ঢাকা ০৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মৎস্য অভয়াশ্রমে বিষ প্রয়োগ ৪ লাখ টাকার মাছ নিধন করলো দূর্বৃত্তরা

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:২৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ভোলার ছড়া সরকারি অভয় আশ্রমের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। মরা মাছের গন্ধে অতিষ্ট এখন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ভোলার ছড়া এলাকায় আয়তনে ০.৮০ একর একটি পুকুরে প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশিও বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪ লক্ষ্য টাকার মাছের চাষ করেন উপজেলা মৎস বিভাগ। সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সরকারি অভয়াশ্রম পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকালে পুকুর গিয়ে সব মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখে হতবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তারা অভয়াশ্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা উপজেলা মৎস্য অফিসকে বিষয়টি অবগত করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সুবিধাভোগি দলের (সাংগঠনিক সম্পাদক) কাজিম উদ্দিন বলেন, কে বা কারা রাতের আঁধারে সরকারি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠেছে। যারা এ কাজ করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মফিজল হক বলেন, মানুষের মধ্যে শত্রুতা দেখেছি। কিন্তু মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় প্রথম দেখলাম। কে বা কাহারা রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলেছে। সকালে এসে দেখি পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে আছে।
চিলমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান খান জানান, ঘটনা জানার পরই আমি অভয়াশ্রমে যাই গিয়ে মাছ মারা গেছে এর সত্যতা পাই। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে পানি দুষণের ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষ প্রয়োগের ফলে মাছ মারা গেছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে ল্যাব না থাকায় বলা যাচ্ছে না। এঘটনায় আমি তাৎক্ষনিক ইউএনও স্যার কে জানিয়েছি।
চিলমারী মডেল থানার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, মাছ মরার বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম জানান, মৎস্য অফিসারকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছি। অভয়াশ্রম নিয়ে মামলা চলমান আছে এর মধ্যে এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তদন্ত করে অপরাধীদের বের করে আইনের আওতায় আনা হবে,কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

মৎস্য অভয়াশ্রমে বিষ প্রয়োগ ৪ লাখ টাকার মাছ নিধন করলো দূর্বৃত্তরা

আপডেট সময় : ০৩:২৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ভোলার ছড়া সরকারি অভয় আশ্রমের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। মরা মাছের গন্ধে অতিষ্ট এখন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ভোলার ছড়া এলাকায় আয়তনে ০.৮০ একর একটি পুকুরে প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশিও বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪ লক্ষ্য টাকার মাছের চাষ করেন উপজেলা মৎস বিভাগ। সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সরকারি অভয়াশ্রম পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকালে পুকুর গিয়ে সব মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখে হতবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তারা অভয়াশ্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা উপজেলা মৎস্য অফিসকে বিষয়টি অবগত করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সুবিধাভোগি দলের (সাংগঠনিক সম্পাদক) কাজিম উদ্দিন বলেন, কে বা কারা রাতের আঁধারে সরকারি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠেছে। যারা এ কাজ করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মফিজল হক বলেন, মানুষের মধ্যে শত্রুতা দেখেছি। কিন্তু মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় প্রথম দেখলাম। কে বা কাহারা রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলেছে। সকালে এসে দেখি পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে আছে।
চিলমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান খান জানান, ঘটনা জানার পরই আমি অভয়াশ্রমে যাই গিয়ে মাছ মারা গেছে এর সত্যতা পাই। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে পানি দুষণের ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষ প্রয়োগের ফলে মাছ মারা গেছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে ল্যাব না থাকায় বলা যাচ্ছে না। এঘটনায় আমি তাৎক্ষনিক ইউএনও স্যার কে জানিয়েছি।
চিলমারী মডেল থানার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, মাছ মরার বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম জানান, মৎস্য অফিসারকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছি। অভয়াশ্রম নিয়ে মামলা চলমান আছে এর মধ্যে এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তদন্ত করে অপরাধীদের বের করে আইনের আওতায় আনা হবে,কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
বাখ//আর