রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০২:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৫৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিরোধী দলকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক দলের কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। যে দল যখনই সমাবেশ করতে চাচ্ছে, আমরা বা ডিএমপি কমিশনার তাদের অনুমতি দিয়ে দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা এটুকুই বলি, জনগণের দুর্ভোগ যেন না হয়। রাস্তাঘাট বন্ধ করতে পারবেন না, ভাঙচুর করতে পারবেন না। আপনাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবেন যাতে জনগণের দুর্ভোগ না হয়। এটাই আমরা বলি, এর বাইরে আমরা তাদের কোনো বাধা দিচ্ছি না। তারা তাদের ইচ্ছামতো প্রোপাগান্ডা করছে। যা সত্যি নয়, তাকে আরো রংচং দিয়ে এমনভাবে প্রচার করছে… আপনারাই ভালো করে জানেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোনো রাজনৈতিক দলকেই বাধা দেননি তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচার করার জন্য, তাদের সমাবেশ করার জন্য।
‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের আটকে টাকা নিচ্ছেন নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন সদস্যরা’ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এপিবিএন সদস্যদের চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দেওয়া এ তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন আমি দেখিনি। তবে আমি সবসময় বলেছি, এক সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প আমাদের জন্য বিষফোঁড়া হবে। কারণ এই রোহিঙ্গারা তাদের সবকিছু ফেলে এখানে এসেছে। তারা যেকোনো সময় যেকোনো প্রয়োজনে, প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে।
তিনি বলেন, এই রোহিঙ্গারা তাদের ক্যাম্পের ভেতরে ইয়াবার ব্যবসা করে। রোহিঙ্গারা নিজেরা নিজেরা গোলাগুলি করছে, প্রতিদিন তারা মারামারি করছে। তমব্রু নামক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। গতকালকেও আপনারা দেখেছেন সেখানে গোলাগুলি হয়েছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই রোহিঙ্গারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অপরাধ সংঘটিত করছে। আমরা তাদের জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে কাঁটাতারের বেষ্টনী দিয়েছিলাম, সেগুলো তারা সরিয়ে ফেলে ও কেটে ফেলে বের হয়ে মিয়ানমারে গিয়ে ইয়াবা নিয়ে আনছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা মোতায়েন আছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উচিত আরও দেখে এসে রিপোর্ট করা।
‘সামনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন, এর আগে বিরোধী দলগুলোকে নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে’—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণকে নিয়েই চলেন। আমাদের সংসদে বিরোধী দল আছে। তারা কখনো বিরোধীদলকে হয়রানি করা হচ্ছে এরকম কোন প্রশ্ন কখনো তোলেননি। যে সমস্ত দল যখনই মিটিং ও সমাবেশ করতে চাচ্ছে, তাদেরকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আমরা শুধু বলছি—জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারবেন না, রাস্তাঘাট বন্ধ করতে পারবেন না ও ভাঙচুর করতে পারবেন না। জনগণের দুর্ভোগ যাতে না হয় সে ধরনের কর্মসূচি আপনারা করতে পারবেন। এর বাইরে আমরা কাউকে কোনো ধরনের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছি না।
উল্টো বিরোধী দলগুলোই প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কিন্তু তারা ইচ্ছামতো প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। যা সত্যি নয়, তা তারা আরও রং-ঢং দিয়ে প্রচার করছে। তারা কীভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে, প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, তা আপনারা সাংবাদিকরা ভালো জানেন। তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচার করার জন্য, তাদের মিটিং সমাবেশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কোনো রাজনৈতিক দলকে বাধা দেননি।
এ সময় রোহিঙ্গা শিবির নিয়ে হিউম্যান রাইট ওয়াচের রিপোর্ট তথ্যভিত্তিক নয় বলে জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের আরও বেশি করে দেখে এসে রিপোর্ট করা উচিত।