ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকার জিয়ার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায়: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:০১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪
  • / ৪২৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার (২২ মে) নয়াপল্টনে দলের বিএনপির কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়া অনন্য। অল্পসময়ের রাজনীতিতে গোটা দেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি। আওয়ামীলীগ আমলের দুর্ভিক্ষ থেকে দেশকে তুলে এনে অর্থনীতির চেহারা বদলে দিয়েছিলেন জিয়া। তার দূরদৃষ্টির কারণে গার্মেন্টস শিল্পের সূচনা হয়েছিল। জনশক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে সম্ভাবনার দেশে পরিণত করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, গভীর চক্রান্ত করে দেশে পরনির্ভরশীল নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে জাতীয়তীয়তাবাদী এই নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাকে নষ্ট করা হয়েছিল। বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুরুত্বপূর্ন স্থান দখল করেছিলেন জিয়া।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজকের জবরদখলকারী সরকার জিয়ার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায়। জিয়াকে খলনায়ক বানাতে ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। জিয়া কখনো বাকশালের ফরম পূরন করেননি, আওয়ামীলীগ এমন মিথ্যাচার করে ইতিহাস মুছে ফেলতে চায়। বরাবরই এরা গণতন্ত্রের কথা বলে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। মূলত জিয়া গণতন্ত্রের সূচনা করে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৬টায় দলীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন, ড্যাবের উদ্যোগে নয়াপল্টনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং ছাত্রদলের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রর্দশনী। ২৮ মে ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট আলোচনা সভা। ৩১ মে নয়াপল্টনে দোয়া মাহফিল।

এছাড়া সারাদেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা খাদ্য আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও বইমেলা প্রদর্শনী হবে। বিএনপির প্রত্যেকটি অঙ্গসংগঠন আলাদা আলাদা করে কর্মসূচি করবে। মহানগর উত্তর-দক্ষিণ প্রতিটি ওয়ার্ডে দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে বস্ত্র ও খাদ্য বিতরণ ও দোয়া মাহফিল করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকার জিয়ার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায়: ফখরুল

আপডেট সময় : ০৪:০১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার (২২ মে) নয়াপল্টনে দলের বিএনপির কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়া অনন্য। অল্পসময়ের রাজনীতিতে গোটা দেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি। আওয়ামীলীগ আমলের দুর্ভিক্ষ থেকে দেশকে তুলে এনে অর্থনীতির চেহারা বদলে দিয়েছিলেন জিয়া। তার দূরদৃষ্টির কারণে গার্মেন্টস শিল্পের সূচনা হয়েছিল। জনশক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে সম্ভাবনার দেশে পরিণত করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, গভীর চক্রান্ত করে দেশে পরনির্ভরশীল নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে জাতীয়তীয়তাবাদী এই নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাকে নষ্ট করা হয়েছিল। বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুরুত্বপূর্ন স্থান দখল করেছিলেন জিয়া।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজকের জবরদখলকারী সরকার জিয়ার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায়। জিয়াকে খলনায়ক বানাতে ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। জিয়া কখনো বাকশালের ফরম পূরন করেননি, আওয়ামীলীগ এমন মিথ্যাচার করে ইতিহাস মুছে ফেলতে চায়। বরাবরই এরা গণতন্ত্রের কথা বলে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। মূলত জিয়া গণতন্ত্রের সূচনা করে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৬টায় দলীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন, ড্যাবের উদ্যোগে নয়াপল্টনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং ছাত্রদলের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রর্দশনী। ২৮ মে ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট আলোচনা সভা। ৩১ মে নয়াপল্টনে দোয়া মাহফিল।

এছাড়া সারাদেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা খাদ্য আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও বইমেলা প্রদর্শনী হবে। বিএনপির প্রত্যেকটি অঙ্গসংগঠন আলাদা আলাদা করে কর্মসূচি করবে। মহানগর উত্তর-দক্ষিণ প্রতিটি ওয়ার্ডে দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে বস্ত্র ও খাদ্য বিতরণ ও দোয়া মাহফিল করবে।