ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজস্থলীতে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম

মো: আজগর আলী খান, নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
  • / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় প্রতিদিনই সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করতে পাহাড় পর্বত পেড়িয়ে গ্রাম মহল্লা থেকে ছুটে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে করে জাতীয় পেনশন স্কিমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেনশন স্কিমের সুবিধার কথা অনুধাবন করতে পেরে স্থানীয়দের মাঝে এর আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছে রাজস্থলী উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে উপজেলার বেশকিছু সংখ্যক বাসিন্দা পেনশন স্কিম চালু করেছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর বিষয়ে জানা যায়, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। তবে, বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকগণও ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাঁদা প্রদান করলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। এছাড়া পেনশন স্কিমে ৪টি ক্যাটাগরি রয়েছে। যেখানে প্রগতি, সমতা, প্রবাস এবং সুরক্ষা স্কিম। সাধারনত প্রগতি স্কিমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং কর্মচারীরা এই স্কিম গ্রহন করতে পারবে। যেখানে মাসিক চাঁদার হার ২০০০,৩০০০ এবং ৫০০০।
এছাড়া সমতা স্কিমে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী যাদের বাৎসরিক আয় অনুর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা। তাদের মাসিক চাঁদা ১০০০। তৎমধ্যে ৫০০ টাকা নিজের এবং ৫০০ টাকা সরকার দিবে। প্রবাস স্কিম সাধারনত প্রবাসীদের জন্য। প্রবাস স্কিমে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা প্রদানে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। এ প্রণোদনার অর্থ তার চাঁদা হিসাবে জমা হবে। এবং সবশেষে রয়েছে সুরক্ষা স্কিম। এই স্কিমে কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, গৃহিণী, তাঁতিসহ সব অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিগণ নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করে এ স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। মাসিক চাঁদার হার ১০০০, ২০০০, ৩০০০ ও ৫০০০ টাকা।
এছাড়া রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে। যেখানে পেনশন স্কিম চালু থেকে শুরু করে যেকোন বিষয়ে জানার সুযোগ এবং সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, উপজেলার বাসিন্দাদের মাঝে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত অবগত করছি। এতে দিন দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আগ্রহ বাড়ছে। এবং ইতিমধ্যে রাজস্থলী উপজেলার অনেক বাসিন্দা এই সেবা গ্রহন করেছে। আমরা আশা করবো, দ্রুত সময়ে এলাকার অনান্য বাসিন্দারাও সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় চলে আসবে। এতে করে যারাই এই পেনশন স্কিম সেবার আওতায় আসবে তারা সকলেই ভবিষ্যতে এর সুফল হবে বলে আমি আশাবাদী।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজস্থলীতে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম

আপডেট সময় : ০৪:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় প্রতিদিনই সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করতে পাহাড় পর্বত পেড়িয়ে গ্রাম মহল্লা থেকে ছুটে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে করে জাতীয় পেনশন স্কিমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেনশন স্কিমের সুবিধার কথা অনুধাবন করতে পেরে স্থানীয়দের মাঝে এর আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছে রাজস্থলী উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে উপজেলার বেশকিছু সংখ্যক বাসিন্দা পেনশন স্কিম চালু করেছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর বিষয়ে জানা যায়, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। তবে, বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকগণও ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাঁদা প্রদান করলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। এছাড়া পেনশন স্কিমে ৪টি ক্যাটাগরি রয়েছে। যেখানে প্রগতি, সমতা, প্রবাস এবং সুরক্ষা স্কিম। সাধারনত প্রগতি স্কিমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং কর্মচারীরা এই স্কিম গ্রহন করতে পারবে। যেখানে মাসিক চাঁদার হার ২০০০,৩০০০ এবং ৫০০০।
এছাড়া সমতা স্কিমে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী যাদের বাৎসরিক আয় অনুর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা। তাদের মাসিক চাঁদা ১০০০। তৎমধ্যে ৫০০ টাকা নিজের এবং ৫০০ টাকা সরকার দিবে। প্রবাস স্কিম সাধারনত প্রবাসীদের জন্য। প্রবাস স্কিমে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা প্রদানে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। এ প্রণোদনার অর্থ তার চাঁদা হিসাবে জমা হবে। এবং সবশেষে রয়েছে সুরক্ষা স্কিম। এই স্কিমে কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, গৃহিণী, তাঁতিসহ সব অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিগণ নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করে এ স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। মাসিক চাঁদার হার ১০০০, ২০০০, ৩০০০ ও ৫০০০ টাকা।
এছাড়া রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে। যেখানে পেনশন স্কিম চালু থেকে শুরু করে যেকোন বিষয়ে জানার সুযোগ এবং সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, উপজেলার বাসিন্দাদের মাঝে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত অবগত করছি। এতে দিন দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আগ্রহ বাড়ছে। এবং ইতিমধ্যে রাজস্থলী উপজেলার অনেক বাসিন্দা এই সেবা গ্রহন করেছে। আমরা আশা করবো, দ্রুত সময়ে এলাকার অনান্য বাসিন্দারাও সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় চলে আসবে। এতে করে যারাই এই পেনশন স্কিম সেবার আওতায় আসবে তারা সকলেই ভবিষ্যতে এর সুফল হবে বলে আমি আশাবাদী।
বাখ//আর