মাছ। আর পাঙ্গাস সরকার নির্ধারিত দামের থেকে ২০ টাকা কমে।

ছোলা, মসুর ডাল, খেসারি ডাল,মুগ ডাল, দেশী পিয়াজ, রসুন আমদানীকৃত আদা সবই পুর্বের দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন মূল্য তালিকা যেন দেখেও দেখার কেউ নেই। এই তালিকা ধরে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে শক্ত হাতে বাজার পর্যবেক্ষণের দাবি ক্রেতাদের।