ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যুবসমাজকে সঙ্গে নিয়ে যুবলীগ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৪:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি, যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর মধ্যদিয়ে যুবসমাজের সংগ্রামী চেতনার ধারা আরো শাণিত ও বেগবান হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এ দেশের যুবসমাজের বুকে অদম্য শক্তির যে বহ্নিশিখা প্রজ্বলিত করে গেছেন, যে প্রেরণা তিনি যুগিয়ে গেছেন, সেই প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে যুবলীগ এদেশের যুবসমাজকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা একথা বলেন।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের সব নেতা-কর্মীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণিসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ সব যুবলীগ নেতা-কর্মীকে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে যুবশক্তির উন্মেষ ঘটেছিল, সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত স্বদেশ পুনর্গঠনে সেই যুবশক্তিকে সম্পৃক্ত করার অভীষ্ট লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সৃষ্টি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে এ সংগঠনের জন্ম। জন্মলগ্ন থেকেই যুবলীগ আত্মনিয়োগ করে দেশ গঠনে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। হত্যা করা হয় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণিকে। সে থেকে শুরু হয় হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। এ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সাহসী প্রতিবাদ জানায়। চট্টগ্রামের যুবলীগ নেতা মৌলভী সৈয়দ আহমদ ও বগুড়ার আবদুল খালেক খসরুসহ অনেক যুবলীগ নেতা-কর্মী সেসময় জীবন দিয়েছেন। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে যুবলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ’৭৫ পরবর্তী যুবলীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ডে পরিণত হয়।

তিনি আরো বলেন, স্বাধিকার আন্দোলন তথা জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জীবন দিয়েছেন যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নুরুল হুদা বাবুল ও ফাত্তাহসহ অনেকে। তাদের মহান আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি যুবলীগের সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২১ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম শেষে ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আমরা যুব সমাজকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করি। যুবসমাজ আবারও উন্নয়নের সুফল পেতে শুরু করে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই যুবশক্তি। যুবসমাজের আছে অমিত সম্ভাবনা ও সতেজ উদ্যম। যুবশক্তিই পারে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করে সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়তে। বৈশ্বিক করোনা মহামারির সময়ে আমাদের যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করে, উদ্বাস্তু মানুষের জন্য ঘর নির্মাণ করে, কৃষকের ধান কেটে এবং ফ্রি মেডিকেল সেবা দিয়ে মানবিকতার নতুন

দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুবসমাজকে সঙ্গে নিয়ে যুবলীগ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:১৪:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি, যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর মধ্যদিয়ে যুবসমাজের সংগ্রামী চেতনার ধারা আরো শাণিত ও বেগবান হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এ দেশের যুবসমাজের বুকে অদম্য শক্তির যে বহ্নিশিখা প্রজ্বলিত করে গেছেন, যে প্রেরণা তিনি যুগিয়ে গেছেন, সেই প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে যুবলীগ এদেশের যুবসমাজকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা একথা বলেন।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের সব নেতা-কর্মীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণিসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ সব যুবলীগ নেতা-কর্মীকে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে যুবশক্তির উন্মেষ ঘটেছিল, সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত স্বদেশ পুনর্গঠনে সেই যুবশক্তিকে সম্পৃক্ত করার অভীষ্ট লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সৃষ্টি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে এ সংগঠনের জন্ম। জন্মলগ্ন থেকেই যুবলীগ আত্মনিয়োগ করে দেশ গঠনে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। হত্যা করা হয় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণিকে। সে থেকে শুরু হয় হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। এ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সাহসী প্রতিবাদ জানায়। চট্টগ্রামের যুবলীগ নেতা মৌলভী সৈয়দ আহমদ ও বগুড়ার আবদুল খালেক খসরুসহ অনেক যুবলীগ নেতা-কর্মী সেসময় জীবন দিয়েছেন। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে যুবলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ’৭৫ পরবর্তী যুবলীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ডে পরিণত হয়।

তিনি আরো বলেন, স্বাধিকার আন্দোলন তথা জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জীবন দিয়েছেন যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নুরুল হুদা বাবুল ও ফাত্তাহসহ অনেকে। তাদের মহান আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি যুবলীগের সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২১ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম শেষে ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আমরা যুব সমাজকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করি। যুবসমাজ আবারও উন্নয়নের সুফল পেতে শুরু করে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই যুবশক্তি। যুবসমাজের আছে অমিত সম্ভাবনা ও সতেজ উদ্যম। যুবশক্তিই পারে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করে সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়তে। বৈশ্বিক করোনা মহামারির সময়ে আমাদের যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করে, উদ্বাস্তু মানুষের জন্য ঘর নির্মাণ করে, কৃষকের ধান কেটে এবং ফ্রি মেডিকেল সেবা দিয়ে মানবিকতার নতুন

দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।