ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেলকুচিতে দুই বছরেও হয়নি মরিয়ম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, মামলা ডিবিতে স্থানান্তর

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:০২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
বেলকুচি’র আলোচিত গৃহবধূ মরিয়ম খাতুনের (১৭) আকস্মিক মৃত্যুর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও মৃত্যুর রহস্যের জাল উদঘাটন করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বিজ্ঞ আদালত মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন পুলিশের বিশেষায়িত বিভাগ পিবিআই কে। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে  আাসামী পক্ষকে ছাড় দেওয়া হয়েছে মর্মে বাদী পক্ষের নারাজিতে গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলার পুনরায় তদন্তের দায়িত্ব দেন ডিবি পুলিশকে।
নিহত মরিয়ম বেলকুচি উপজেলার তামাই পশ্চিম পাড়া গ্রামের সামসুল মোল্লার মেয়ে। মরিয়মের পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যার পর ঘরের ধরনার সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাবালিকা মরিয়ম খাতুনের সঙ্গে একই গ্রামের কুয়েত পাড়া বুদ্দুর ছেলে আব্দুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে মেয়ের পরিবারের অমতে আব্দুর রহমান মরিয়ম খাতুনকে  বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাকে নানাভাবে নির্যাতন করা হতো। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর সকালে স্বামীর ঘর থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে এবং তার লাশ ময়না তদন্তের পর ওইদিন বিকালে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। সে আত্নহত্যা করেছে মর্মে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে।
পরবর্তীতে নিহত মরিয়মের মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে ১২ ডিসেম্বর ২০২১ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেয়ের জামাতা আব্দুর রহমানসহ (ইসমাইল হোসেন, রাসেল, শাহিন (বুদ্দু), সাব্বির হোসেন ও তানিয়ার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে লাশ কবর থেকে উত্তোলনের করে পুনরায়  ময়না তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। পিবিআই তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে আসামী পক্ষকে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বাদীপক্ষ। ফলে মামলার দ্বায়ভার ডিবি উপর ন্যস্ত করা হয়েছে বলে জানা যায়।
মরিয়মের বাবা শামসুল হক জানান,আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাদের সনাক্ত করার জন্য পুলিশ ব্যার্থ হলেও  হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পুনরায়  ডিবি পুলিশের উপর আদালত দায়িত্ব ন্যাস্ত করায় আমি আশাবাদী  অতি শীগ্রই আমার মেয়ে  মরিয়ম হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বেলকুচি থানা পুলিশের  মাধ্যমে মরিয়ম এর মা সেলিনা বেগম ন্যায় বিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছে আমরা এলাকাবাসী দাবী জানাই মরিয়ম এর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কোনরকম পক্ষপাতিত্ব বা টাকার বিনিময় কোনভাবেই এই হত্যা মামলা যেন প্রভাবিত না হয়। আমরা এলাকাবাসী এই হত্যার ন্যায় বিচার চাই।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

বেলকুচিতে দুই বছরেও হয়নি মরিয়ম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, মামলা ডিবিতে স্থানান্তর

আপডেট সময় : ০৪:০২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
বেলকুচি’র আলোচিত গৃহবধূ মরিয়ম খাতুনের (১৭) আকস্মিক মৃত্যুর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও মৃত্যুর রহস্যের জাল উদঘাটন করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বিজ্ঞ আদালত মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন পুলিশের বিশেষায়িত বিভাগ পিবিআই কে। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে  আাসামী পক্ষকে ছাড় দেওয়া হয়েছে মর্মে বাদী পক্ষের নারাজিতে গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলার পুনরায় তদন্তের দায়িত্ব দেন ডিবি পুলিশকে।
নিহত মরিয়ম বেলকুচি উপজেলার তামাই পশ্চিম পাড়া গ্রামের সামসুল মোল্লার মেয়ে। মরিয়মের পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যার পর ঘরের ধরনার সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাবালিকা মরিয়ম খাতুনের সঙ্গে একই গ্রামের কুয়েত পাড়া বুদ্দুর ছেলে আব্দুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে মেয়ের পরিবারের অমতে আব্দুর রহমান মরিয়ম খাতুনকে  বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাকে নানাভাবে নির্যাতন করা হতো। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর সকালে স্বামীর ঘর থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে এবং তার লাশ ময়না তদন্তের পর ওইদিন বিকালে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। সে আত্নহত্যা করেছে মর্মে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে।
পরবর্তীতে নিহত মরিয়মের মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে ১২ ডিসেম্বর ২০২১ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেয়ের জামাতা আব্দুর রহমানসহ (ইসমাইল হোসেন, রাসেল, শাহিন (বুদ্দু), সাব্বির হোসেন ও তানিয়ার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে লাশ কবর থেকে উত্তোলনের করে পুনরায়  ময়না তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। পিবিআই তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে আসামী পক্ষকে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বাদীপক্ষ। ফলে মামলার দ্বায়ভার ডিবি উপর ন্যস্ত করা হয়েছে বলে জানা যায়।
মরিয়মের বাবা শামসুল হক জানান,আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাদের সনাক্ত করার জন্য পুলিশ ব্যার্থ হলেও  হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পুনরায়  ডিবি পুলিশের উপর আদালত দায়িত্ব ন্যাস্ত করায় আমি আশাবাদী  অতি শীগ্রই আমার মেয়ে  মরিয়ম হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বেলকুচি থানা পুলিশের  মাধ্যমে মরিয়ম এর মা সেলিনা বেগম ন্যায় বিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছে আমরা এলাকাবাসী দাবী জানাই মরিয়ম এর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কোনরকম পক্ষপাতিত্ব বা টাকার বিনিময় কোনভাবেই এই হত্যা মামলা যেন প্রভাবিত না হয়। আমরা এলাকাবাসী এই হত্যার ন্যায় বিচার চাই।
বাখ//আর