ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করছেন বলেই দেশের চেহারা পাল্টে গেছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে ফলো (অনুসরণ) করছেন বলেই তাকে আজ অনেক কিছু চিন্তা করতে হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু যেসব বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন কিন্তু করে যেতে পারেননি, তিনি সেগুলো একে একে সম্পন্ন করছেন বলেই আজ বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে গেছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ উপলক্ষে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ একটি ধ্বংসস্তূপ ছিল। ব্রিজ ছিল না, খাবার ছিল না, কাপড় ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের পর কাপড়ের জন্য আমাদের লাইন ধরতে হতো। বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরে ধরে বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছিলেন। আমি খালেদ মোশাররফের অধীনে ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছি। তিনি একজন বীরপুরুষ ছিলেন। তাকে অল্পের জন্যও চিন্তিত, মনোবল হারাতে দেখিনি। একাত্তরের যুদ্ধ তার প্রাণ কেড়ে নিতে পারেনি, প্রাণ কেড়েছিল ঘাতকরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। তাদের ধারণা ছিল, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে প্রবাহিত হবে, তিনি ঘুরে দাঁড় করাতে পারবেন বাংলাদেশকে। তাদের ধারণা যথার্থই ছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছেন, আজকের বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। তাকে ১৯ বার, আমার হিসাবে ২০ বার হত্যার প্রচেষ্টা হয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিন তাকে রক্ষা করেছেন নিজের হাতে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যে চার নেতা মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশ পরিচালনা করেছিলেন তাদেরও হত্যা করেছে তারা। ৭ নভেম্বর একটা বিপ্লবের নাম করে এই যে কতগুলো সন্তানের বাবাদের হত্যা করা হলো। তাদের ডেড বডি কোথায় ছিল, সেটিও তাদের পরিবার জানে না। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। তাদের মৃত্যুর পর ডেড বডি তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এটাও ওই বিপ্লবের সময় হত্যার স্বীকার হওয়া সন্তানদের ভাগ্যে জোটেনি। তারা আজ এই হত্যার বিচার চাইছে। তারাই হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছে, সেটির রুল জারি হচ্ছে। আমি আশা করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে-অকারণে যারা হত্যা করেছেন তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। সেই বিচারটিও আমরা বাংলার মাটিতে দেখতে পাব।

তিনি বলেন, কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা, তাদের একটি বিরূপ অবস্থানে দাঁড় করানো, এই ষড়যন্ত্র, এই রক্তের হোলি খেলা যারা করছেন তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য একটা তদন্ত কমিটি হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন সবকিছু নিয়তান্ত্রিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলছেন, দেশকে যখন তিনি একটি উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গিয়েছেন, যখন তিনি ন্যায়বিচার সুবিচার প্রতিষ্ঠা করছেন, তখনই তার বিরুদ্ধে আবারও ষড়যন্ত্র চলছে। বিচারপতিদের গাড়িতে তখনই অ্যাটাক দেখছি। যারা অন্যায়ভাবে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের শাহাদত বরণ করিয়েছে, তাদেরও বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সশস্ত্র বাহিনীতে হত্যাকাণ্ড নিয়ে গবেষক আনোয়ার কবির প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করছেন বলেই দেশের চেহারা পাল্টে গেছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে ফলো (অনুসরণ) করছেন বলেই তাকে আজ অনেক কিছু চিন্তা করতে হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু যেসব বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন কিন্তু করে যেতে পারেননি, তিনি সেগুলো একে একে সম্পন্ন করছেন বলেই আজ বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে গেছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ উপলক্ষে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ একটি ধ্বংসস্তূপ ছিল। ব্রিজ ছিল না, খাবার ছিল না, কাপড় ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের পর কাপড়ের জন্য আমাদের লাইন ধরতে হতো। বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরে ধরে বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছিলেন। আমি খালেদ মোশাররফের অধীনে ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছি। তিনি একজন বীরপুরুষ ছিলেন। তাকে অল্পের জন্যও চিন্তিত, মনোবল হারাতে দেখিনি। একাত্তরের যুদ্ধ তার প্রাণ কেড়ে নিতে পারেনি, প্রাণ কেড়েছিল ঘাতকরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। তাদের ধারণা ছিল, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে প্রবাহিত হবে, তিনি ঘুরে দাঁড় করাতে পারবেন বাংলাদেশকে। তাদের ধারণা যথার্থই ছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছেন, আজকের বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। তাকে ১৯ বার, আমার হিসাবে ২০ বার হত্যার প্রচেষ্টা হয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিন তাকে রক্ষা করেছেন নিজের হাতে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যে চার নেতা মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশ পরিচালনা করেছিলেন তাদেরও হত্যা করেছে তারা। ৭ নভেম্বর একটা বিপ্লবের নাম করে এই যে কতগুলো সন্তানের বাবাদের হত্যা করা হলো। তাদের ডেড বডি কোথায় ছিল, সেটিও তাদের পরিবার জানে না। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। তাদের মৃত্যুর পর ডেড বডি তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এটাও ওই বিপ্লবের সময় হত্যার স্বীকার হওয়া সন্তানদের ভাগ্যে জোটেনি। তারা আজ এই হত্যার বিচার চাইছে। তারাই হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছে, সেটির রুল জারি হচ্ছে। আমি আশা করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে-অকারণে যারা হত্যা করেছেন তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। সেই বিচারটিও আমরা বাংলার মাটিতে দেখতে পাব।

তিনি বলেন, কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা, তাদের একটি বিরূপ অবস্থানে দাঁড় করানো, এই ষড়যন্ত্র, এই রক্তের হোলি খেলা যারা করছেন তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য একটা তদন্ত কমিটি হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন সবকিছু নিয়তান্ত্রিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলছেন, দেশকে যখন তিনি একটি উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গিয়েছেন, যখন তিনি ন্যায়বিচার সুবিচার প্রতিষ্ঠা করছেন, তখনই তার বিরুদ্ধে আবারও ষড়যন্ত্র চলছে। বিচারপতিদের গাড়িতে তখনই অ্যাটাক দেখছি। যারা অন্যায়ভাবে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের শাহাদত বরণ করিয়েছে, তাদেরও বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সশস্ত্র বাহিনীতে হত্যাকাণ্ড নিয়ে গবেষক আনোয়ার কবির প্রমুখ।