ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মঠবাড়িয়ায় প্রবেশপত্র বিতরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// মঠবাড়িয়া  (পিরোজপুর) প্রতিনিধি //

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জিম্মি করে প্রবেশপত্র বিতরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ৩০ এপ্রিল‘২৩ রোববার উপজেলার ৩৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট ২ হাজার ১শ’ ৫৩ জন শিক্ষার্থী ৪টি ভেন্যুসহ ৫টি কেন্দ্রে এসএসসি ও ৪৭ টি মাদ্রাসার ১ হাজার ২শ’ ৫ জন শিক্ষার্থী ২টি দাখিল এবং ভোকেশনালের ৫২জন পরীক্ষার্থী একটি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে।

পিজিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী জানায়, (যার রোল নং-২২৮৩৭২ রেজিঃ নং২০১৫১৭৫১১৬) বিদ্যালয়ে প্রবেশ পত্রের জন্য ৬শ’ এবং কোচিং ফি বাবদ ১ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক আদায় করেছেন। ওই ছাত্রের মা নুপুর বেগম অভিযোগ করে বলেন প্রবেশ পত্র বাবদ ৫শ’ টাকা দিতে চাইলে প্রধান শিক্ষক প্রবেশপত্র দিতে অপারাগতা করলে পরে ৬শ’ টাকা দিলে ছেলের প্রবেশ পত্র নেন। তিনি আরও বলেন এর আগে তার ছেলের বোর্ডের নির্ধারিত কেন্দ্র ফিসহ ২ হাজার ২০ টাকায় ফরম ফিলাপ করি। একই অভিযোগ করে ওই স্কুলের অপর শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম,সাইফুল ইসলাম ইমন। তবে প্রধান শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র বারীক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- ফরম পূরনের সময় কেন্দ্র ফি নেয়া হয়নি তাই ৫শ’ টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিরুখালী স্কুল এ্যন্ড কলেজের এসএসসির একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে প্রতিষ্ঠান প্রধান তাদের কোচিং ফি বাবদ ৪ হাজার ও প্রবেশ পত্র বাবদ ৬শ’ টাকা আদায় করেছেন। এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বললে পরীক্ষার হলে ক্ষতি করতে পারে বলে তারা জানায়। অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত চার মাসের কোচিং বাবৎ যে যা দেয় তাই নেয়া হয়েছে।

বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা কামিল মাদ্রসা কেন্দ্রের দাখিল শিক্ষার্থী তাকওয়া ইয়াসমিন হাফসা (রোল নং-২১৭১০০ রেজিঃ নং- ২০১৮৭৪৫৮৯৯) বলেন, তার কাছ থেকে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ প্রবেশ পত্র বাবদ ৬শ’ টাকা নেয়া হয়েছে। মাদ্রসা কর্তৃপক্ষ ৫শ’ প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা বাবদ নিয়েছে। ওই শিক্ষার্থী অভিভাবক তেতুলবাড়িয়া গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য সোহরাব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, এর আগে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার নাতী হাফসার ফরম ফিলাপের সময় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ২ হাজার ৮শ’ টাকা নিয়েছে। পুণরায় প্রবেশ পত্রে টাকা দিতে বাধ্য করে।
ভাইস প্রিন্সিপাল ও কেন্দ্র সচিব আবু জাফর মোঃ সাল্হে বলেন-ফরম ফিলাপের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি বাবৎ কোন টাকা আদায় করা হয়নি বলে দাবী করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিক অর্থ আদায়ের বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সত্যতা যাচাই করতে বলা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অলী আহাদ বলেন-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানের অর্থ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

মঠবাড়িয়ায় প্রবেশপত্র বিতরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:০২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

// মঠবাড়িয়া  (পিরোজপুর) প্রতিনিধি //

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জিম্মি করে প্রবেশপত্র বিতরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ৩০ এপ্রিল‘২৩ রোববার উপজেলার ৩৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট ২ হাজার ১শ’ ৫৩ জন শিক্ষার্থী ৪টি ভেন্যুসহ ৫টি কেন্দ্রে এসএসসি ও ৪৭ টি মাদ্রাসার ১ হাজার ২শ’ ৫ জন শিক্ষার্থী ২টি দাখিল এবং ভোকেশনালের ৫২জন পরীক্ষার্থী একটি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে।

পিজিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী জানায়, (যার রোল নং-২২৮৩৭২ রেজিঃ নং২০১৫১৭৫১১৬) বিদ্যালয়ে প্রবেশ পত্রের জন্য ৬শ’ এবং কোচিং ফি বাবদ ১ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক আদায় করেছেন। ওই ছাত্রের মা নুপুর বেগম অভিযোগ করে বলেন প্রবেশ পত্র বাবদ ৫শ’ টাকা দিতে চাইলে প্রধান শিক্ষক প্রবেশপত্র দিতে অপারাগতা করলে পরে ৬শ’ টাকা দিলে ছেলের প্রবেশ পত্র নেন। তিনি আরও বলেন এর আগে তার ছেলের বোর্ডের নির্ধারিত কেন্দ্র ফিসহ ২ হাজার ২০ টাকায় ফরম ফিলাপ করি। একই অভিযোগ করে ওই স্কুলের অপর শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম,সাইফুল ইসলাম ইমন। তবে প্রধান শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র বারীক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- ফরম পূরনের সময় কেন্দ্র ফি নেয়া হয়নি তাই ৫শ’ টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিরুখালী স্কুল এ্যন্ড কলেজের এসএসসির একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে প্রতিষ্ঠান প্রধান তাদের কোচিং ফি বাবদ ৪ হাজার ও প্রবেশ পত্র বাবদ ৬শ’ টাকা আদায় করেছেন। এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বললে পরীক্ষার হলে ক্ষতি করতে পারে বলে তারা জানায়। অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত চার মাসের কোচিং বাবৎ যে যা দেয় তাই নেয়া হয়েছে।

বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা কামিল মাদ্রসা কেন্দ্রের দাখিল শিক্ষার্থী তাকওয়া ইয়াসমিন হাফসা (রোল নং-২১৭১০০ রেজিঃ নং- ২০১৮৭৪৫৮৯৯) বলেন, তার কাছ থেকে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ প্রবেশ পত্র বাবদ ৬শ’ টাকা নেয়া হয়েছে। মাদ্রসা কর্তৃপক্ষ ৫শ’ প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা বাবদ নিয়েছে। ওই শিক্ষার্থী অভিভাবক তেতুলবাড়িয়া গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য সোহরাব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, এর আগে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার নাতী হাফসার ফরম ফিলাপের সময় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ২ হাজার ৮শ’ টাকা নিয়েছে। পুণরায় প্রবেশ পত্রে টাকা দিতে বাধ্য করে।
ভাইস প্রিন্সিপাল ও কেন্দ্র সচিব আবু জাফর মোঃ সাল্হে বলেন-ফরম ফিলাপের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি বাবৎ কোন টাকা আদায় করা হয়নি বলে দাবী করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিক অর্থ আদায়ের বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সত্যতা যাচাই করতে বলা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অলী আহাদ বলেন-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানের অর্থ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বা/খ: এসআর।