ঢাকা ১০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাকুন্দিয়ায় ভোট পুনঃ গণনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
  • / ৪৮২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সদ্য অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গণানর দাবি জানিয়েছেন মোটর সাইকেল প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম রেনু। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও কেন্দ্র দখল করে তাকে সুকৌশলে পরাজিত করা হয়েছে উল্লেখ করে এ নির্বাচন বাতিলেরও দাবি জানান তিনি। এ নির্বাচন বাতিল না হলে কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারিও দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পাকুন্দিয়া সদর ঈদগাহে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রফিকুল ইসলাম রেনু পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ, আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল মিয়া, রিয়াজ উদ্দীন, কাজল মিয়া, জানু মিয়া, লালমিয়াসহ শতাধীক নির্বাচনি কর্মী-সমর্থক।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার মোটর সাইকেল প্রতীক বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে।

কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী এমদাদুল হক জুটন (আনারস) নির্বাচনি কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে আমার মোটর সাইকেল প্রতীকের বিজয়কে ছিনিয়ে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন দুপুরের পর প্রতিদ্ধন্ধী প্রার্থী এমদাদুল হক জুটন তার নিজ এলাকায় পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের বিশুহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চকদিগা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়ে তারা জাল ভোট প্রয়োগ করে। বিষয়টি আমি মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানালেও তিনি এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেন নি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যায় ভোটের ফলাফল ঘোষনার সময় সুকৌশলে আমার ভোট কম দেখিয়ে প্রতিন্ধন্ধী প্রার্থী এমদাদুল হক জুটনকে ৯৪৭ ভোটে জয়ী ঘোষনা করা হয়। ভোট পুনঃগণনা করলে আমি অবশ্যই জয়ী হবো। তিনি আরও বলেন, ভাইস চেয়ারম্যানদের মোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা হলো ৭৫ হাজার ৪১৬ ভোট। অপরদিকে চেয়ারম্যানদের মোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৭০ হাজার ৩৩৪ ভোট। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, এই অতিরিক্ত ভোটগুলো গেল কোথায় আমি এর জবাব চাই। আমি এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে জানতে সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার (৮ মে) পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে এমদাদুল হক জুটন (আনারস) ২৮ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্ধন্ধী প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম রেনু (মোটর সাইকেল) ২৭ হাজার ৭৯১ ভোট পান। পরে উপজেলা সহকারি রিটার্নিং অফিসার এমদাদুল হক জুটনকে ৯৪৭ ভোটে বিজয়ী ঘোষনা করেন।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকুন্দিয়ায় ভোট পুনঃ গণনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ১২:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

সদ্য অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গণানর দাবি জানিয়েছেন মোটর সাইকেল প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম রেনু। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও কেন্দ্র দখল করে তাকে সুকৌশলে পরাজিত করা হয়েছে উল্লেখ করে এ নির্বাচন বাতিলেরও দাবি জানান তিনি। এ নির্বাচন বাতিল না হলে কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারিও দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পাকুন্দিয়া সদর ঈদগাহে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রফিকুল ইসলাম রেনু পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ, আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল মিয়া, রিয়াজ উদ্দীন, কাজল মিয়া, জানু মিয়া, লালমিয়াসহ শতাধীক নির্বাচনি কর্মী-সমর্থক।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার মোটর সাইকেল প্রতীক বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে।

কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী এমদাদুল হক জুটন (আনারস) নির্বাচনি কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে আমার মোটর সাইকেল প্রতীকের বিজয়কে ছিনিয়ে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন দুপুরের পর প্রতিদ্ধন্ধী প্রার্থী এমদাদুল হক জুটন তার নিজ এলাকায় পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের বিশুহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চকদিগা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়ে তারা জাল ভোট প্রয়োগ করে। বিষয়টি আমি মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানালেও তিনি এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেন নি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যায় ভোটের ফলাফল ঘোষনার সময় সুকৌশলে আমার ভোট কম দেখিয়ে প্রতিন্ধন্ধী প্রার্থী এমদাদুল হক জুটনকে ৯৪৭ ভোটে জয়ী ঘোষনা করা হয়। ভোট পুনঃগণনা করলে আমি অবশ্যই জয়ী হবো। তিনি আরও বলেন, ভাইস চেয়ারম্যানদের মোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা হলো ৭৫ হাজার ৪১৬ ভোট। অপরদিকে চেয়ারম্যানদের মোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৭০ হাজার ৩৩৪ ভোট। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, এই অতিরিক্ত ভোটগুলো গেল কোথায় আমি এর জবাব চাই। আমি এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে জানতে সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার (৮ মে) পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে এমদাদুল হক জুটন (আনারস) ২৮ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্ধন্ধী প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম রেনু (মোটর সাইকেল) ২৭ হাজার ৭৯১ ভোট পান। পরে উপজেলা সহকারি রিটার্নিং অফিসার এমদাদুল হক জুটনকে ৯৪৭ ভোটে বিজয়ী ঘোষনা করেন।

 

বাখ//আর